অলঙ্করণ: পাপিয়া জেরিন
রূপকথা
পাপিয়া জেরিনপ্রকাশিত : জানুয়ারি ২৯, ২০১৮
পুরুষ মাত্রই খারাপ, কথাটা মনে হয় পুরাপুরি ঠিক না। কিছু পুরুষ আছে পাগলা কিছিমের, এরা বরাবরই ভালো। এইটা রুজিনার দাদি মরার আগপর্যন্ত বইলা গেছে। সেইবার রুজিনার বিয়া প্রায় ঠিকঠাক। ছেলের নাম তাজুল, ওষুধ কম্পানিতে চাকরি করে। বিয়ার তিনদিন আগে তাজুল রুজিনারে বাইরে আইসা দেখা করতে কয়। রুজিনাও যায় ওর কথামতো, সঙ্গে ছোট চাচি। দশ মিনিট না যাইতেই তাজুল আর চাচি দুজনেই আড্ডা জমায় ফেলে। কিন্তু বাড়িতে গিয়া সেই রাতে তাজুল জানায়ে দেয়, সে এখন বিয়া করবে না। পরে অবশ্য জানা যায়, ছোটচাচির লগে তার গোপন সম্পর্কের কথা। এইসব কাহিনির কোনো অভাব নাই আশেপাশে। রুজিনার পুরুষ নিয়া বিতৃষ্ণার কথা ততদিনে সবাই জানে। মা তো সারাদিনই বুঝাই তো, পুরুষ খারাপ হয় নারীর জন্যই। তোর চাচি কি কাজটা ভালো করছিল! তারপরও রুজিনা নিজের মনরে মানাইতে পারতেছিলো না। ঠিক তখনই আইলো এই সম্বন্ধ। পাত্র বিএসসি পাস। দেখতে শুনতে ভালো কিন্তু বেকার। তয় বাড়িঘরের অবস্থা ভালো। রুজিনা কিছুতেই এই বিয়াতে রাজি না, তারপরও খোঁজ নিয়া দেখা গেল, ছেলে নাকি পাগল। এক্কেবারে বদ্ধ পাগল না, তয় বৎসরের একমাস গায়ে কোনো কাপড় রাখতে পারে না। তখন ঘরের দরজা জানালা আটকায়ে রাখে।
এই কাহিনী জানার পর রুজিনার খুশি দেখে কে। বাড়ির লোকজন অনেক বুঝাইছে, তারপরও রুজিনা কারো কথাই শুনে নাই। ছোটচাচিও একদিন আইসা কইছে, পাগলের চরিত্র ভালো। তরে কইছে কেডা? পাগল কি তরে ছাইড়া দিব? পাগলের কি বাইচ্চা কাইচ্চা হয় না?
রুজিনা তখন মনে মনে কয়, আমার স্বামী আমারে ছাইড়া দিব ক্যান? তোমারে না ধরলেই হইলো।
যাউকগা, শ্যামল পাগলার লগে তার বিয়া হইছে আইজ দশদিন। কিন্তু পাগলামির কোনো নজির নাই। তয় তারে বউপাগল কওন যায়। সারাটা দিন বউ... বউ। ঘরভর্তি মানুষের মাঝখান থিকা ডাইকা নিয়া হুদাই কাছে বসায়া আজাইরা প্যাচাল পাড়ে। হাতের ওপর হাত নিয়া চুড়ি গোনে। মাথার কাপড় টান দিয়া ফালায়া চুলে নাক গুইজা দিয়া বইসা থাকে। রুজিনার খুব শরম করে। লোকটার কথাও কেমুন জানি বেফাঁস।
বউ, তুমি বিয়া করছো আমারে, তইলে আমারে রাইখা বাড়ির অন্য মানুষের লগে কিসের এত আলাপ?
আপনে যে কী কন না। সারাদিন দুয়ার দিয়া আপনার কাছে বইসা থাকুম? মাইনষে কী বলবো!
