সাঈফ ইবনে রফিক
সাঈফ ইবনে রফিকের ৪ কবিতা
প্রকাশিত : ডিসেম্বর ১৫, ২০২০
ফিলিস্তিন
দুঃখের পানি যখন
নীরবে ঘোমটা পরে;
অশ্রুকে বলেছি, জেরুসালেম যাও।
পথে শুনলাম, কান্নার ঘোলাজল
আটকে দিয়েছে ইজরায়েলি নৌ সেনারা!
বন্ধ রামাল্লা। হেবরনের দোকানপাটেও
নষ্ট মেমোরি কার্ড থেকে
ডাটা উদ্ধার নিষিদ্ধ।
যদি বুঝতে যাও—
কিভাবে এই দুঃখের শুরু?
কাঠগড়ায় পূর্বপুরুষদের ডেকে
দাঁড় করাবে তোমরা!
ঘৃণার বাণিজ্যে যারা
ব্যবসাসফল। নিরাপত্তার তাগিদে
তারাও এখন কাঁদে!
আর কান্না বিক্রি করে
পৃথিবীজুড়ে—
ফিলিস্তিন! ফিলিস্তিন!
মানবাধিকার
এক পৃথিবী বিস্ময়
পাশ কাটিয়েছে লং ড্রাইভের গাড়ি!
বহরেই ছিল কিছু সাঁজোয়া যান
আর্টিলারির কামান
আর ননসেন্স কিছু অ্যাম্বুলেন্স।
গৃহযুদ্ধে
ভাইয়ে ভাইয়ে অনর্থ বিবাদে
আন্তর্জাতিক অপরাধের আকাশে
ঝাঁকে ঝাঁকে বোমারু বিমান—
জনপদ ছারখার করে দিচ্ছে
মানবাধিকার!
ভাস্কর্য
মসজিদের মিনারও একটা ভাস্কর্য
কুতুব মিনারও মূর্তি!
আর যারা বলে,
এতে প্রাণীর অবয়ব নেই—
তারা নিজেরাই নিষ্প্রাণ।
যখন মিনার থেকে
নামাজের জন্য ডাকছে আজান—
নাগরদূষণে মৃত আত্মা
জেগে ওঠে। ভেতরে ভেতরে
মহাপ্রাণ।
প্রাণ ফুঁকে দেয়ার আগে
আদমও এক মাটির ভাস্কর্য;
বিশ্বাস করো, পৃথিবীর প্রতিটি
মসজিদের মিনারে মিনারে
প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়েছে।
স্পন্দন আছে।
পাপ
পৃথিবীর সব পাপ
শুষে নেবে যে পাথর—
সে তো আমার বাপ,
তারও অনুভূতি আছে।
যারা পাথরকে নিষ্প্রাণ ভেবে
সালাফি সময়ে বুঁদ
না বুঝেই—
তারা ভুলকে ভুল ভাবতে পারছে না।
ফিজিক্স দিয়ে আল্লাহকে খুঁজো না
হে আধুনিক।
যুক্তি তোমাকে জিততে শেখায়
অথচ আত্মসমর্পণেই নিহিত
তোমার সার্বভৌম মুক্তি।
পাথরে পাথর ঘষে আগুন
পাথরেই লুকানো প্রাণ।
শোনো হে হাজরে আসওয়াদ,
পাপের পৃথিবীজুড়ে এশার আজান।