![](https://www.chharpatra.com/media/imgAll/2020May/L20250212063017.jpg)
শনিবারের মধ্যে জিম্মিদের মুক্তি না দিলে ফের যুদ্ধ: নেতানিয়াহু
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৫
শনিবার দুপুরের মধ্যে হামাস জিম্মিদের মুক্তি না দিলে গাজায় যুদ্ধবিরতি বন্ধ করে তীব্র সামরিক অভিযান শুরু হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
পোস্টে নেতানিয়াহু বলেন, “শনিবার দুপুরে যদি হামাস আমাদের বন্দিদের ফিরিয়ে না দেয়, তাহলে যুদ্ধবিরতি শেষ হয়ে যাবে এবং হামাস শেষপর্যন্ত পরাজিত না হওয়া পর্যন্ত (ইজরায়েলি সেনাবাহিনী) তীব্র লড়াইয়ে ফিরে যাবে।”
গাজায় ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। ৩ পর্যায়ের এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যে বন্দি বিনিময় এবং স্থায়ী শান্তি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইজরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। তবে ইজরায়েল এই চুক্তির মূল বিধান লঙ্ঘন করেছে বলে হামাস অভিযোগ করেছে।
হামাস জানিয়েছে, ইজরায়েলি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন এমন একপর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে এটি নিয়ে আর দর কষাকষির সুযোগ নেই এবং ইজরায়েলি বন্দিদের আসন্ন মুক্তি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করছে তারা।
সোমবার হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবেইদা বলেন, “প্রতিরোধ নেতৃত্ব শত্রুপক্ষের চুক্তি লঙ্ঘন এবং চুক্তির শর্তাবলির প্রতি তাদের অসম্মতির বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছে। হামাস তার সমস্ত বাধ্যবাধকতা পূরণ করে চলেছে।”
হামাস আরও জানায়, ইজরায়েল সব বাধ্যবাধকতা ঠিকমতো মেনে চললে বন্দি বিনিময়ের দরজা খোলা থাকবে। হামাসের এই মুখপাত্র উত্তর গাজায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের ফেরাতে বিলম্ব করা, মানুষের ওপর গুলি চালানো এবং মানবিক সহায়তা অনুমোদনে ব্যর্থতার অভিযোগ করেছেন ইজরায়েলের বিরুদ্ধে।
নেতানিয়াহু মঙ্গলবার একের পর এক টুইট বার্তায় হামাসকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য দোষারোপ করে জানান, তিনি ইজরায়েলি সেনাবাহিনীকে গাজার অভ্যন্তরে ও চারপাশে জড়ো করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এ পর্যন্ত চুক্তির অংশ হিসেবে হামাস ইজরায়েলি কারাগারে বন্দি শত শত ফিলিস্তিনিদের বিনিময়ের ধারাবাহিকতায় ২১ বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি শুরুর পর ১৬ ইজরায়েলি ও ৫ থাই বন্দি মুক্তি পেয়েছে। বিনিময়ে ইজরায়েলের কারাগার থেকে ৫৬৬ বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়।
তিন সপ্তাহের মধ্যে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে ৩৩ বন্দি ও ১ হাজার ৯০০ বন্দি বিনিময় হওয়ার কথা রয়েছে। ইজরায়েল জানিয়েছে, ৩৩ জনের মধ্যে আটজন জীবিত নেই। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইজরায়েলে হামলার সময় হামাস ২৫১ জনকে আটক করেছিল।
জবাবে ইজরায়েল গাজা ভূখণ্ডে ব্যাপক আগ্রাসন চালায়। এতে ৪৮ হাজার ফিলিস্তিনি মারা গেছে বলে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। সূত্র: বিবিসি, আল জাজিরা ও টাইমস অব ইজরায়েল