
‘শহিদদের রক্তের বদলা নিতে আমরা জীবন দিতে প্রস্তুত’
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : এপ্রিল ০৩, ২০২৫
শহিদদের রক্তের বদলা নিতে আমরা জীবন দিতে প্রস্তুত আছি বলে জানিয়ছেন ইসলামী ছাত্র শিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। বুধবার রাতে লক্ষ্মীপুর শহরের ঐতিহ্য কনভেনশন সেন্টারে শহর শিবির শাখার ব্যানারে আয়োজিত শহিদ পরিবেরের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানের তিনি এ কথা জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাহিদুল ইসলাম বলেন, “যারা নিজেদেরকে শহিদদের উত্তরসূরি মনে করে, তাদের কাছে নতুন করে ভয় শঙ্কার কোনো জায়গা নেই। আমি ওয়াদা করছি, শহিদদের রক্তের বদলা নেওয়ার জন্য, ঋণ পরিশোধের জন্য আমরা লক্ষ লক্ষ যুবক জীবন দিতে প্রস্তুত আছি।”
তিনি আরও বলেন, “আপনাদের আকুতি-আবেগ আমরা কোনো কিছু দিয়ে পূরণ করতে পারব না। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আপনাদের মনে ক্ষোভ রয়েছে। বাংলাদেশে শুধু আওয়ামী ফ্যাসিবাদ নয়, অদূর ভবিষ্যতে নতুন করে কোনো ফ্যাসিবাদ-জুলুমতন্ত্র আমরা কায়েম হতে দেব না।”
ইসলামী ছাত্র শিবিরের সভাপতি বলেন, “বিভিন্ন জায়গা থেকে আওয়ামী লীগকে আবার পুনর্বাসন করার চেষ্টা চলছে। ফ্যাসিবাদকে আবার রাজনীতি ও ক্ষমতায় আসার জন্য সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। যারা এ কথাগুলো বলে তারা নিজে শহিদদের রক্তের সঙ্গে গাদ্দারি করে, বেঈমানি করে।”
তিনি আরও বলেন, “আন্দোলনে আমারও শহিদ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কোনোভাবে যদি শেখ হাসিনা টিকে থাকতো। আজকে এই শহিদ পরিবারের সঙ্গে বসার সুযোগ থাকতো না। এই পরিবারগুলোকে নিশ্চিহ্ন করে দিতো বাংলাদেশ থেকে। বিভিন্ন হাসপাতালে যখন আমাদের ভাইদেরকে চিকিৎসার জন্য পাঠাতাম তাদেরকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে।”
জাহিদুল ইসলাম বলেন, “অনেক ভাইকে গুলি করেছে। একটি বিভীষিকাময় সময় আমরা পার করেছি। এখন নতুন করে আমাদের ভয় শঙ্কা, চাওয়া-পাওয়ার হিসেব নিকেশ নেই। জুলাই আগস্টের আন্দোলনের আগপর্যন্ত ইসলামী ছাত্র শিবিরের ২৩৪ ভাই বিভিন্নভাবে শহিদ হয়েছে। ১ হাজারেরও বেশি ভাইকে গুম করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “কাউকে ৩ দিন, কাউকে ৫ দিন, ১ মাস ও বছরের পর বছর গুম করে রাখা হয়েছে বিভিন্ন আয়নাঘরে। এর মধ্যে অনেক ভাইকে আমরা লাশ হিসেবে পেয়েছি। আবার অনেক ভাইকে আহত পঙ্গুত্ব অবস্থায় পেয়েছি। অনেক ভাইকে গুম করার পর তার খোঁজ আর পাওয়া যায়নি।”
শিবিরের সভাপতি বলেন, “এখনো পর্যন্ত জুলাই আগস্টের পর আমাদের ৭ জন ভাইকে পাচ্ছি না। পরিবারগুলোর কাছে আমরা কিভাবে জবাব দেব? আমাদের ভাইয়েরা কি জীবিত আছে? জুলাই আগস্টে ইসলামী ছাত্র শিবিরের অনেক ভাইকে হারিয়েছি।”
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন: জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির এআর হাফিজ উল্যাহ, শিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মুহতাসিম বিল্লাহ, মাদ্রাসা সম্পাদক আলাউদ্দিন আবির, তথ্য সম্পাদক আবু সায়েদ সুমন, আইন সম্পাদক আরমান হোসেন পাটওয়ারী, প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।