হুমায়ূন আহমেদের গল্প ‘চোখ’

হেসে ওঠে নূরি। খলবল সে শব্দ মিলিয়ে যায় নদীর ওপর দিয়ে। শেয়াল ডেকে ওঠে কোথাও। সাঁকোর ওপর পা দিয়ে ভেবে পায় না সে, সাঁকো কেন কাঁপে। জলের মাছেরা জানে?

ভয়ে আতঙ্কে বড় হয়ে যাওয়া চোখে চারদিকে তাকিয়ে লোকটা ফিসফিস করে বললো, বাড়ি না বানিয়ে বরং টাকাগুলি রেখে দাও। আবার দেশ ছাড়তে গেলে জীবন আর সম্ভ্রম বাঁচাতে এগুলি কাজে লাগবে।

আইনস্টাইন কেন যে দার্জিলিং যাইতে যাইতে রানাঘাটে নামিয়াছিলেন বা সেখানে স্থানীয় মিউনিসিপ্যাল হলে ‘On…ইত্যাদি ইত্যাদি’ সম্বন্ধে বক্তৃতা করিতে উৎসুক হইয়াছিলেন—এ কথা বলিতে পারিব না

আমাদের রতন উল্লাপাড়ার মেয়ে। পানির মাছকে ডাঙায় তুললে যেরকম হয়, এই মেট্রো শহরের মধ্যে এসে রতনেরও সেই দশা উপস্থিত হয়েছে। বারোশ’ বর্গফুটের একটি ফ্লাটের মধ্যে তার কাজের জায়গা

রকিবুল শুধু জানতে চেয়েছিলে মহিলাকে দিল হাসান বিয়ে করে ফেলবে কি। গাড়ি করে বাসায় ফেরার সময় আরো মনে পড়ে কাকে যেন রকিবুলও একদা বিয়ে করে ফেলতে চেয়েছিল। অমলা না পারভিন, কে সে?

বীররামপুর গ্রামের আলি নসিব মিয়ার সকল দিক দিয়েই আলি নসিব। বাড়ি, গাড়ি ও দাড়ির সমান প্রাচুর্য! ত্রিশাল থানার সমস্ত পাটের পাটোয়ারি তিনি। বয়স পঞ্চাশের কাছাকাছি। কাঁঠাল-কোয়ার মত টকটকে রং

লোক দুইজন আমার সমবয়স্ক বলিয়া বোধ হইল। আমি বাঙালি মানুষ; গাড়িতে নতুন লোক দেখিলেই ফস করিয়া বলিয়া ফেলি, মশায়ের কোথায় যাওয়া হইবে?

আমার শরীরের নগ্নতার ওপর দিয়ে ঝিরঝির হাওয়া বয়ে গেল তার কথা শুনে। সে আমার কাঁধ ধরে ঘুরিয়ে দিল আমাকে আয়নার দিকে পেছন করে