মাইনষে বুঝি জানে না? তাগো তো ধুমধারাক্কা কইরা জানায়া, খাওয়ায়া লওয়াইয়া তোমারে বিয়া করলাম। তাগো কি বুঝনের কিছু বাকি আছে?
ছাড়েন তো। আম্মায় ডাকে।
আমি তো এহনো তোমারে ধরিই নাই, ছাড়ুম কেমনে? এক হাত দূরে বইসা আছো। কাছে আসো দেখি,,,
যান, গোসল কইরা আসেন। বেলা হইছে।
গোসল করুম না। কেন গোসল করুম?
ভালো কথা মনে হইছে, আমি যখন গোসল করি, তখন কলপাড়ে বেড়ায় হেলান দিয়া আপনে কী করেন? কন তো?
আমার বউরে পাহারা দেই। কার বাপের কি?
পাহারা দেন ভালো, কিন্তু ফুচ্কি দিয়া কী দেহেন?
ইয়ে, দেখি গোসল শেষ হইলো কী না।
আহ্হারে। শয়তান কুনহানকার। এরপর আইলে লোটা ভইরা পানি ফিক্কা মারুম।
ফিক্কা মারবা কেন? শখ হইলে ভিতরে ডাইকা নিয়া আরেকবার গোসল দিয়া দিবা।
এহ্ শখ কত!
রুজিনা ভালো কইরাই জানে, এগুলা কোনো পাগলামি না। শ্যামল কোনো দিক দিয়াই পাগল না, কিন্তু শ্যামলের বোইন শিল্পীর কোনো সমস্যা আছে। সারাদিন মাইয়াডা ছটফট করে। একবার উঠান একবার ঘর। আর নানান আজিব সব কথা জিগায়, ভাবি, এই যে ধরো বাইট্টা আছে না? এগো কি হাত পাওয়ের মতো সবই ছোটো?
মানে! কোন বাইট্টা?
ধুরো ভাবি! বাইট্টা, ওই যে বাওইন পীর আছে না?
শিল্পী, বইন। বুঝায়া কও।
এহ্, হেয় জানি বুঝে না। আরে... বাইট্টা মাইনষের কি পুলাপান হয়? তারা কি বিয়া করতে পারে?
পারবো না ক্যান। খুব পারে।
রুজিনার মাথা কাজ করে না। এই মাইয়া এইসব কী কয়। শিল্পীর ভাবগতিক ভালো মনে হইতাছে না। কোনো কাজে কামে নাই, দুইদিন পর পর মাইঠে হাত ঢুকায়া দেখে কতটুক চাউল আছে। তার ঘরে কলসি ভরা নানা রকমের চাউল। আজব কিছিমের মাইয়া মানুষ। রুজিনার দেবরের পোলা বাবুর বয়স তিন বছর। শিল্পী বইসা বইসা তার জন্য ফতুয়া সিলায়। সব ফতুয়া মাপে বড় হয়া যায়, সাত আট বছরের পোলাগো মাপ। সেই ফতুয়াগুলি একটা একটা কইরা বাবুরে পরায় আর চিৎকার দিয়া কয়, আল্লাগো, এইটাও বড় হয়া গেল! থাইক, আরেট্টু বড় হয়া পরিস।
রুজিনা খেয়াল কইরা দেখছে সবগুলা ফতুয়া এক মাপের। যেমনেই হোক এই সব পাগলামির কারণ তার জানতেই হইবো। এরা কি বংশগত পাগল কীনা কে জানে। মনে হয় একজন ভাদ্রমাসে, আরেকজন মাঘ মাসে আরেকজন জষ্ঠী মাসে... এমন কইরা একেক মাসে একেক জন!
