অলঙ্করণ: পাপিয়া জেরীন
বিপ্রতীপ
পাপিয়া জেরীনপ্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৮
গাছে ওঠার পর বুক ধড়ফড়ানি আরো বাইড়া গেল। কমপক্ষে পঞ্চাশ বছরের পুরানা গাছ তো হইবই। গাছের ল্যান্টিসেলে ভারি শ্যাওলা, গাছের আরো উপরের ডালে অর্কিড টাইপ ফুল। হালকা বেগুনি ফুলগুলি থোকায় থোকায় লম্বা ডাটিতে ঝুইলা আছে। আম গাছটার গোড়ার দিকে কতগুলি ঝিঁঝি পোকার খোলস ঝুইলা আছে। এখন থেকা বিশ বছর আগে ঠিক এইরকম একটা আমগাছে উইঠা দোলনার জন্য দড়ি ঝুলাইতে গেছিলাম। মিলির চিল্লাচিল্লিতে পা ফইস্কা পইড়া পা ভাইঙা ছয়মাস বিছানে। সেই আমগাছটার নাম নানিজান দিছিলো কালাগাছ। কালাগাছের আম কালো হইলেও ছিল মধুর মতো মিষ্টি। সেই আম রাখা হইতো দুধ দিয়া খাওয়ার জন্য। নানাবাড়ির আমগাছগুলির নাম বড় অদ্ভুত— জৈন্যা গাছ, কাচমিঠা গাছ, ক্ষীরসাপাতি গাছ। পুরান ঢাকার এই বাড়িটা ঠিক নানাবাড়ির মতই, উঠান ভরা খালি গাছ আর গাছ। মিলির জন্য আজকে এই শ্যাওলা ধরা গাছে উঠতে হইছে, নামতে গিয়া কী অঘটন ঘটবো কে জানে। মিলির বাচ্চা পেটে, সাত মাসে পড়ছে। এই বাচ্চা হইতে আরো তিন মাস। তারপর বাচ্চাটা কবে বড় হইবো, কবে এই দোলনায় চড়বো, কে জানে!
মিলি এক এক অদ্ভুত পাগল মাইয়া। তার যখন যেইটা মনে হয়, সেইটা চাই-ই চাই। যেমন তার চিকন কড়কড়া জিলাপী খাইতে মন চাইতেছে... দুইমিনিট পর পর কল দিবো, দিতেই থাকবো, ‘তারেক, এত্ত খাইতে ইচ্ছা করতেছে রে ভাই!` প্যান্টের বারোটা বাইজা গেছে। দোতলার বারান্দায় শাহেদ কঠিন মুখ কইরা দাঁড়ায়া সব দেখতেছে। শাহেদ আমারে দুই চোখে দেখতে পারেনা। এ বিষয়ে আমার কিছুই করার নাই, কারণ আমি আমৃত্যু মিলির পাশেই থাকবো। একবার মিলি নানাবাড়ির দোতালা ছাদের কোনায় দাঁড়ায়া বড়ই পাড়তে গিয়া নিজেই পইড়া যাইতে নিছিলো। আমি একশোটা বড়ই কাঁটার আঁচড় সহ্য কইরা ওর হাত ধইরা ঝুলায়া রাখছিলাম। পরে চিৎকার শুইনা বাড়ির সকলে আইসা দুইজনরে বাঁচায়। আরেকবার মিলি ডুইবা গেছিলো পানিতে, আমি নিজে ওরে পিঠে কইরা তুইলা আনছিলাম সেইদিন। নানীজান বলতো,` তারেক, তুই মিলির রক্ষা কবচ্। তরা তো দুইজন আপনা ভাই-বইনের মত বড় হইছছ্। মাইনশে খারাপ কইবো... নাইলে তর লগেই ওরে বিয়া দিতাম রে।`
লোকের কথায় আমার কিছুই যায় আসে না। স্কুলে যখন মিলিরে দিয়া আসতে যাইতাম, মিলির বন্ধুরা ঠাট্টা করতো— ভাইয়া না সাইয়া! এইসব গায়ে মাখলে হয়না। মিলি আমার আপন মামাতো বোন। মামা দীর্ঘদিন নিঃসন্তান থাকায় আমারে আইনা পালছিলো। কখনই তারা অবহেলা করে নাই। গাজীপুরে দশ শতাংশের উপর বাড়িও কইরা দিছে এই মামা।
