নাহিদুল ইসলামের গল্প ‘উড়ো চিঠি’
নভেম্বর ২৬, ২০২৪
কিছুদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ঘটেছিল এটা। হুট করে সকল শিক্ষকের নামে একযোগে কিছু ক্ষ্যাপাটে কথাবার্তাসম্বলিত একটি চিঠি এসে পৌঁছেছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে
এক মাজেদার কাহিনি
ঘরে ঢুকেই মাইনকা দরজার খিলটা আস্তে করে লাগিয়ে দিল। ‘আয় আমার বুকে আয়’ বলে মাজেদা বুকের উপর থেকে শাড়ির আঁচলটা সরিয়ে দিল। তার পরনে নেই ব্লাউজ বা ব্রা। তার সুডৌল বক্ষযুগল যেন মাইনকাকে ডাকতে লাগলো। ‘খাড়াইয়া দ্যাখস কি, আয়।‘ মাইনকা ঝাপিয়ে পড়লো।
অক্টোবর ২১, ২০১৮
ভ্রম
কবরস্থানের দেয়ালে হেলান দিয়া সিগারেট টানাটা একটু দৃষ্টিকটু মনে হয়। আশপাশের লোকজনের অবশ্য কোনো আপত্তি দেখতেছি না। সবাই ব্যস্ত বিরানী নিয়া। কবরস্থানের অপজিটে `দরবার-ই-চিশতী উস সাবেরী`। আজকে এইখানে এগারো শরীফ। বিরানীর সাথে একহাতা পরিমান জরদা দেয়া হইতেছে।
অক্টোবর ২১, ২০১৮
গোধূলির জাদুকর
বেশিরভাগ সময় এখন আমি ঘুমিয়ে থাকি। জেগেও থাকি কখনও কখনও। ঘুম থেকে উঠে চুপচাপ বসে আমি চারপাশ দেখি। কত কত কিছু এই পৃথিবীতে। একই মানুষের ভেতর কত কত মানুষ। কিছু সময় এইসব চেয়ে চেয়ে দেখি, এরপর মনে হয়, এই তো দেখলাম। এইবার ঘুমিয়ে পড়লেই হয়।
অক্টোবর ১৮, ২০১৮
আমাকে গুলি করলে ১টা গুলিও মিস হবে না
কখনো এমন হয়, সামান্য কিছুর জন্য খুনোখুনি করতে ইচ্ছে করে; যেন এই ইচ্ছা সূঁচের সামান্য ছিদ্রের ভেতর দিয়ে অনায়াসে টেনে নেবে উটের কাফেলা। আমি সহ্য করি। নিজেকে সংযমের যাঁতাকলে পিষতে পিষতে শেষ করে ফেলতে চাই। কেন আমি নির্বিষ নই? আমিও কেন প্রবৃত্তির অন্ধকার ছেনে ছেনে বাঁচতে পারি না?
অক্টোবর ১৬, ২০১৮
বাবার উইল
বালিশের নিচে চাপাপড়া মোবাইল ফোনটা মধ্যরাতে হঠাৎ গোঁ গোঁ করে কেঁপে উঠলো। ঘুমে হাবুডুবু চোখ দুটো অনেক কষ্টে খুললাম। চিনির এসএমএস। আমার ঘুম ছুটে গেল এক লহমায়। একশো এক কাঠুরে কুঠার চালাতে লাগলো হৃৎপিণ্ডের গোড়ায়। কখন হাতটা উঠে গেল কপালে টের পেলাম না।
অক্টোবর ০৯, ২০১৮
কেন
রিনাদের বাসার পেছনের দিকে বেশ ক’ঘর ভাড়াটিয়ার বসবাস। পাশাপাশি টিনের চালওয়ালা ঘরগুলোর রান্নাঘর আর গোসলখানা কমন। রুম রুম করে ভাড়া দেয়া। নিম্নবিত্তদের বাস ওখানে। ঘরগুলির শেষে একটা দুই ঘরওয়ালা বাড়ি আছে যেটাতে বাড়িওয়ালা নিজেই থাকে।
অক্টোবর ০৬, ২০১৮
জীবনের পরমাণু গল্প
বুঝেছো, আমি না মধ্যরাতের কিছু পরেই বিছানায় শুয়ে চিন্তা করলাম যে, জেফ বয়কট অত্যন্ত মরা একটা উইকেটে একজন অফ-স্পিনারকে ফেস করছে। প্রতিটা সোজা বল সে রক্ষণাত্মকভাবে সামনে বোলারের কাছে ঠেলে দিচ্ছে, বোলার বল কুড়িয়ে আবার বল করছে আর বয়কট সেই একই-
অক্টোবর ০৩, ২০১৮
পাপিয়া জেরীনের গল্প ‘অসংবৃতা’
পিয়ার্সিংয়ের জন্য আমরা যে দোকানের সামনে দাঁড়ায়ে আছি তার নাম হেমলক। আমরা বলতে আমি আর ধ্রুব। আম্মু ভিতরে গেছে, সে নাভিতে দুল পরবে। গত সন্ধ্যায় আমরা বসুন্ধরা থেকে দুল কিনে আনছি, সেই দোকানটার ভেতরেই আবার পিয়ার্সিংয়ের জন্য ছোট্ট একটা স্পেস দেখলাম।
অক্টোবর ০১, ২০১৮
বন্দুকের নল
আমি মাননীয় মন্ত্রীর ঠোঁটের কষ টিস্যু দিয়ে মুছিয়ে বলি, ‘স্যার আপনার সঙ্গে আমি ডুয়েল লড়তে চাই।’ মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় এবং আমি ডুয়েল লড়তে শুরু করলাম। সেনাপতি বললো, দাঁড়ান স্যার, আমার কাঁধে বন্দুক রাখুন। রাখা হলো।
সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৮
শহরে সন্ধ্যার হাওয়া যখন লেগেছে
সাতসকালে মোবাইলের টুংটাং শব্দে ঘুম ভাঙলো নোরার। রাজ্যের বিরক্তি নিয়ে মোবাইলটা টেনে নিল। বিড়বিড় করে বললো, ছুটির দিনে কে যে এত সকালে ফোন দেয়! মিসড কল লিস্টে রণনের নামটা চোখে পড়তেই, চিন্তায় পরে গেল নোরা। রণন জানে আজ ওর ছুটির দিন, কোনো ঝামেলা না হলে এত সকালে ফোন!
সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৮