রাজীব আশরাফের কবিতা ‘সার্জারিপূর্ব নার্ভাস রাত’
প্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২১
আমার দিকে তাকায় থাকা একাধিক সিস্টার,
আমার দিকে এগিয়ে আসা ধীরে এনেস্থেসিয়া
সর্বোচ্চ কি ঘটিতে পারে আমার কপালে আর
কি খেলিবে ভাবো আজ বিধাতা আমারে নিয়া
আমারতো কোনো কৌতূহলই আর বাঁচিয়া নাই
চোখ বা হৃদয় বা তারচেয়ে নিচের অলীক ক্ষুধা
তাহারাও মরিয়া গিয়া বাঁচিয়াছে কৈশোরে, তাই
কেমনে বাঁচাবে আমারে বলো হে সঞ্জিবনী সুধা
বসুন্ধরা, ধরাকে সরা জ্ঞান করার দিন কবে শেষ
গুগোলে বেঁচে থাকা ভূগোলের কবরে ফুল দিও
তাতে তুমি ফিরে পাবে হয়তো কাল পাত্র দেশ
স্মরণে গানে, শ্লোগানে, এপিটাফ কিছু যুগ যুগ জিও
নতুবা নতুন কোনো কবি পেলে সাফল্যের হাতছানি
খুঁজে নিয়ে আমার কবর অবধি যদি ঠিক পৌঁছায়
আমার মর্মরে লিখে যায় তার কবিতার বিমূর্ত বাণী
তাকে সান্ত্বনাসহ বসায় রাইখো রিয়েলিস্টিক ছায়ায়
মায়ায় দ্রবীভূত হবার মতো কেউ নেই এই তল্লাটে
তরলের মতো উদ্বায়ু উদগীরণ পৌরাণিক কাহিনি
যেভাবে সময়ের সাথে সাথে মিশে যায়, না খাটে,
না ঘাটে, না হাটে না ঘরে আমি শুধুই শূন্যস্থান চিনি
সেদিকেই যেতে চাই নিয়ে যাও হে এনেস্থেসিয়া
পরকালেও আমার ডিজাভুই হবে, মনে হবে
দুনিয়াতে দেখেছি এই যে পুলসিরাত, অতি নীরবে
সহসা ফেরেশতাদিগকে যময ভাই মনে হয় ভাবিয়া
ভাবিয়া বের করি দেখে কেন মনে হয় চিনি উহারে
আমি অপারেশন থিয়েটার থেকে কই যাচ্ছি কার দুয়ারে
কে বলিতে পারে? তবু আশা রাখি সফল পরকাল উদ্ধারে
নতুবা পারাপার কি করে হইবো বলো জীবন রাখিয়া ঘাড়ে