নাহিদুল ইসলামের গল্প ‘উড়ো চিঠি’

রাবেয়া বসরির বাড়িতে এলেন মালেক দিনার ও শাকিক বলখি। মেতে উঠলেন তারা কথাবার্তায়। প্রেমের সত্যিকারের চেহারা কি, তা নিয়ে মতামত দিতে লাগলেন তারা।

আমি ভদ্রলোকের দিকে অবাক হয়ে তাকালাম। কিছুক্ষণ আগে তার সঙ্গে আলাপ হয়েছে তাও এমন কোনো আলাপ না। আমি ট্রেনের জন্যে অপেক্ষা করছি কিনা জানতে চাইলেন। আমি বললাম, হ্যাঁ।

সে তিনকোনা জালি নিয়া জলায় নাইম্মা ছিল। দারকিনা, কুচো চিংড়ি, চাডা, হঠাৎ হঠাৎ ছোটো টাকি, গু খাওরা রাগগা মাছ পাচ্ছিল। তার কোমরে লটকানো খালুই পানি ছুয়ে ছুয়ে দুলছিল। আকাশে চমক দিলো একটা বিজলি।

অরুণ তাহার প্রকাশকের নিকট হইতে বাড়ি ফিরিল রাত্রি নয়টার পরে। ক্লান্তপদে তিনতলার সিঁড়ি ভাঙ্গিয়া যখন নিজের ছোট ফ্ল্যাটটিতে সে চাবি খুলিয়া ঢুকিল, তখন যেন আর আলো জ্বালিবার মতও দেহের অবস্থা নাই।

সকাল বেলায় নদীতে যাই, সেখানে স্নান-টান সেরে, লোকজনের যাওয়া-আসা কথাবার্তা এই সব তামাসা দেখে, আবার গাছতলায় এসে বসি। তারপর, যেদিন খাওয়া জোটে খাই, যেদিন জোটে না খাই না।

জমিলার মন আন্ধার হইয়া আসে। একমাত্র পোলা সামছুর লিগা বাপ-মা মরা এই এতিম মাইয়ারে পছন্দ হইছিল তার। আট বছর আগের কথা, পরীর মতো সুন্দর আবার নামও পরী। কেন যে রূপ দেইখা চোখ ঝলসায়ে গেল আল্লায়ই জানে।

মার্কারের সঙ্গে বিলিয়ার্ডস খেলতে খেলতে প্রিন্সিপাল সাহেব দারুণ একটা ‘ব্রেক’ করলেন। কিন্তু এর জন্যে তাঁকে বাহবা দেবার জন্যে সন্ধ্যাবেলা ক্লাবে মার্কার ভিন্ন আর কেউ ছিল না।

তখন আমি আমেরিকান অ্যাম্বাসির অপজিটে থাকি। এক বড়ভাইয়ের কল্যাণে দোতলা ছাদের ওপর সুন্দর কিচেন, এটাচ বাথঅলা এক বিশাল রুম পাইয়া গেসি। উনি বাসা নিয়া পরে আর ওঠে নাই।