হাতের শিরা কেটে ও পিটিয়ে ৩ বাংলাদেশিকে হত্যা বিএসএফের

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : ডিসেম্বর ১৮, ২০২৪

যশোরের বেনাপোল সীমান্তে জাহাঙ্গীর হোসেন ও শাবুর আলীসহ ৩ বাংলাদেশিকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী  বিএসএফ। আজ বুধবার ভোরে তাদের হাতের শিরা কেটে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

হত্যার পর মহদেহ সীমান্তের ইছামতি নদীতে ফেলে দেয় বিএসএফ। পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় দুপুরে পুলিশ দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে ।

হত্যার শিকার বাংলাদেশিরা হলেন: বেনাপোল পৌর্টথানার কাগজপুকুর গ্রামের ইউনুচ মোড়লের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন ও দিঘীরপাড় গ্রামের আরিফ হোসেনের ছেলে শাহাবুর হোসেন। আরেকজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

জানা গেছে, একজনকে নির্যাতনে হত্যার পর হাতের শিরা কেটে ফেলে দেওয়া হয় ইছামতি নদীতে। আরেকজনকে পিটিয়ে হত্যার পর বাংলাদেশ সীমান্তে রেখে যায় বিএসএফ।

হত্যার শিকার শাহাবুর হোসেন ভারতে যাচ্ছিল কাজের সন্ধ্যানে। জাহাঙ্গীর যাচ্ছিলেন ভারতে তার স্ত্রীর সাথে দেখা করতে। এসময় বিএসএফ সদস্যরা তাদের ধরে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম এই মানুষদের হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে দুই পরিবার।

সীমান্ত সম্মেলনসহ বিভিন্ন বৈঠকে বিএসএফের পক্ষ থেকে সীমান্ত হত্যার বন্ধের আশ্বাস আসলেও তা মানা হয়নি। বারবার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের হত্যা করছে তারা। কর্তব্যরত অবস্থায় এ বছরের ২২ জানুয়ারি বিএসএফের গুলিতে নিহত বিজিবি সদস্য রহিস উদ্দীনের আজও ন্যায় বিচার মেলেনি।

জাহাঙ্গীরের স্বজন আব্দুর রহিম জানায়, বিএসএফ নির্যাতন চালিয়ে তাকে হত্যা করে। তাকে না মেরে আইনের হাতে তুলে দিলে একদিন ফিরে আসতো। এ জঘন্য হত্যার বিচার চাইছি।

শাহাবুরের স্ত্রী হাসি বেগম বলেন, “সে বাড়ি থেকে কাজের কথা বলে বেরিয়েছিল। পরে শুনতে পারি বিএসএফ তাকে হত্যা করে নদীতে ফেলে দিয়েছে। তার সাথে মানুষ তাকে নদী থেকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসে। তার হাত পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তাদের কব্জি কেটে দেয় বিএসএফ। এখন আমাদের দেখার আর কেউ থাকলো না।”

বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশের ওসি রাসেল মিয়া বলেন, “সীমান্ত থেকে ৩ বাংলাদেশির মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। তাদের বাড়ি বেনাপোলে। তিনজনেরই শরীরের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে কোপানো ও জখমের চিহ্ন রয়েছে।”