নাহিদুল ইসলামের গল্প ‘উড়ো চিঠি’

বীররামপুর গ্রামের আলি নসিব মিয়ার সকল দিক দিয়েই আলি নসিব। বাড়ি, গাড়ি ও দাড়ির সমান প্রাচুর্য! ত্রিশাল থানার সমস্ত পাটের পাটোয়ারি তিনি। বয়স পঞ্চাশের কাছাকাছি। কাঁঠাল-কোয়ার মত টকটকে রং।

ছ’সাতজন যুবক ঘুরেফিরে বারবারই যাচ্ছে সামনে দিয়ে। আমি চোখ নামিয়ে রাখি, যেন ‘ভদ্রঘরের মেয়ে’ বলে ভাবে আমাকে। কেউ কেউ শিস দেয়। হিন্দি ছবির গান গায়, একজন তো কোমর দুলিয়ে নাচল

এক সাপ্তাহিক ছুটির সন্ধ্যায় আমার মধ্যে কী যে হয়! মনে হয়, কেউ আমাকে ডাকছে। মনে হয়, অপেক্ষা করছে। মনে হয়, পানিতে ঢুবে আছে রাস্তা। চারদিকে বড় বড় গাছ। শান্ত রাস্তা। স্তব্ধ সন্ধ্যা।

ডায়েরির পাতা ওল্টাতে ওল্টাতে হঠাৎ চোখ আটকে যায় রায়হানের। কোনো লেখা নেই। শুধু একজোড়া চোখের ছবি আঁকা। ষোল বছর আগের এই শ্রাবণে কার চোখ গেঁথেছিল বুকে!

অফিস থেকে বেরুতেই ফুটপাতে দেখা হয়ে গেলো মেয়েটির সাথে। একটুও চমকালো না আলম। যদিও ক্লান্ত চোখ দুটি ওর বিস্ময়ের মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছিলো।

তারপর একদিন অকস্মাৎ মতিনউদ্দিনের মধ্যে একটি অবিশ্বাস্য পরিবর্তন ঘটে। এমন আশ্চর্য ঘটনাটি ঘটে বিনা খবরে, তার অব্যবহিত পূর্বে ক্ষীণতম ইঙ্গিত ছাড়া। পরিবর্তনটি শুরু হয় সকালেই, কিন্তু খালেদা তা লক্ষ করে সন্ধ্যাবেলায়।

মৃত্যুর আগে হানিনাকে বাবা বললেন, আমার চল্লিশার দিনে বাজারে যাবে। প্রথম তোমাকে যেটা কিনতে অফার করা হবে, সেটাই কিনবা। এটাই তোমার ভাগ্য গড়ে দেবে।

নিজেই হাটে এসে পছন্দসই গরু কেনার ইচ্ছে ছিল শাকের চৌধুরীর। জরুরি কাজে আটকা পড়ায় ছোট ভাই হারেস ও ভাগিনা জুনায়েদকে পাঠিয়ে দিলেন। সঙ্গে তারা বাড়ির কেয়ারটেকার গোফরানসহ আরো আটজনকে নিল।