হুমায়ূন আহমেদের গল্প ‘চোখ’

যখন লেখালেখি করবে আমাদের পুরানো ক্যাসলে কদিনের জন্য বেড়াতে চলে যাও। রাজত্ব তো নেই, ফলে সেখানে কিছুই প্রায় নেই পুরানো ভবন ছাড়া। ঠিকমতো ভবনগুলি দেখাশোনা করার লোকজন নেই পর্যন্ত

আমি কি জানতাম, মেয়ে আমার জঙ্গলে জঙ্গলে ঘুরে বেড়াবে! আরে, শহরটা তো জ্যান্ত একটা জঙ্গল। এ কথা না জেনেও সে ঘুরছে আরামে। আর আমি বা তুমি জেনেও জঙ্গলকে স্বর্গ ভেবে সুরা ঢেলে দিচ্ছি পাখির মুখে

না, আর সইতে পারে না সালেহা। জীবনটা একেবারে দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে তার কাছে। বিয়ে হয়েছে আজ চার বছর। চারটে বছর মানুষের জীবনে নেহায়েৎ কম নয়

লালচে সরু সোনালি কাটাকুটি আকাশজুড়ে। এক সাদা আশটে আলোয় ল্যান্ডিংয়ের সরু শেষ মাথার ঘাস সবে উঁকি দিচ্ছে। কাচের এই প্রান্তের এয়ার টাইট ইমিগ্রেশন কম্পাউন্ডেও একের পর এক প্লেনের ঘর্ঘর আওয়াজ

আমার লাইফে খুব আর্লি দুইটা আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে। এত আর্লি যে, এখন প্রায় গায়েই লাগে না ব্যাপারগুলা

ঘনায়মান কালো রাতে জনশুন্য প্রশস্ত রাস্তাটাকে ময়ুরাক্ষী নদী বলে কল্পনা করতে বেশ লাগে। কিন্তু মনের চরে যখন ঘুমের বন্যা আসে, তখন মনে হয় ওটা সত্যিই ময়ুরাক্ষী

মাথায় অসহ্য যন্ত্রণা আর একবুক তেষ্টা নিয়ে চোখ খুলল রুবি। কখন যে জ্ঞান চলে গেছিল, বোঝেনি । সেই সন্ধে থেকে চলছে মারধোর। বদরুদের ঘরের পাশের গাছটায় সে বাঁধা।

আমার ভাইঝি রাণুর প্রথমভাগের গণ্ডি পার হওয়া আর হইয়া উঠিল না। তাহার সহস্রবিধ অন্তরায়ের মধ্যে দুইটি বিশেষ উল্লেখযোগ্য, এক. তাহার প্রকৃতিগত অকালপক্ব গিন্নীপনা