শিলং, রবীন্দ্রনাথ ও আমরা তিনবন্ধু

হো হো করে আমি হেসে ওঠলাম। আর হাসির সঙ্গে সঙ্গে মনের সব তিক্ততা যেন এক লহমায় কোথায় উবে যেতে লাগলো। সকালে নাস্তা করতে গিয়ে একটা ‘ইয়ে’ ঘটনার শিকার হয়েছিলাম, ‘ইয়ে’ মানে আসলে বলতে চাচ্ছিলাম না

সাতসকালে ঘুম ভাঙতেই জানালা দিয়ে যেই বাইরের দিকে চোখ গেল, দেখি টুলটুলে চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে আগরতলা রাজবাড়ির কোনো এক মণিপুরি বধূ। কী অপূর্ব মায়ামুখ। চোখ আর সে-দুটি চোখ থেকে সরিয়ে নিতে পারি না।

বাড়ি তো বাড়িই, কবির বাড়ি বলে কি আবার আলাদা কিছু হয় নাকি? হাঁ হয়, অবশ্যই হয়। যারা কবি, যারা সত্যিকারের কবি, তাদের মনের ভেতর কুটিল ইর্ষা সাপের মতো কুণ্ডলি পাকিয়ে শুয়ে থাকে না

শুধু যে শহরের বাইরের রূপই পাল্টে যাচ্ছে তা নয়, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে মানুষের সংস্কৃতি ও জীবনচর্চারও ঘটছে পরিবর্তন। শহরের বুকে হেঁটে যেতে যেতে এক নতুন আগরতলার রূপ আমাদের চোখে অদৃশ্য থাকে না।

গাছপালা, শাকসব্জির বাগানঘেরা এ-জায়গাতেই নাকি ১৯৭১ সালে ডা. জাফরউল্লাহর নেতৃত্বে গড়ে উঠেছিল চিকিৎসাকেন্দ্র। শরণার্থী শিবিরের পীড়িত মানুষের যেমন চিকিৎসা সেবা চলতো এখানে, আহত মুক্তিযোদ্ধাদেরও শুশ্রুষা-সেবা দেয়া হতো।

মানুষের অনেক নিষ্ঠুর নিয়মের মধ্যে একটি নিয়ম, রাষ্ট্রীয় সীমানা। যদি পাখি হতাম তাহলে হয়তো মানুষের কঠিন নিয়ম মেনে চলতে হতো না।

শুভব্রত দেবের সঙ্গে যে কেবল সে-যাত্রায় আমবাসা বইমেলায় দেখা হয়েছিল তা নয়, আমবাসা থেকে আমরা যখন আগরতলা ফিরলাম, অক্ষরে এসেও দুদিন আড্ডা দিয়েছি।

সন্ধ্যার আলো-আঁধারি ঘেরা আমবাসার চান্দ্রাইপাড়া দ্বাদশ শ্রেণি বিদ্যালয় ময়দানে জিপ থেকে নামতেই, কোনো উদ্বেগ বা উৎকন্ঠা নয়, বিপুল এক হর্ষধ্বনিই যেন টের পাচ্ছিলাম নিজের ভেতর। মাঠভর্তি মানুষ