রাজীব কুমার দাশের কবিতা ‘শরণার্থী প্রেমিকা’

প্রকাশিত : ডিসেম্বর ২২, ২০২৩

রাষ্ট্রহীন আন্তর্জাতিক ভাষা মুখে
শরণার্থী ক্যাম্পে জাতিসংঘের ত্রাণ হাতে
একজন হৃদয় মনের স্বাধীনতাকামী মুক্তিকামী
অধিকারহারা চালচুলোহীন রিফুইজি
যেভাবে অনুভব করতে পারে
অধরা স্বাধীনতা সুখ কেমন

বিচ্ছেদে থাকা মানুষজনও জানেন সে রকমের বোঝেন;
প্রেমহারা হৃদয়ে অধরা প্রেমরাষ্ট্রে
নিজস্বীহারা আবেগ অনুভূতিহীন পরাধীন
প্রেমের স্বাধীনতা সুখ কী রকম

হেলাফেলা সারা বেলা মনে রাষ্ট্রের স্বাধীনতা
যখন সিংহভাগ মনের তুচ্ছতাচ্ছিল্য বিদ্রুপের অট্টহাসি হয়;
জাতীয় রাজটীকা দুর্ভোগের শিকার
হয়ে জন্ম দেয়;
এক একটি মুক্তিকামী হৃদয় প্রেম চিন্তার অধরা শিহরণ।

সুস্মিতা,
সুবিধেবাদী হেলাফেলা সারা বেলা জনগণ
হৃদয় মনে গেছ বলে বলছি না;
তুমি ছিলে আমার প্রেমরাষ্ট্রের সামন্তপ্রভু
মাদকসেবী খুনি চোরাকারবারী;
পড়ে দেখোনি
সুবিধেবাদী জনগণ মনে আমার প্রেমরাষ্ট্রের সংবিধান;
মেনে চলোনি হৃদয় রাষ্ট্রের আইন
তোয়াক্কা করোনি
হৃদয়ের কোনো রীতিনীতি বন্ধন সামাজিক বিধি-বিধান।

সুস্মিতা,
তুমি ছিলে যারপরনাই আমার শান্ত হৃদয়ের অশান্ত হৃদয়খেকো দস্যু সাংসদ;
বারবার টেবিল চাপড়ানো অশান্ত হাতের
অভিশংসন জেরা মুখে হৃদয় সংসদ
ছেড়ে পালিয়ে শরণার্থী প্রেমিকা হয়ে গেলে;
হয়তোবা তোমার ত্রাহি-ত্রাহি ডাকে দান সংঘের
করুণা নিয়ে বেঁচে আছ এখন!

সুস্মিতা,
হৃদয়ের স্বাধীনতা সুখ কী?
তুমিও বোঝোনি তখন;
যেভাবে বোঝে না হেলাফেলা মনে রাষ্ট্রের জনগণ।
শরণার্থী প্রেমিকা হয়ে এইভাবে বেঁচে
থাকবে;
প্রাণহীন সংসার নামের ত্রাণ শিবিরে
যাবজ্জীবন।