শিলং, রবীন্দ্রনাথ ও আমরা তিনবন্ধু

বাংলার নিজস্ব সুরের ধারা এত বিশাল আর পলিপ্লাবিত যে, শুধু সে-সুরকে ধরেই তো আমরা বাংলার একটা আলাদা পরিচয় পৃথিবীর বুকে তুলে ধরতে পারতাম! সেই ময়মনসিংহ গীতিকা থেকে শুরু করে কত আউল-বাউলের গান,

সার্কিট হাউজের চারপাশটা খোলা। ঘুরে ঘুরে দেখা যায় চারপাশের আমবাসা। সবুজ গাছপালার ভেতর ছাড়া ছাড়া ঘরবাড়ির টিনের চাল ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে এলোমেলোভাবে। পড়ন্ত সেই বিকেল ঈষৎ কালো মেঘে গম্ভীর হয়েছিল।

ছোটবেলায় বৃষ্টি এলেই আমার আগরতলার কথা মনে পড়তো। চেরাপুঞ্জির কথা মনে পড়তো। চেরাপুঞ্জির কথা মনে পড়তো এটা শুনে শুনে যে, ওখানে নাকি পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়। শিলং আমি গিয়েছিলাম অনেকটা চেরাপুঞ্জির টানেই।

গতকাল এক স্বৈরাচারকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করল বাংলাদেশ। পাশ্চাত্যের চোখে স্বৈরাচার হিসেবে পরিচিত লিবীয় নেতা কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফির কবর নিখোঁজ। কেমন ছিল গাদ্দাফির স্বৈরতন্ত্র? উত্তরটা দেয়ার চেষ্টা করলাম স্মৃতিকথায়।

আমি নিশ্চিত হই যে, তিন কবি ভারতীয় ইমিগ্রেশন সেন্টারের ভেতরেই আছেন। কিন্তু চোখে কেন পড়লো না। সেটাই আমার কাছে ধন্দ লাগছে। স্কুটারওয়ালা দুজন নাছোড়ের মতো ডাকতেই থাকে, আপনি কোথায় যাবেন দাদা?

সে-যাওয়াটা যে এতো সহজেই হয়ে যাবে, কে জানতো? ছ-সাত বছর আগে ফেসবুকে কবি শিহাব শাহরিয়ারের ইম্ফল ভ্রমণের ছবি দেখে, ওর সঙ্গে দেখা হওয়ামাত্র খেদ করে বলেছিলাম, আমার স্বপ্নকুমারীর সঙ্গে দেখা করে এলেন আপনি? আমি যে ঈর্ষায় মরছি!

এই আত্মকেন্দ্রিকতার যুগে এ কে শেরামের মতো মানুষের সান্নিধ্য-লাভ দুর্লভ প্রাপ্তিই বটে। কবি শিহাব শাহরিয়ার যথার্থই বলেছেন, অপু! আপনি শেরামদাকে সঙ্গী হিসেবে পেয়েছেন ইম্ফল যেতে, এটা আপনার সৌভাগ্য।

মণিরত্নমের রোজা ছবির সেই গানের দৃশ্যটি যখন ভেসে ওঠেছিল পর্দায়। ওই যে নায়ক নায়িকার দু-চোখ থেকে দুহাত সরিয়ে ফেলতেই সামনে ভেসে ওঠলো শঙ্খশূভ্র রৌদ্রোজ্জ্বল বরফের পাহাড়! নায়িকা বিস্ময়ে অভিভূত!