শিলং, রবীন্দ্রনাথ ও আমরা তিনবন্ধু
অক্টোবর ০৪, ২০২৪
পরশু সন্ধ্যায় কবিবন্ধু গৌতম গুহ রায় আর আমি জলপাইগুড়ি থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা ট্রেনে চেপে পরদিন শেষরাতে পৌঁছলাম আসাম রাজ্যের গৌহাটি
কলকাতার মানুষ কৃপণ নয়, সাশ্রয়ী
সেদিন কথাসাহিত্যিক অমর মিত্রের সঙ্গে ইনবক্সে আলাপ হচ্ছিল। তিনি তখন ইউটিইউবে বাংলাদেশের টিভি নাটক দেখছিলেন। চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত একটি নাটক। অমরদা প্রায়ই বাংলাদেশের নাটকগুলো দেখেন। তার মতো পশ্চিমবঙ্গের অসংখ্য দর্শক দেখেন। ইউটিইউবে। তারা বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলো দেখতে পান না।
নভেম্বর ০৬, ২০১৮
যে গ্রামের সবাই সঙ্গীতশিল্পী
ভারতের মেঘালয়ের কংথং জঙ্গলের কাছাকাছি একটি গ্রাম। গ্রামটির পাশ দিয়ে গেলেই শোনা যাবে গানের গুঞ্জন। এ গুঞ্জনকে পাখির কলকাকলি ভাবলে ভুল হবে। আসলে পাখির মতো মধুর স্বরে গান করে গ্রামের প্রতিটা মানুষ।
সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৮
যমজের রাজধানী ইগবো ওরা
নাইজেরিয়ার ছোট্ট শহর ইগবো ওরায় প্রতি হাজারে যমজের সংখ্যা গড়ে ১৫৮টি। এ কারণে ইগবো ওরাকে বলা হয়, যমজের রাজধানী। ইগবো ওরায় এ সংখ্যক যমজের ঘটনা বিস্মিত করেছে বিজ্ঞানীদের।
সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৮
আখুকা
ছোটবেলা থেকেই আমি খুব আখুকা ছিলাম। আখুকা মানে খাওয়ার পাগল। শুক্রবার আমাদের বাড়ির সামনেই জুম্মাঘরে জুম্মার নামাজের পর খিঁচুড়ি খাওয়া যেত। মিস নেই। কোনো না কোনো বাড়ি থেকে কেউ না কেউ ডিশ ভরে নিয়ে আসতো খিঁচুড়ি। মানতের।
আগস্ট ২৭, ২০১৮
আমার ভ্রমণিয়া দিন
সে আমার জীবনে এসেছিল দমকা হাওয়ার মতো। মিলিয়েও গিয়েছিল সহসাই। আসলে সে যে এসেছিল, তখন তা বুঝতে পারিনি, বুঝিনি আরো অনেক অনেকদিন পর্যন্ত, বুঝলাম— যখন আমার যৌবন দুপুরের আকাশ পেরিয়ে খানিকটা বিকেলের দিকে সবে হেলতে শুরু করেছে
আগস্ট ১৬, ২০১৮
আমার ভ্রমণিয়া দিন
ঈদ না থাকলে বোধ করি জীবনের আনন্দের মানেটাই জানা হতো না। আমার বেড়ে ওঠার দিনে আর আমার পৃথিবীর ভ্রমণযাত্রায় ঈদ প্রজাপতির রঙিন পাখনা, সঙ্গীতের পাখোয়াজ ধ্বনি! সেই রমজানের প্রথম দিন থেকেই শুরু হতো ঈদের দিনের জন্য উদগ্র এক প্রতীক্ষা। ঈদের দিনের আগের বিকেলটা আস্ত রঙধনু হয়ে যেত।
আগস্ট ০৯, ২০১৮
আমার ভ্রমণিয়া দিন
মাঝে মধ্যেই বাড়িতে চরম বিভীষিকা হয়ে সাইকেল নিয়ে হাজির হতেন নিধু ডাক্তার কী অধীর ডাক্তার। তারা বাড়িতে আসামাত্রই মনে হতো যেন সাক্ষাৎ যমদূত সামনে দাঁড়িয়ে। অথচ দুজনের চেহারার মধ্যেই ছিল খাঁটি বাঙালিয়ানার ছাপ। সৌম্য, শান্ত, ধীর মুখশ্রী।
আগস্ট ০২, ২০১৮
আমার ভ্রমণিয়া দিন
মনে পড়ছে চঙ-ঘুড্ডির কথা। আমাদের গ্রামের কাঁঠাল গাছ, আমগাছ, খেঁজুর গাছ, তাল গাছের ছাদ মাড়িয়ে নীল-সাদা আকাশের বুকে চৌকোণা বাক্সের মতো উড়ে বেড়াচ্ছে চিকন চিকন করে কাটা বাঁশের খাঁচার মধ্যে বাদামি কাগজমোড়ানো ঢাউস সাইজের ঘুড্ডিটা।
জুলাই ২৭, ২০১৮
আমার ভ্রমণিয়া দিন
বাংলা মদপানের সঙ্গে বউ মারার যেমন একটা গূঢ় সম্পর্ক আছে, গোঁফেরও যেন কেমন একটা ভারি সংলগ্নতা টের পেতাম। বানেশ্বরের ছিল ইয়া বড় বড় মোটা গোঁফ। সে গোঁফের জন্য বোধহয় গভর্ণমেন্টের কাছ থেকে কোনো ভাতা পেত সে। নাকি এটা কানকথা! শুনেছিলাম বোধহয়।
জুলাই ১৯, ২০১৮
আমার ভ্রমণিয়া দিন
আমি আমার ভ্রমণিয়া দিনে আমার জন্ম থেকে ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত বয়সকালের একটা ভ্রমণচিত্র শুধু আঁকবার চেষ্টা করেছি। এটা কোনোক্রমেই আত্মজীবনী নয়, আমার বেড়ে ওঠার দিনের যে-ভ্রমণাংশ, যা আমাকে চিনিয়েছে প্রকৃতি, প্রকৃতির মানুষকে, আমি শুধু তার সারবত্তাকেই তুলে ধরতে চেয়েছি। কিন্তু সম্পূর্ণভাবে কী পেরেছি তা?
জুলাই ১৩, ২০১৮