সাফি কামাল রিয়াদ
সফি কামাল রিয়াদের ৫ কবিতা
প্রকাশিত : এপ্রিল ২৫, ২০২২
মৃত্যু
মৃত্যু একটি করুণা রে
শোকে
তাপে
ভারে
তোকে তুলে নিতে আসে।
বাবা
বৈশাখের কড়া রোদ
গভীর দুপুরবেলা।
বাবা আমার দিকে চেয়ে
চোখের পানি ছেড়ে দিলেন।
রোদের ভেতর দিয়ে ঝিরঝির হাওয়া
দীর্ঘ ঘুমের দিকে প্রবাহিত হলো।
সন্তোষ স্যার আমাকে কোলে নিয়া বললেন,
তোমার বাবা মরে গেছে।
তারপর থেকে আমি পৃথিবীকে ক্ষমা করতে পারিনি।
জীবন নাকি ধূম্রজালিকা
ঝিঁঝি পোকার চিৎকারকে কেন্দ্র করে
একটা রাত জেগে থাকে।
রাতের কেন্দ্রে থাকে অন্ধকার।
অন্ধকারের বিন্দুতে ছেড়ে দেওয়া থাকে শ্বাস।
শ্বাসের বিন্দুতে ঘুরতে থাকে পৃথিবী।
একটা ঘূর্ণায়মান পরিবহনে বসে
স্বপ্ন
নাকি
বাস্তব!
সেই কথা ভাবতে ভাবতে...
আমার অনুপস্থিতিতে হয়তো
সকাল হইতে থাকে।
আমার কথাগুচ্ছ
কত কথাই আমার থেকে
আলাদা হয়ে গেছে।
যাদের যাদের আপন লাগতো,
গুচ্ছ অনূভুতি আলাপ!
তারা আজ দীর্ঘপথ দিয়ে
ঘূর্ণায়মান স্রোতে পড়েছে।
আমার ভাষা
আর পানির ভাষা
তাহারা মিশ্র ধ্বনি তুলে
হারায় গেছে অপরিচিত সমুদ্রে।
পদার্থ
কি পদার্থ তুমি?
কোথাও তুমি কাজে আসো না
হাইড্রোজেন হলে
অক্সিজেনের সাথে মিশে পানি হতে পারতা
তখন মানুষের জীবন হবার সম্ভাবনা থাকতো
তোমার।
কী হইলা তুমি?
উঁচু-নিচু পাহাড়ের গাঁয়ে
সিঁড়ি হইতে পারতা
সুবিধা করে মানুষ ওপরে উঠে যাইতো।
ধুলাও হইতে পারতা?
কি হইলা তুমি?
কিছুই বোঝা যায় না
তোমারে দেখাই যায় না
বুঝবো কেমনে?
কী আজব হইলা তুমি!