হাসিনাকে অবশ্যই ফিরিয়ে দিতে হবে ভারতকে: ড. ইউনূস
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : নভেম্বর ১৯, ২০২৪
সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনাকে ভারতকে অবশ্যই ফেরত দিতে হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সোমবার তিনি এ কথা জানান।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “শেখ হাসিনা ভারতে বসে তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। বিচারের মুখোমুখি করতে হাসিনাকে অবশ্যই ফিরিয়ে দিতে হবে ভারতকে। ফিরিয়ে না দিলে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে খুব একটা সুখের সম্পর্ক তৈরি হবে না।”
তিনি আরও বলেন, “আমি যখন জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে গিয়েছি, তখন মোদি সেখান থেকে চলে গিয়েছিলেন। আমি বাকুতে জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলাম, কিন্তু মোদি সেখানে ছিলেন না। বিমসটেক (থাইল্যান্ডে) বাতিল করা হয়েছে এবং আমরা কেউই কমনওয়েলথ বৈঠকে যায়নি।”
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “কিন্তু তার মানে এই নয় যে, আমরা দেখা করব না। আমরা শুধু প্রতিবেশী নই, ইতিহাস আমাদের একত্র করেছে। ভূগোল আমাদের একত্রিত করেছে। ভাষাগত সম্পর্ক আমাদের একত্রিত করেছে। সাংস্কৃতিক যোগসূত্র আমাদের একত্রিত করে।”
তিনি আরও বলেন, “প্রথম দিন থেকেই আমি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করার প্রস্তাব দিয়েছি। অকার্যকর গোষ্ঠী হতে হবে কেন? এমনকি আমি পরামর্শ দিয়েছিলাম যে, সার্ক নেতারা নিউইয়র্কে মাত্র ৫ মিনিটের জন্য হলেও যেন বৈঠক করতে পারেন।”
ড. ইউনূস বলেন, “আমরা যত বেশি বন্ধু ও সম্পর্ক তৈরি করতে পারি, তত ভাল। সার্ককে চলতেই হবে। এমন হওয়া উচিত নয় যে, শুধুমাত্র দুই দেশের (ভারত ও পাকিস্তান) মধ্যে সম্পর্কের কারণে পুরো গোষ্ঠীটি অদৃশ্য হয়ে যায়। আমরা একটি রেজুলেশন পাস করতে পারি, ভারত-পাকিস্তানের যেকোনও ইস্যুকে এজেন্ডা থেকে স্থগিত করতে পারি, কিন্তু সার্ককে শেষ করতে পারি না।”
সন্ত্রাসবাদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সার্কের কর্মকাণ্ড স্থগিত করতে ২০১৬ সালে ভারতকে সমর্থন করা কি বাংলাদেশের জন্য ভুল ছিল কিনা এমন প্রশ্নে জবাবে ড. ইউনূস বলেন, “আমরা যদি এমন শর্ত সামনে রাখি, তাহলে কোনো সম্পর্কই চলবে না। দুই সদস্য দেশের সম্পর্কের কারণে দক্ষিণ এশিয়ার অন্য সব দেশকে কেন ভুগতে হবে?”