হুমায়ূন আহমেদের গল্প ‘চোখ’

প্রতিদিনের মতো আজও ভোরবেলায় গঙ্গাস্নান সেরে দ্রুত হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন মথুরানাথ। খালি পা, পরনে ধুতি, গায়ে নামাবলি, কপালে তিলক, হাতে তামার পাত্রে গঙ্গাজল।

বাসে আমার সামনের সিটে যে মেয়েটা বসে আছে, হাত বাড়িয়ে তার পিঠ ছুঁয়ে দিতে খুব ইচ্ছে করছে। বেগুনি রঙের কামিজের উপর দিয়ে উঁকি দিচ্ছে ফর্সা মসৃণ ত্বক! স্পষ্ট হয়ে উঠেছে শারীরিক অবয়ব

প্রণয়ীর দৃষ্টিভঙ্গি বিচার করতে নুসরাত একটা হাফপ্যান্ট পড়ে মেহেদী মার্টে এলো। এ জীবনে বহু ছ্যাচড়া তার দেখা হয়ে গেছে। বেশিরভাগ ছেলেই তার রূপে মুগ্ধ হয়ে যায়!

মাইল দুয়েক ঘুটঘুটে জঙ্গল। বাঘ আছে। থাকা উচিত। বাঘ না থাকলে জঙ্গলের ইজ্জত থাকে না। শঙ্কর বললে, কোনও ভয় নেই, আজ শুক্রবার, বাঘদের ফাস্টিং ডে।

কাজের জন্য লিনাকে রওনা দিতে হয় ভোর ৫টায়। তাই ওকে উঠতে হয় ঠিক ৪টা ২০ এ। মিনিট চল্লিশেক লাগে রেডি হতে। ছেলে আর মেয়েটাকে কাপড় চোপড় পরিয়ে দেয় তখনি

নীলিমা, আমার স্ত্রী ইফতারির আয়োজনে ব্যস্ত, আর আমার ছয় বছরের কন্যা সুষমা কোনও এক প্রতিবেশীর বাসায়, হয়তো।

মোবাইল বেজে ওঠে। শেফালী কাঁখের মাটির ঝুড়ি নামিয়ে মোবাইলটা অর্চিশার কাছে এনে দেয়। গ্লাভস্ খুলে রিসিভ করে অর্চিশা। গ্রাম থেকে ফোন এসেছে। মামাতো ভাই আতাউল জিজ্ঞাসা করে, গ্রামে যাবে কবে

কটা চেয়ার টেনে নিয়ে শুভেন্দু বললে, ‘অমন হাঁ করে থাকার কিছু নেই- ভাবছ কল্যাণীকে আমি চিনলাম কী করে? তা চিনি হে চিনি- দুনিয়ার নানারকম জিনিসও হয়ে যায়।’