শিল্পীর বুক ধড়ফড় করতাছে। আইজ সোমবার, মজনু আসনের কথা। অন্যসময় এই বিকালে মা আর ছোটো ভাবী পইড়া ঘুমাইতো। আর ছোট ভাবি আছিলো বলদ কিসিমের, কিন্তু নতুন ভাবি এমন না... খুব চালাক। চোখের দিকে চাইয়া সব পড়তে পারে। এ বাড়িতে আইসাই সে ছোটো ভাবির কথা জিগায়। তারে যতই কওয়া যায় যে, সে রাগ কইরা বাপের বাড়ি চইলা গেছে... সে ততই ঘাড় ত্যাড়া কইরা আসল কাহিনির জানতে চায়। মজনু আসনের লগে লগেই ভাবি কেইসটা ধইরা ফালাইবো। শিল্পীর কী করার আছে... সে কেমনে কইবো যে, সে মজনুরে ছাড়া আর কাউরেই বিয়া করবো না। কত সুন্দর পোলা তার পিছে ঘুরে, কত ভালো ভালো সব বিয়ার সম্বন্ধ... কিন্তু কাউরেই মনে ধরে না তার। তার মনের কথা জানলে মায় মাছ কাটনের বটি দিয়া কুইট্টা ফালাইবো। মজনু ঘোড়ার গাড়িতে কইরা নানা পদের চাল ঘরে ঘরে আইনা বেচে। সেইটাও বিষয় না, বিষয় হইলো সে বাইট্টা মানুষ। সে শিল্পীর লগে দাঁড়াইলে তার কোমরে পইড়া থাকবো।
ওই যে উঠানে ঘোড়াগাড়ির শব্দ, শিল্পী বাইর হইয়াই দেখে, ভাবি মজনুর লগে আলাপ পাড়তেছে, কেডায় গো আপনে? ঘোড়া লইয়া অন্দরে আয়া পড়ছেন!
আপনেই কি নতুন বউ? ও, আমি মজনু মিয়া। ঘোড়ায় চইড়া চাউল বেচি। শিল্পী আপা বিরই চাউলের অর্ডার দিছিলো। সেই জামালপুর থিকা চাউল আনছি তার জন্যে।
অ... ওই শিল্পী, দেহো কেডা আইছে।
এই যে শিল্পী আপা। আপনের চাউল।
শিল্পী মজনুরে চাউলের দাম দিয়া ভাবির কাছে যায়। আজকা তার কাছে সব কওন লাগবো। কিন্তু মজনু যে তার মনের কথা কিছুই জানে না, সেইটার কি হইবো।
ভাবি?
সব বুইঝা ফালাইছি বইনা। তয় সবার আগে ছোটো ভাবির কাহিনি কও।
ভাবি, কোনো কাহিনি নাই। ছোটো ভাবি চাইছিলো তার ছোট বইনের লগে আমগোর বড় ভাইয়ের বিয়া দিতে। বাড়ির কেউ রাজি হয় নাই, তাই গোস্বা কইরা বাপের বাড়ি।
সে কবে গেছে বাপের বাড়ি?
তোমগো বিয়ার দিন সকালে।
আমার লগে বাইচলামি? তিন বছরের শিশুবাচ্চা থুইয়া কোনো মা রাগ কইরা থাকতে পারে? আসল কাহিনি কও, নাইলে তোমার লাইলি-মজনুগিরিতে প্যাঁচ লাগায়া ছাড়মু।
ভাবি, তোমার পাও ধরি। খাঁড়াও কইতাছি। আমার খালাতো ভাই দেলোয়ার আমারে বিয়া করনের লিগা পাগল আছিলো। বাড়িতে আইসা পইড়া থাকতো। বাড়ির সবাই এই বিয়াতে রাজি, কিন্তু হেয় আমার দুই চোখের বিষ। তুমি তো বুঝলাই, আমি মজনুরে ছাড়া আর কাউরে ভাবতে পারি না।
তোমার মজনুর কথা পরে কও, আগে ছোটো ভাবির কথা শুনি।
সেইটাই তো। আমরা কিছুই বুজি নাই। কিন্তু ভাবি আর আমার খালাতো ভাইয়ের মইধ্যে কিছু চলতে আছিলো। মায় কিছু দেইখা ফালায়ছিলো রাইতে। পরদিন সকালে তারা দুইজন উধাও!
