হুমায়ূন আহমেদের গল্প ‘চোখ’

আমি নির্বিকার তার দিকে কিছুক্ষণ চেয়ে রইলাম। অবশেষে আস্তে করে বললাম, গাধা, তোর ভাবি যদি আমাকে সেটা মনে না করায়ে দিত, তাহলে আজ তোর এই পেঁপে বেচা হতো না...

সকালে ঘুম থেকে উঠে হুরমতি অভ্যাসমতো বাপকে ডেকে টিনের মগভরা পানি দিতে গিয়ে দেখল, টেংরামোল্লার দেহ নিথর। শত ডাকাডাকিতেও সে চোখ মেলে না আর

অন্য সবার মতো মাসুদও দুটো চিঠি পেল। প্রথমবার চিঠিটা আসার পর মাসুদ কিছুটা অবাক হয়েছিল। এ ধরনের একটি কাজ যে বা যারা করেছে মনে মনে তাদের ওপর কিছুটা খুশিই হয়েছিল ও

আমার এই ভাইটার রোদে মোটেও কষ্ট হয় না। যখনই আমি উনাকে নিয়ে ঘুরতে বের হই, তখনই দেখি আমাদের মাথার উপর মেঘ। মেঘ সূর্যকে ঢেকে রাখে

তোমার পড়শি বাড়িতে আসে তোমার মালটাল খাওয়ার ডাকে। সে ভুলে তোমার ঈদ নিয়ে উল্টোপাল্টা কিছু বলাতে তুমি তাকে গুলি করো, তিনবার, একদম মুখ বরাবর

সন্ধ্যা পালাই পালাই করছে ধানমণ্ডির এই রবীন্দ্র সরোবরের জনকল্লোল থেকে। ডানা মেলা শকুনের মতো ধীর পায়ে নেমে আসছে রাত। শাওন একবার দক্ষিণে, একবার উত্তরে দৃষ্টিটাকে ঘোরালো

আবদুল কাদের সকালে বেরিয়েই লক্ষ্য করল, শহরটা অন্ধকারের এক রকম কালিমায় লেপে আছে

পিছনে তাকিয়ে বিছানায় ঘুমিয়ে থাকা অনন্যাকে দেখলাম। আমার ঘরে এই রূপ তো রূপীর জোড়েই। কিন্তু মজিদ ভাই, রূপী দিয়ে রূপ কেনা যায়, মনটাতো যায় না