শিলং, রবীন্দ্রনাথ ও আমরা তিনবন্ধু
অক্টোবর ০৪, ২০২৪
পরশু সন্ধ্যায় কবিবন্ধু গৌতম গুহ রায় আর আমি জলপাইগুড়ি থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা ট্রেনে চেপে পরদিন শেষরাতে পৌঁছলাম আসাম রাজ্যের গৌহাটি
আমার ভ্রমণিয়া দিন
আমাদের গ্রামগঞ্জ বোধ হয় কাউয়ার ভালো লাগত না তেমন। শালিক ছিল বেশুমার, চড়ুইও। এত যে পাখি ছিল, থাকবেই তো। না থেকে পারে? কী যে গাছপালা ছিল তখন। বাতরে বাতরে গাছ। বড় বড় কাঁঠাল গাছ, আমগাছ, শিমুল গাছ, গাম্বুরি গাছ। ঝিটকা, তাল, খেঁজুর। গাছে গাছে চারপাশ ঢাকা থাকতো।
মে ০৩, ২০১৮
আমার ভ্রমণিয়া দিন
কামলাদের খাওয়া ছিল দেখবার মতো। বাংলাঘরের বারান্দায় খেঁজুরের পাটি বিছিয়ে দু’পা মুড়ে গোলাকার বৃত্তাকার হয়ে খেতে বসতো তারা। তারপর প্লেটভর্তি ভাত নিয়ে প্রথম দফায় যে কোনও একটা ভর্তা নিয়ে মেরে দিত এক দু’প্লেট। দ্বিতীয় দফায় যে কোনও একটা তরকারি নিয়ে আরো এক দু’ প্লেট দিয়ে জমিয়ে দিত সে খাওয়া।
এপ্রিল ২৬, ২০১৮
তোদে যাত্রা
তোদে যখন পৌঁছলাম তখন সূর্য প্রায় ডুবুডুবু। চারদিকে বেশ ভিড়। কী হলো ব্যাপারটা! আমরা তো এই জেনে গেছিলাম যে, তোদে প্রচণ্ড শান্ত একটি জায়গা, যেখানে চিৎকার নেই, কোলাহল নেই। কিন্তু এখানে তো বেশ সরগরম। একটু পরেই জানলাম, আসলে সেদিন ছিল হাটবার
এপ্রিল ২২, ২০১৮
আমার ভ্রমণিয়া দিন
নানাবাড়ির ভ্রমণ পথই আমার পঞ্চ-ইন্দ্রিয়কে সজাগ করে দিয়েছিল। আমার চোখ যেমন অনেক রঙিন সবুজশ্যামল জগত স্পর্শ করতে পেরেছে প্রথমবারের মতো, আমার শ্রবণেন্দ্রিয়ও তেমন পাখির ডাক, হাওয়ার গান, ঝিঁঝি পোকার স্বর কিংবা জল প্রবাহের শব্দে শব্দে নিসর্গের কাছ থেকে লাভ করেছে নতুন নতুন অভিজ্ঞান।
এপ্রিল ১৯, ২০১৮
ঘষেটি বেগমের বাড়ি
ঢাকার জিনজিরার নগরাতে ঘষেটি বেগম, সিরাজ-উদ দৌলার পত্নী লুৎফুন্নেসা আর মির মিরণকে যেখানে বন্দি করে রাখা হয়েছিল সেখানে তিনটি বাড়ির প্রাচীন নির্দর্শন দেখা যাবে। ধারণা করা হয়, তিনটি বাড়ির নিদর্শন আসলে একটি বাড়িরই অংশ ছিল। কালের পরিক্রমায় যা ধ্বংস হয়ে গেছে।
এপ্রিল ১৭, ২০১৮
আমার ভ্রমণিয়া দিন
টলটলে স্বচ্ছ পানির নিচে তাকালে কত রকমের যে বাহারি উদ্ভিজগুল্মের দেখা মিলতো, সে এক রহস্যমোড়ানো জগত! যা আমার ভ্রমণিয়া পথকে দিয়েছে রোমাঞ্চের স্বাদ! এছাড়াও আসত বক, ডাহুক বা মাছরাঙা। এরা হয়ত সব সময়ই থাকত, বর্ষায় দৃশ্যমান হতো বেশি বেশি।
এপ্রিল ১৩, ২০১৮
দাদাবাড়ি নানাবাড়ি
তখন ছ্যাঁক খেলেও মানুষ মাইকে গান গেয়ে গেয়ে নিজের দিল-যন্ত্রণা লাঘব করার প্রয়াস পেত। নাম বলব না। কাশিমপুরের সনাতন ধর্মের এক বড় ভাই। হঠাৎ হাতীমারা হাইস্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে, যখন ছোটখাটো একটা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছিল, কোথা থেকে হনহনিয়ে হেঁটে উদয় হলেন।
এপ্রিল ০৩, ২০১৮
তোদে যাত্রা
এখন তো আমি বেশ বড়। তবুও যতবারই রেলগাড়ির ভোঁ শুনতে পাই, ততবারই ‘অপু’ আমার ভেতরের ‘দূর্গা’কে ডেকে ওঠে। শিলিগুড়ি পৌঁছলাম তখন রাত প্রায় আটটা। সেখান থেকে একটু খাওয়া-দাওয়া করে এক বন্ধুর বাড়ি। সেই রাতের মতো রেস্ট। একটা সুন্দর ঘুম। পরদিন ভোরবেলা উঠে আবার ট্রেন।
মার্চ ৩১, ২০১৮
আমার ভ্রমণিয়া দিন
নতুন সিনেমা আসার সংবাদ জানানো মাইকের এই উত্তেজনা থামতে না থামতেই খোঁজ নিয়ে দ্যাখো, পাশের বাড়ির মুসা নাই। নাইতো নাই, পুরা হাওয়া। কোথায় গেছে কোথায় গেছে! কোথায় আবার? চান্দনা চৌরাস্তার উল্কা সিনেমা হলে। ফার্স্ট দিনের ফার্স্ট শোটাই যে ওর দেখা চাই। কোনও ছাড়ন নাই।
মার্চ ২৯, ২০১৮