আল্লারে! হারামজাদা পুরুষ জাত।
এগুলান কইও না ভাবি। সব পুরুষ এক না। এই যে, মজনুরে দেখতাছো... তার কুনো তুলনা নাই। আমি নানা ভাবে তারে পরখ করছি, খাঁটি সোনা...
আরো থোও তোমার খাঁটি সোনা না... বা..
ছিহ্ নতুন ভাবি, কী যে কও না! তয় তোমার ভাইগ্যও খুব ভালো। বড় ভাইজান সোনার মানুষ।
সোনার মানুষ তো বুঝলাম, কিন্তু বিয়ার আগে যে শুনলাম হেয় পাগল! এহন দেহি কুনো লক্ষণই নাই।
আরে কী কও ভাবি, বড়ভাই একটু বাউলা টাইপের। কাজকম্ম করতে চায় না। হের কথা, সবে মিল্লা চাকরামি করলে খেতখামারি করবো কে? আর একটু জিদ বেশি। আর হেয় উচিত কথা কয় দেইখা গেরামের মানুষ ক্ষেপা। বিয়া ভাঙানি দেওনের লাইগা মানুষ কত কী কয়! এইসব ধরতে যাইও না। সে পাগল না... আমার মজনুর কসম!
শিল্পী তুমি বুঝবা না! আমি কত আশা নিয়া এই বিয়া করছিলাম।
ভাবি, তুমি না একটা পাগল!
রুজিনার মাথায় রক্ত উইঠা যাইতাছে। তার সোয়ামির কি কোনোদিন জ্ঞান হইবো না? তিন বছরের বাচ্চাডারে নিয়া কই গেছিলো কে জানে, অর পকেট ভর্তি খালি বকরির লাদি। পোলাডার মাও নাই বইলা আইজ এই দশা। দাদির কাছে শুইয়া সারারাইত কান্দে। আজ থেইকা বাচ্চাডারে সে তার লগেই শোয়াইবো। এই বয়সে কী দাগাডাই না খাইছে। ওইদিকে আজকা শিল্পী বালিশ চাপা দিয়া কান্তাছে... তিন সোমবার হইয়া গেল, তার মজনু চাউল বেচতে এইবাড়ি আসেনা। কী আর করা শিল্পীরে নিয়া আইজ যাওন লাগবো পশ্চিমপাড়া। দেখা যাউক তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায় নাকি।
বউ, রাগ করো কেন? পোলাপাইন ছাইড়া পালা ভালো। মাটি মাখলে রোগবালাই কম হয়।
মাটির কথা বাদ দিলাম। ওই যখন বকরির লাদা নিয়া পকেটে ভরলো, আপনে তহন কোন আসমানে আছিলেন?
হাহাহা! এইডা বংশের ধারা। আমার ভাতিজা হইছে আমার মতো। মারে জিগায়া দেইখো, আমিও এমন কইরা পকেট ভইরা বকরির লাদি নিয়া বাড়িত আসতাম। মায় থাপড়াইতো আর চাপায় চাপ দিয়া দেখতো... সেই লাদি খাইছি কীনা। হাহাহা।
আহ্! কী খুশীর কথা! দেহি আপনের চাপায় চাপ দিয়া। কয় দলা লাদি চাবায়া খাইছেন?
লাদি খামু কেন মাগী, তুই কম পড়ছস্। আর কতদিন পরের পোলারে ডইলা গোছল করাবি? তোর কবে হইবো?
ছি ছি! শিক্ষিত মানুষ হয়া এগুলা কী তুই তোকারি করেন। আপনের মাথা কি গেছে? বিয়া হইছে মাত্র দুই মাস... এহনই বাচ্চার লিগা পাগল হয়া গেছেন। বিএসসি পাস কোনহানকার!
