‘সিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী কয়েকশো নাগরিক হত্যা করেছে’

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : মার্চ ০৯, ২০২৫

সিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী আলাওয়ি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কয়েকশো বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে বলে যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী একটি সংস্থা সম্প্রতি জানিয়েছে।

ব্রিটেন-ভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর) সংস্থাটি জানায়, শুক্র ও শনিবার প্রায় ৩০টি গণহত্যায় বেসামরিক ৭৪৫ নাগরিক নিহত হয়েছে। যার বেশির ভাগ আলাওয়ি সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করেই পরিচালিত হয়।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, শত শত মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে। এই অঞ্চলটি সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। তিনি নিজেও আলাওয়ি সম্প্রদায়ের সদস্য। দুই দিনে সিরিয়ায় ১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।

দেশটির উপকূলীয় লাতাকিয়া ও তার্তুস প্রদেশে বৃহস্পতিবার থেকেই চলতে থাকা এ সংঘর্ষকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে বিদ্রোহীদের হাতে আসাদ সরকারের পতনের পর সিরিয়ায় সংঘটিত সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংসতা বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এসওএইচআর জানায়, নিহতদের মধ্যে অন্তত ১২৫ জন ইসলামপন্থী নেতৃত্বাধীন সরকারী নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য এবং ১৪৮ জন আসাদপন্থী মিলিশিয়া যোদ্ধা।

সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানাকে বলেন, “বিশ্বাসঘাতক হামলার পর সরকার পরিস্থিতি পুনরায় নিয়ন্ত্রণে এনেছে।”

লাতাকিয়ার এক কর্মী শুক্রবার বিবিসিকে বলেন, “এই সহিংসতার ফলে আলাওয়ি সম্প্রদায় ভয়ের মধ্যে আছে। বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে পালিয়ে যাচ্ছে।”

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, বহু মানুষ ‘আমরা রাশিয়ার সুরক্ষা চাই’ বলে স্লোগান দিচ্ছে। এছাড়া দেশটির স্থানীয় এক গণমাধ্যম জানিয়েছে, বেশ কিছু পরিবার নিরাপত্তার খোঁজে পার্শ্ববর্তী লেবাননে পালিয়ে গেছে।

সিরিয়ায় জাতিসংঘের বিশেষ দূত গিয়ার পেডারসেন বলেন, “উপকূলীয় অঞ্চলে বেসামরিক হতাহতের খুবই উদ্বেগজনক প্রতিবেদনগুলোর কারণে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।”

তিনি সব পক্ষকে এমন সকল কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন, যা দেশকে অস্থিতিশীল করতে পারে। সূত্র: বিবিসি