হুমায়ূন আহমেদের গল্প ‘চোখ’

হাজেরা  আপুকে পরিয়ে নিয়ে গেল রাত নয়টায়। সেই আশ্চর্য খবরটি জানে সবাই। শুধু জানিনা কেবল আমরা কয়েকজন বালক-বালিকা

উনি আরও কুৎসিত গল্প বলা শুরু করেন। উনি আমাকে প্রায়ই বলেন, অফিসে শাড়ি পরে আসতে। আমি সালোয়ার-কামিজ পরেই আসি। একা রুমের ভেতর চট করে শাড়ি উলটে ফেলতে কতক্ষণ

আসাদগেট মোড়ে পঁয়ত্রিশ মিনিট যানজটে আটতে থাকার পর বাস থেকে নেমে দৌড়াতে শুরু করেন ফারুক সাহেব এবং কুড়ি মিনিট দৌড়ানোর পর প্রায় ছুটতে ছুটতেই অফিসে প্রবেশ করলেন

বিলের জলে সাঁতার কাটে নিতু। ডুব দেয়। স্বচ্ছ জলের তলে তখন শেওলা-শালুক স্রোতের সঙ্গে ঢেউ তোলে। স্রোতের সঙ্গে গা এলিয়ে দেয়। স্রোতের সঙ্গে ঘুরে, ঢেউ তোলে, পাক খায়

এখন আমরা অনেক বড় হয়ে গেছি। সাঁতার কাটতে পারি। পুকুরের এপার থেকে ওপারে চলে যেতে পারি সাঁতার কেটে। বিলও পাড়ি দিতে পারি। গফুরও এসব কিছুই করতে পারে। কিন্তু ওর বোকামিগুলো আমাদের বারবার বিপদে ফেলে

নোংরা দুর্গন্ধের মাঝে টোকানোর কাজ করে চলতো লোকটা। ছালাটা ফুলেফেঁপে উঠছিল

কিপটে বুড়ি, আমি আর কাজ করবো না তোমার বাড়িতে । হাড়-মাস জ্বালিয়ে খেল, নতুন বছরে দুশো টাকা মাত্র বোনাস চাইছি, তাও দেবে না ! ওই টাকা নিয়ে তুমি কি স্বর্গে যাবে? তিন কূলে তো কেউ নেই? কী করবে ওই টাকা দিয়ে তুমি

সেই প্রথম কলকাতা যাওয়া। চারপাশের ধূপের গন্ধ। অন্য এক দেশের গন্ধে কেমন যেন বিমোহিত বোধ করছিলাম