মলয়চন্দন মুখোপাধ্যায়ের তিনটি সনেট

ঊর্ধ্বে উরুক সাদা জাহাজ আর এক মাস্তুল পরিভ্রমণকারী সামুদ্রিক পাখি এবং অন্যান্য ভাসমান জন্ম আমিও ভাসি, ভেসে যাই সাময়িকভাবে উড়ন্ত বেহুলার সুরে সুরময়

ছটফট করে হাছন দেখিয়া চান্দ মুখ হাছন জানের মুখ দেখি জনমের গেলো দুখ

টুম্পা, এই শহরের অট্টালিকায় সমুদ্র স্নান করি গণিকালয়ের নামে। মূলত তোমার ফিরে আসা আর চলে যাবার নামে প্রেমিক ছেনালিপনা করে কবিতায় কনডম পরিয়ে

একটা দড়ির দুদিক থেকে টানছে দুদল ছেলে/তাই না দেখে বনের বানর লাফায় খেলা ফেলে/সকল বানর ফন্দি আঁটে জবর মজার খেলা/এমন খেলা খেলেই সবাই কাটিয়ে দেব বেলা

কবি জিয়াউল হক মিয়াজীর আজ প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০২২ সালের ২৭ নভেম্বর হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ফরিদপুর শহরের আলিপুরে ১৯৭৩ সালের ১২ নভেম্বর তার জন্ম।

অনন্ত সূর্যাস্ত-অন্তে আজিকার সূর্যাস্তের কালে সুন্দর দক্ষিণ হস্তে পশ্চিমের দিকপ্রান্ত-ভালে দক্ষিণা দানিয়া গেল, বিচিত্র রঙের তুলি তার বুঝি

আমার কাছে এখনো পড়ে আছে তোমার প্রিয় হারিয়ে যাওয়া চাবি কেমন করে তোরংগ আজ খোলো?

সবার মাঝে থেকেও তিনি নিজ খেয়ালে থাকেন/কী যেন কী কল্পনা তার বুক পকেটে রাখেন/নীল আকাশে মেঘের ডানা উড়তে দেখে তিনি/জানলা খুলে লিখতে বসেন ছন্দ রিনিঝিনি