সজীব দে’র তিনটি কবিতা
প্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২০
নিরুদ্দেশের গুপ্তকথা
সবকিছু মুছে দিয়ে বলছি, আপাতত সরল কথাবন্দি থেকে তোকে নিয়ে গেছে আজরা...
আজরা যে কবে কোথায় গেল, সে কথা তার প্রিয় কলমও জানে না।
ধারণা করা যাচ্ছে, সে হয়তো কোনো আদি বিনিময় প্রথায় চলে গেলে
কোনো মরুনারী কবন্ধে তাকে বন্দি করে রেখেছে কোনো মিশরের রক্তিম সুন্দরী।
সে নারী জাদু জানে কিনা এমনটা সন্দেহ করা আমাদের পক্ষে সহজ
কিন্তু বাঘের মুখ থেকে বেঁচে আসা মুরালি জানায়, সে নারী মিশরের সবচেয়ে গুপ্তকথা নিয়ে বসে আছে
এ রহস্য যদি আমরা জানতে পারি তা জানতে পারবো শুধু মরে যাওয়ার আগে এক ভিক্ষুর কাছে।
যার বয়স এখন মাত্র আঠার। কত দিন অপেক্ষা করে আজরাকে পাব, সে হিসেব করতে বসলে
নিউটনকে আবার পুনরায় জন্মগ্রহণ করতে হবে, এমন আশাও আমরা ছেড়ে দিয়েছি।
কিন্তিু তার বউ ময়ূরী প্রায় তার আশা ছেড়ে দিয়ে ঘুমিয়ে থাকে সন্ধে হলে।
আমাদের সন্দেহ হয়, ময়ূরী অন্য কারও সাথে ঘুমিয়ে আজরাকে স্বপ্নে দেখে।
কিন্তু সবশেষে মুরালি আমাদের যা জানায়, সে বাঘের মুখ থেকে বেঁচে এসেছে
তার কপালে কালো এক টিকার মতো দেখতে পেয়েছিল।
তার ধারণা, ওই বাঘের টিকার মধ্যে লুকিয়ে আছে সে ম্যাপ যার মাধ্যমে আমরা আজরাকে ফিরয়ে আনতে পারবো।
কিন্তু কথা হলো, আজরাকে কেন ফিরিয়ে আনা হবে? ভয়ংকর কথা যেটি, আমরা যদি আজরাকে ফিরিয়ে আনতে না পারি
তবে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বিশ্বযুদ্ধটা বেঁধে যাবে। কারণ যে নারীটি তাকে বাহুবন্ধনে আটকে রেখেছে সে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কবিতাটি তার মূল্যবান সিন্দুকে লুকিয়ে রেখেছে।
এ অবস্থায় কবিসকল এখন আর কোনো কবিতা লিখতে পারছে না। তবে উপায়! বাকি অংশ বাদ থাকুক কিংবা যদি মনে হয় লিখবো যেদিন খুশি...
চলে যেতে চাই
চলে যেতে চাই
বিষণ্ণ আলোয়
প্রজাপতির কুয়াশা লাগা ডানায়
যেখানে ভোর হয় বিকেলে
ঝরাপাতায়।
আকাশ দেখতে চাই না
ভাল্লুকের উপর শুয়ে
নদী দেখবো আকাশের
বদলে।
তুমি থাকো সংসারের বাতায়নে
আমি আর ফিরবো না।
প্রেম নেই তবু
প্রেম তবু নেই সন্নিকটে
অধ্যায় তারও বেশি পড়েছি জেলি ফিস
সেতো জানায় একদিন হলুদ রোদে নেবে আমাকে
তোমার ছন্নছাড়া চোখ হাত কবেই গেছে হাওয়ায় মিলিয়ে
এসব জেনে যখন জীবনবোধ থেমে গেছে মানুষের মহান হবার বাসনায়
পাহাড় তখন ডাকে তিরতির বনফুলের ঘ্রাণে মরে যাই
অসমাপ্ত মস্তিস্কের আয়নায় দেখি ক্ষণ
তারকাভস্কির স্লো মোশনে...