মামুনুর রশীদের জন্মদিন, থাকছে তিন দিনব্যাপী উৎসব

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৪

স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনের অগ্রসৈনিক বলা হয় মামুনুর রশীদকে। যিনি একাধারে নাট্যকার, নির্দেশক, অভিনেতা ও ‘আরণ্যক’ নাট্যদলের প্রতিষ্ঠাতা। অধিবর্ষে (২৯ ফেব্রুয়ারি) জন্মগ্রহণ করায় চার বছর পরপর আসে তার জন্মদিন। 

 

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) জীবনের ৭৬ বছর পূর্ণ করবেন এই নাট্যজন। তবে তার জন্মদিন পালনের সুযোগ হচ্ছে এ নিয়ে ঊনবিংশতমবারের মতো। তাই প্রতীক্ষিত জন্মদিনটি নিয়ে এবার থাকছে তিন দিনব্যাপী উৎসব।

 

প্রথিতযশা এই নাট্যকারের জন্মদিন উপলক্ষে ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ২ মার্চ আরণ্যকের ‘আলোর আলো নাট্যোৎসব’ হবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে।

 

উৎসবে থাকবে মামুনুর রশীদ রচিত ও নির্দেশিত নাটকের মঞ্চায়ন, সংগীত, নৃত্য, সেমিনার, প্রদর্শনী ও থিয়েটার আড্ডা। বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় উৎসবের উদ্বোধন করবেন গুণী অভিনেত্রী ফেরদৌসী মজুমদার। এছাড়া, অতিথি হয়ে আসবেন দেশ-বিদেশের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরাও।

 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করবেন অনিমা মুক্তি গোমেজ, অনিমা রায়, চঞ্চল চৌধুরী, ফজলুর রহমান বাবু ও রাহুল আনন্দ। বাঁশি বাজাবেন উত্তম চক্রবর্তী। ওয়ার্দা বিহাবের পরিচালনায় নৃত্য পরিবেশন করবে ধৃতি নর্তনালয়।


১ মার্চ সকাল ১০টায় শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার রুমে হবে ‘একজন দায়বদ্ধ সৃজনকর্মীর নাট্যপরিভ্রমণ’ শীর্ষক সেমিনার। আলোচনার ধারণাপত্র পাঠ করবেন মলয় ভৌমিক। বিকেল সাড়ে ৪টা এবং সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে হবে ‘রাঢ়াঙ’ নাটকের পরপর দুটি প্রদর্শনী। নাটকটি রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন মামুনুর রশীদ।

 

২ মার্চ বিকাল সাড়ে ৩টায় বাংলাদেশ মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে হবে থিয়েটার আড্ডা ‘নাট্যকর্মীদের মুখোমুখি মামুনুর রশীদ’। এদিন সন্ধ্যা ৭টায় মহিলা সমিতিতে মামুনুর রশীদ রচিত ও নির্দেশিত ‘কহে ফেসবুক’ নাটকের মঞ্চায়নের মধ্য দিয়ে শেষ হবে তিন দিনের আয়োজন।

 

উল্লেখ্য, মামুনুর রশীদের জন্ম ১৯৪৮ সালে টাঙ্গাইলের কালীহাতিতে মাতুলালয়ে। ছাত্রজীবন থেকেই মঞ্চনাটকের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তিনি। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যোগ দেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে। দেশ স্বাধীনের পরপরই দেশে ফিরে গড়ে তোলেন আরণ্যক নাট্যদল। স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশের মঞ্চ আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন মামুনুর রশীদ।

 

তার রচিত উল্লেখযোগ্য মঞ্চনাটক ‘ওরা কদম আলী’, ‘গন্ধর্ব নগরী’, ‘চের সাইকেল’, ‘সংক্রান্তি’, ‘রাঢ়াং’, ‘টার্গেট প্লাটুন’, ‘ইবলিশ’ প্রভৃতি। টিভির জন্যও অনেক নাটক লিখেছেন তিনি। মঞ্চ, টিভি ও চলচ্চিত্রে এখনও নিয়মিত অভিনয় করে যাচ্ছেন মামুনুর রশীদ।