নাহিদুল ইসলামের গল্প ‘উড়ো চিঠি’

নাহিদুল ইসলামের গল্প ‘উড়ো চিঠি’

নভেম্বর ২৬, ২০২৪

কিছুদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ঘটেছিল এটা। হুট করে সকল শিক্ষকের নামে একযোগে কিছু ক্ষ্যাপাটে কথাবার্তাসম্বলিত একটি চিঠি এসে পৌঁছেছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে


বুড়িচাঁদ গেছে বুঝি বেনোজলে ভেসে

বুড়িচাঁদ গেছে বুঝি বেনোজলে ভেসে

কিন্তু এই যে এখন, যে ধন্দের ভেতর দিয়ে আমি যাচ্ছি, এখানে আমার আর ওই লোকটার মাঝখানে গ্যাপটা কীসের? দুজন মানুষই একজন, অথচ তার সঙ্গে আমি যোগাযোগ করতে পারছি না। আমি তাকে দেখতে পাচ্ছি, তার কথা শুনতে পাচ্ছি, কিন্তু সে পাচ্ছে না। এরকম কি হয়?


সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৮

বিপ্রতীপ

বিপ্রতীপ

গাছে ওঠার পর বুক ধড়ফড়ানি আরো বাইড়া গেল। কমপক্ষে পঞ্চাশ বছরের পুরানা গাছ তো হইবই। গাছের ল্যান্টিসেলে ভারি শ্যাওলা, গাছের আরো উপরের ডালে অর্কিড টাইপ ফুল। হালকা বেগুনি ফুলগুলি থোকায় থোকায় লম্বা ডাটিতে ঝুইলা আছে। আম গাছটার গোড়ার দিকে কতগুলি ঝিঁঝি পোকার খোলস ঝুইলা আছে।


সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৮

মিরাকল বেবি

মিরাকল বেবি

চুপচাপ বসে আছি। সবাই ভাবছে, অতি শোকে আমি পাথর হয়ে গেছি। একজন মাথায় হাত রেখে বলছে, কাম অন, তুমি আমার দেখা সবচেয়ে স্মার্ট মেয়ে, তোমার ভেঙে পড়লে চলবে না, তুমি মন শক্ত করো, সব আল্লাহর ইচ্ছা।


সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৮

মজদুর মজবুর হ্যাঁ

মজদুর মজবুর হ্যাঁ

গফফর প্রথমটা ধরতে না পারলেও সামসুল বুঝে গেছিলো ব্যাপারটা। স্যাঁতস্যাঁতে গলির ধারে ধারে কবরের দরজা গুলো আলগা হতে থাকে, মেহেবুবরা একে একে কবর থেকে ওঠার চেষ্টা করে। তারা এতো দিন ধরে যা নির্মাণ করেছিলো, যা তাদের দেহের মূল্যের সমষ্টি রূপে বাস্তব হয়েছিলো সেটাকেই উপড়ে ফেলে দেবে বলে। সত্যি একদিন সেই দিনটা আসবে।


সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৮

জেনগল্প

জেনগল্প

দাইজু জেনগুরু বাসোর সাথে দেখা করলেন। বাসো জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি কী খুঁজছ?’ দাইজু জবাব দিল, ‘আলোকিত অন্তরলোক।’ ‘তোমার নিজেরই ধনভাণ্ডার আছে। তুমি বাইরে বাইরে কী খোঁজ?’ দাইজু জানতে চাইলেন, কোথায় আমার ধনভাণ্ডার? বাসো উত্তর দিলেন, তুমি যা জানতে চাইছ, সেটাই তোমার ধনভাণ্ডার।


সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৮

কবিতার ফেরিঅলা

কবিতার ফেরিঅলা

সন্ধের আবছায়া আঁধার ঢেকে ফেলছে চারদিক। টিনের চালের ওপর কোথায় যেন হুতোম পেঁচা ডাকছে। বাড়ির পেছনদিকে বাঁশঝাড়ের ওপর গোলগাল চাঁদ ঝুলছে। লাল, তবে গাঢ় নয়। রাত যত বাড়বে, চাঁদের আলো তত বাড়বে।


সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৮

নিঃসঙ্গ নিরাশ্রিত

পুনর্মুদ্রণ

নিঃসঙ্গ নিরাশ্রিত

ভাঙা সাঁকোর একপাশে বসে ছেলেটা কাঁদছিলো। হাতে ছিল রঙিন কাপড়ের পুটলি, তাতে মায়ের রাঙা শাড়ি বাপের কামিজ, মুড়ি বেচে সঞ্চয় করা পয়সা ভরা টিনের কৌটা, খালের জলে তার ছায়া স্থির। স্রোতে রক্ত মেশানো ছিল মানুষের।


সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৮

শয়তানের হাসি

শয়তানের হাসি

অনিতা সুবীরের দিকে তাকিয়ে বলল, `অমন করে কি দেখছো?` সুবীর মুখে আঙ্গুল দিয়ে অনিতাকে চুপ করতে বলল। সুবীর সেই একইভাবে অনিতার দিকে তাকিয়ে আছে। অনিতার অস্বস্তি হচ্ছিল। সে থাকতে না পেরে আবার বলল, `কি হচ্ছে এটা? তুমি বসো, আমি চা বানিয়ে আনছি।`


সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৮

মর্গে

মর্গে

নাহাল বিয়ারের বোতল বাজায়, একটু একটু করে চুমুক দেয়। অস্বস্তিকর একটা অবস্থা। নো স্মোকিং জোনে, নাইলে একটা সিগার ঠোঁটে থাকলে জোহানকে এতটা বিরক্ত লাগতো না। জোহান পকেট থেকে দুটো মেমব্রেন বের করে ওর হাতে দেয়।


সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৮

বেগম বাজারের নীলছবি

বেগম বাজারের নীলছবি

ছোটকালের কথা, উদয়নে পড়ি। জীবনেও প্লেয়বয় ম্যাগাজিন দেখি নাই। প্রচণ্ড ইচ্ছা দেখার। দুয়েকটা চটিবই পড়েছি। তখনকার চটি বইয়ের চরিত্রগুলি পাশের বাসার বৌদিকে নিয়েই গড়ে উঠতে দেখা যেত এবং কিছু কমন নাম ছিল– নরেন, সুলেখা, পুষ্প।


সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৮