হাহাহা বউ। তুমি তো জানো আমি পাগলা মানুষ।
হ, আপনে পাগল কে কয়? আপনে হইলেন সেয়ান পাগল!
হা হা হা। বউ! তুমি যা কও। ভালো কথা, ওর গোছল শেষ কইরা একটু ঘরের পানে আইসো তো... খুব জরুরি কথা আছে।
আপনের জরুরি কথা আমি জানি। যান গোছলে, যান।
রুজিনা আর শিল্পী পশ্চিম পাড়ার কাজী বাড়িতে বইসা। মজনুর মার চোখে পানি। পনেরো দিন ধইরা পোলার জ্বর। বেঙ্গাচেঙ্গা যাই হোউক তার একটাই পোলা। সয়সম্পদের অভাব নাই, অভাব মানুষের। কে করবো এমন পোলারে বিয়া!
তা মায়েরা, তোমরা কোন বাড়ির? তোমরা কেমনে জানলা... মজনু বিছানে পড়া।
খালাম্মা, আমি রুজিনা। পূবপাড়ার ফকির বাড়ির বউ। মজনু মিয়া পত্তেক সোমবার আমাগো বাড়িতে চাউল বেচতে যাইতো। গত তিন সপ্তা ধইরা যায় না।
এইসব কী কও তোমরা? গঞ্জে মজনুরে চাউলের আড়তে বসাই আমি। দয়ালবাজারে আমাগো সবচে বড় ধানের বয়লার। আমার পোলায় কেন চাউল বেচতে যাইবো মাইনষের বাড়ি বাড়ি?
কী কন খালাম্মা। কুন ঘরে মজনু শুইয়া? ওই শিল্পী দেইখা আয় তো।
শিল্পী দৌড়ায়া গিয়া মজনুর ঘরে গিয়া ঢোকে। মুখটা শুকায়া এইটুক হয়া গেছে। চোখ টাইনা খুলতে পারে না। শিল্পী তার পাশ ঘেইষা বসে।
আরে! শিল্পী আপা! ও বুজছি... জ্বরের ঘোরে আবোল তাবোল দেখতাছি।
কুনো আবোল তাবোল না, আমি তোমার কাছে আইছি। তুমি সত্য কইরা কও... আমারে ভালোবাসো তুমি! তুমি এই ঘোড়ার গাড়ি কই পাইছো? কেন যাইতা আমাগো বাড়ি?
হ, আমি তোমারে এক নজর দেখার লাইগা... এই গাড়ি একজনের থেইকা ধার লইয়া তোমার বাড়িতে যাইতাম। আর আমি ভালো পাইলেই কি! তুমি কেন আমার মতো একজনরে চাইবা।
মজনু মিয়া! আমি তোমারেই চাই... আর কাউরেই না।
মজনু মিয়ার শরীরে ঘাম দিয়া জ্বর ছাড়তে থাকে। সে কিছুই বুইঝা পায় না, কী হইতাছে! ইস্কুলে থাকতে ইংরেজি আপা একটা রূপকথা শুনাইছিল। এক রাজার পুত্র কারও অভিশাপে ব্যাঙ হয়া যায়। পরে এক রাজকুমারীর চুমায় সে আবার আগের রূপ ফিরা পায়। শিল্পীই কি সেই রাজকুমারী? শিল্পীর আদরে-চুমায় কি সে আবার সুন্দর একখান রূপ ফিরা পাইবো? সে কেমনে কইবো শিল্পীরে যে... আমারে একটা চুমা দেও। শিল্পী কী মনে করবো!
শিল্পী আস্তে মজনুর কপালে হাত রাখে। মজনুও শিল্পীর গায়ে হাত বুলায়। ছোটো ছোটো হাতের পরশে শিল্পীর মনে হয়, তার শইলে বিষ্টি নাইমা আসতেছে।