সাঈফ ইবনে রফিক
সাঈফ ইবনে রফিকের ২ কবিতা
প্রকাশিত : এপ্রিল ১১, ২০২১
আহা ভূমধ্যসাগর
`আই হেইট কাতালান রেবেলস!`
বার্সার জার্সি পরা
ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত স্প্যানিশ তরুণী
বলে উঠলো!
আমি হেসে উঠলাম। বললাম,
তোমার বুকে যে কাতার এয়ারওয়েজ—
শুধু এরা চাইলেই এক রাতের মধ্যে
একেকটা নিউইয়র্ক হয়ে উঠতে পারে
গাজা-রামাল্লা-জেরিকো-হেবরন!
আইবেরীয় উপদ্বীপে
অনারব অটোম্যানের হেরিকেন সাম্রাজ্যে
যতটা জাদু—
এরচেয়ে ঢের বেশি আলো
আরব্য রূপকথার ঝাড়বাতিতে!
কর্ডোভা থেকে বসনিয়া হয়ে আলবেনিয়ায়
অপরাধপ্রবণ গ্রামগুলো জ্বলছে।
ইউরোপ! ইউরোপ!! জিকিরে অন্তপ্রাণ
হিজাবি শেতাঙ্গ কিশোরীরা
আরব না হওয়ার হীনমন্যতায় ভুগছে—
আর তুমি ভাবছো
কাতালানরা হামাস হয়ে যাক?
পশ্চিম তীরে তরী ডোবার আগে
সেনজেন ভিসায় দেখো—
কিভাবে ইউরোপ চষে বেড়াচ্ছে
আলাদিনের উড়ুক্কু কার্পেট।
অথচ মার্কেট ইকোনোমি বলছে—
মরোক্কায় আটকে থাকা
স্প্যানিশ নৌঘাঁটিও নাকি কৌশলগত ভুল!
জিব্রাল্টারে ডুবে যাওয়া তারিকের মাস্তুল থেকে
যে অগ্নি স্ফুলিঙ্গ ঢুকে পড়েছে
লন্ডনের ইসলামিক সেন্টারে—
তাতেও ইহুদি খাদ।
শাহাদাতের মোড়কে
চকচকে গহনা গড়ার ষড়যন্ত্র!
আহা ভূমধ্যসাগর,
এপারে ওপারে জ্ঞান-বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ মুসলমান বাতাসে
গড়ে ওঠা আপেল-কমলা-নাশপতি বাগানে
যে রোমান আধিপত্য গুড়িয়ে দিয়েছিল
তোমার পূর্বপুরুষ। অ্যাসাইলামের মদে
তা গুলিয়ে ফেললে পুরোটাই!
বার্সেলোনায় এখন টাকারা থাকে
ফিলিস্তিনিদের মতোই বিলুপ্তপ্রায় কাতালানরা!
ব্রিটিশ পাসপোর্ট
ব্রিটিশ পাসপোর্ট হাতে প্রাউড
স্কটিশ ছেলেটা বলছিল—
তোমরাও পারতে এমন!
কী? জিজ্ঞেস করতেই
চোখ বড় বড় করে বললো—
ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান পাসপোর্টে
তোমাদেরও এমন আভিজাত্যের সুযোগ ছিল!
বললাম, ব্রেভ হার্ট মুভিটা দেখেছিলাম বলাকায়।
তোমাকে তো মেল গিবসনের মতো লাগছে না!
তুমি কি জানো স্বাধীনতা কী?
`স্বাধীনতার বিরোধিতা করার
চরম স্বাধীনতাও আমাদের আছে`
গ্রে হাউন্ডের মতো চিৎকার করে বললো
ব্রিটিশ প্রাউডে আসক্ত স্কটিশ ছেলেটা।
আমি শুধু বললাম—
তোমরা জানো না, কী নেই তোমাদের!