সজীব দে’র কবিতা ‘টুম্পা, এই শহরের অট্টালিকায়’

প্রকাশিত : ডিসেম্বর ০৪, ২০২৩

টুম্পা বিষয়ক কোনও কবিতা হতে পারে বা না-পারে
তা একটি পেন্ডুলাম...
একটি না-জন্ম নেয়া ভাষার দৃশ্যাবলি তৈরি হতে
যেটুকু সময় লাগে
তার আগমূহুর্তে যে স্পেস পায়
তার হাতে থাকে তুমুল রঙ
আর তখন মোজার্ট বাজে ঘরময়
এবং বাতাসের সাথে প্রেম হয় কৃষ্ণগহ্বরের।

আর শুরু হয় শেষ ভাষার প্রথম সংকলন
টুম্পা একটি ভাষার নাম হতে পারে
নয়তো সকালের চোখের কেতুর রাতে মন্কের সাথে বিদায়ী আলাপ শেষে।
সকল ভুলের ভেতর সমুদ্রের তীর জন্মায়
এবং মনে হয়, সময়ের ভেতর ঘুমিয়ে পড়ে
ভ্রান্তির আবছায়া।

বাতাসের শরীর জুড়ে ঝুলে থাকে কতশত উদ্যান
ফুলবিহীন যেন শুভ্রতার শেষে উদ্দাম নৃত্য তোমাদের
যারা হোয়াইট স্মেকে মগজ গলিয়ে শহরের দেয়ালে
লেখো সন্তের কথা।

ভেঙে যায় জলের রূপ
তোমার মিথ্যায় গান গায় নীল ঘাই হরিণ।
এই মেলানকোলিক গানে দুধের স্বাদ পায় প্রেমিক
মনে হয়, এই মাত্র বের হবে কোমর থেকে পিস্তল।

প্রতিবিম্ব ছুঁয়ে হাসপাতালের ফিনাইলের ঘ্রাণে
বারবার ছুঁটে যেতে চাই মৃত্যুর কাছে
ঘুমের রেখায় প্রজাপতি কথা বলে দূর নীলের।

টুম্পা, এই শহরের অট্টালিকায় সমুদ্র স্নান করি গণিকালয়ের নামে।
মূলত তোমার ফিরে আসা আর চলে যাবার নামে
প্রেমিক ছেনালিপনা করে কবিতায় কনডম পরিয়ে।