নাহিদুল ইসলামের গল্প ‘উড়ো চিঠি’

ভাঙা সাঁকোর একপাশে বসে ছেলেটা কাঁদছিলো। হাতে ছিল রঙিন কাপড়ের পুটলি, তাতে মায়ের রাঙা শাড়ি বাপের কামিজ, মুড়ি বেচে সঞ্চয় করা পয়সা ভরা টিনের কৌটা, খালের জলে তার ছায়া স্থির। স্রোতে রক্ত মেশানো ছিল মানুষের।

বারবার কেন তার সঙ্গেই এ-রকম হয়, বুঝতে পারে না সুমি! যখন বুঝতে পারে না, অনুভব করতে পারে না, উপলব্ধি করতে পারে না, তখন খুব অসহায় বোধ করে সে। দুনিয়াটা বড় কঠিন মনে হয়। মনে হয়, সবকিছু খুব চ্যালেঞ্জের।

ঘুমালে আমি হয়ে যাই মসলিন চাষি, বিষয়টা আপনাদের কাছে হয়তো বিশ্বাসযোগ্য মনে হবে না, কিন্তু তা সত্য এবং এক অতি অদ্ভুত ব্যবস্থার মধ্যে আমি পড়ে গেছি এবং এর থেকে নিস্তারের উপায় কী, তা আমার জানা নেই

একজন মুসলমান পাগল; যে বারো বছর যাবৎ উর্দু দৈনিক ‘জমিনদার’ পড়ত, তাকে তার এক পাগল বন্ধু জিজ্ঞেস করে, ‘মৌলভি সাহেব, এই পাকিস্তান কী জিনিস, একটু ব্যাখ্যা করে বলুন তো।’

লোকটার চাহনি বড়বাড়ির বড়বউয়ের প্রথম থেকেই ভালো লাগেনি। কী রকম যেন উগ্র চাহনি। আর কোমর পর্যন্ত ময়লা লুঙ্গিটা অত্যন্তই ছোট। চেহারাটা বুনো বুনো। কিন্তু বামুন ঠাকুর বলল, ভাত খাবে কাজ করবে।

বাদশাহ আকবরের নবরত্নের একজন ছিলেন এক গরিব ব্রাহ্মণ। তিনি হাস্যরসিক ছিলেন আর খুব গল্প বলে আসর জমাতে পারতেন। তাই যতই দিন যেতে লাগল বাদশাহ এ-ব্রাহ্মণের উপর ততই খুশি হয়ে উঠলেন।

‘আধুনিক’ কবিতা লিখলেও বল্লভ সেন কিছু আর সদ্য তরুণ নয়। রীতিমত প্রতিষ্ঠিত কবি। কবি সম্মেলনে পুরুত হতে আগে তার ডাক পড়ে। ভালো ভালো সাহিত্য পুরস্কারগুলি প্রায় সবই পেয়েছেন তিনি।

সে বসে। আমার দিকে তাকিয়ে হাসে। আট বছর পর আমাদের দেখা। আমাদের সম্পর্ক চুকে গিয়েছিল আট বছর আগে। মানে, আট বছর আগের কোনো একদিন সে হারিয়ে গেছিল আমার জীবন থেকে। আজ আবার মুখোমুখি আমরা।