সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে মামলা

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : জানুয়ারি ১৫, ২০২৫

ছাত্র আন্দোলনে হামলায় কিশোরগঞ্জে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ (জয়), মেয়ে সায়মা ওয়াজেদসহ (পুতুল) ১২৪ জনকে এই মামলায় আসামি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেলে কিশোরগঞ্জ সদরের উত্তর লতিবাবাদ এলাকার আবু তাহের ভূঁইয়ার ছেলে তহমুল ইসলাম মাজহারুল বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে গণহত্যায় নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

এই প্রথম কোনো মামলায় সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে আসামি করা হলো। মামলায় আবদুল হামিদ ৩ নম্বর আসামি। মামলায় আরও ২০০ থেকে ২৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ সদর থানায় ১১টি মামলাসহ জেলায় প্রায় অর্ধশত রাজনৈতিক মামলা হয়েছে। এসব মামলায় প্রায় ৪ হাজার জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০ হাজারের বেশি লোককে আসামি করা হয়েছে।

এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে, স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পতনে সংগঠিত ছাত্র-জনতার গড়ে ওঠা ঐক্য-আন্দোলনকে দমন করতে দেশ-বিদেশে অবস্থান করা ১ নম্বর থেকে ২০ নম্বর আসামি সারা দেশে গণহত্যার পরিকল্পনা করে। সেই মোতাবেক তারা কিশোরগঞ্জে যাতে কোনো আন্দোলন হতে না পারে, সেজন্য ২১ থেকে ৪০ নম্বর আসামিদের নির্দেশ দেন।

ওই নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য ৪১ থেকে ১২৪ নম্বর আসামিরা শটগান, বন্দুক, পিস্তল, ককটেল, বোমা ও দেশি অস্ত্র এবং অর্থ সরবরাহ করে আন্দোলন দমাতে এবং গণহত্যার নির্দেশ দেন। গত বছরের ৪ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে জেলা শহরের স্টেশন রোড এলাকায় ছাত্র-জনতার মিছিলে আসামিরা হামলা চালায়। তারা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি চালিয়ে মামলার বাদীসহ সাক্ষীদের আহত করে। এছাড়া আসামিরা গ্রেনেড, ককটেল ও বোমা নিক্ষেপ করে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে।

মামলার বাদী তহমুল ইসলাম মাজহারুল বলেন, “আমি বিএনপির কর্মী। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহতদের তালিকায় আমার নাম রয়েছে। আহত অবস্থায় দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেওয়ার পর আমি এখন কিছুটা সুস্থ হওয়ায় মামলা দায়ের করেছি।”

কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “তদন্ত করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

কিশোরগঞ্জের সরকারি কৌসুলি (পিপি) মো. জালাল উদ্দিন বলেন, “সাবেক রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে মামলা করায় কোনো আইনি বাধা নেই। যে কেউ চাইলে মামলা করতে পারেন।”