লক্ষ্মীপুরে বাসের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, নিহত ৩
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : অক্টোবর ১৪, ২০২৪
লক্ষ্মীপুরে একটি বাসে গ্যাস নেওয়ার সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তিনজন নিহত ও ২০ জন দগ্ধ হয়েছে। দগ্ধদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌরশহরের মুক্তিগঞ্জ এলাকায় গ্রীন লাইফ ফিলিং স্টেশনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন: সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরমনসা বটুমিয়ার ছেলে সুমন হোসেন, বাঞ্চানগর এলাকার সূজা মিয়ার ছেলে মো. ইউসুফ মিয়া ও হৃদয় হোসেন। তারা সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালক ছিলেন।
আহতরা হলেন: সুমন হোসেন, মো. রকি , মোহাম্মদ ফাহাদ হোসেন, সিরাজ মিয়া, মো. হৃদয়, শান্ত খান ও আবদুল মালেকসহ ২০ জন। এদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতরা বাস ও সিএনজির চালক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, লক্ষ্মীপুর-রামগতিগামী মেঘনা পরিবহণ নামের একটি বাস গ্যাস নিতে আসে গ্রীন লাইফ ফিলিং স্টেশনে। এ সময় বাসে গ্যাস দেওয়ার সময় হঠাৎ বাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। এতে স্টেশনে থাকা সিএনজি চালকরা ছুটাছুটি শুরু করে। এ সময় ঘটনাস্থলে মারা যান সিএনজির তিন চালক। আহত হয় অন্তত ২০ জন।
পরে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় গুরুতর আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অন্যদের সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রঞ্জিত কুমার বলেন, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পৌঁছে নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তিনজন ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। বাসের গ্যাস সিলিন্ডারটি নিম্নমানের ছিল। এতে গ্যাস নেওয়ার সময় সিলিন্ডারটি বিস্ফোরণ ঘটে।”
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জয়নাল আবেদিন বলেন, “তিনজন ঘটনাস্থলেই মারা গেছে। তাদেরকে আমরা চিকিৎসা দেওয়ার সুযোগ পাইনি। আহত আছেন ২০ জনের মত। এরমধ্যে ১০ জনেরই কারো হাত, কারো পা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন অংশে দগ্ধ হয়েছে। অধিকাংশ রোগীকেই ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।”