সমস্যা কোথাও নাই, সবই ঠিক ছিলো। কিন্তু শাহেদই ঝামেলা শুরু করলো। ঝামেলা ঠিক না, আসলে শাহেদ পার্ফেক্ট। কলেজে থাকতে মিলির একটা প্রেমিক ছিল... মতলববাজ। আমি নিজেই মিলিরে নিয়া যাইতাম দেখা করাইতে। একটু দূরে দাঁড়ায়া দেখতাম, হারামজাদা মিলির পিঠে কোমরে হাত দিতেছে। মিলি সরায়ে দিতো, তারপরও গায়ে হাত দিতো। শেষে একদিন সেই শালায় মিলিরে নিয়া গেছিলো এক বন্ধুর বাড়িতে। সেই তিনতলা বাড়ির নীচে গ্যারেজে বইসা ঝিমাইছি কতক্ষণ। একটা সময় মিলি মোবাইল কইরা চিৎকার, পরে উপরে গিয়া দরজা ভাইঙা মিলিরে নামায়া আনছি।
সেই দিক থিকা শাহেদ তো ফেরেশতা। কিন্তু ফেরেশতায়ও ঝামেলা থাকে। মিলি আর শাহেদের যখন বাচ্চাকাচ্চা হওয়া নিয়া জটিলতা চলতেছিলো, তখন শাহেদ কিছুতেই টেস্ট করাইবো না। শেষে বাধ্য হইছিলো। শাহেদের রিপোর্ট আনতে গেছিলাম আমি নিজেই। বাসায় আনার আগেই সেই রিপোর্ট নিয়া গেছিলাম মতিনের কাছে। সেই ডাক্তার বন্ধু যা কইলো... তাতে মনে হইলো `ইনভিট্রো ফার্টিলাইজেশন` না কী জানি এক পদ্ধতি ছাড়া ওর বাচ্চা হওয়া সম্ভব না। কারণ, শাহেদের শুক্রাণুর আকার, গতি, সংখ্যা এই রিপোর্টে কোনোটাতেই পজেটিভ কিছু নাই। বাসায় যখন রিপোর্ট নিয়া আসলাম, তখন একটা ছোটো নাটক করতে হইছিল... বলছি, ড্রেনে পইড়া দুইটা কাগজ নষ্ট হয়া গেছে।
আমি সবসময় মিলি আর শাহেদের ভালো চাইছি কিন্তু শাহেদ সবসময় তারে সন্দেহ করে। এর জন্য অবশ্য মিলিই দায়ী। দোলনায় তক্তা বান্ধা শেষ। মিলির সাথে না দেখা করাটাই ভালো। শাহেদেরে ইশারা দিয়া গেইট দিয়া আগাই। এখন যাইতে হইবো ৮১-গ্রীণরোড, দোলার বাসায়। দোলার সাথে পরিচয়টা ছিলো অদ্ভুত। এক বছর আগে, তখন মৌরে প্রাইভেট পড়াই। মৌরে পড়া দিয়া জানালা দিয়া তাকায়া দেখি পাশের বাসায় একটা মাইয়া সিলিং ফ্যনে শাড়ি বান্ধতেছে, আর তার একটা ফুটফুইটা বাচ্চা জানালার গ্রীলে জিভ লাগায়া আ আ করতেছে। তখনই ঝড়ের মতো দৌড়ায়া গিয়া মাইয়াটারে কেমনে যে বাঁচাইছিলাম! পরে এই দোলা মাইয়াটার সাথে খুব খাতির হয়া গেল। প্রথমে দোলা আমারে মিথ্যা বলছিলো, বলছিলো যে... দোলা ও তার স্বামী প্রেম কইরা বিয়া করাতে ওর শ্বশুরবাড়ির কেউ মাইনা নেয় নাই। তাই ওর স্বামী ওরে এই আলাদা একটা ফ্লাট ভাড়া কইরা দিছে। পরে একদিন দোলা মাতাল হয়া আমার গায়ে হুমড়ি খায়া পড়লো, পইড়া হড়হড় কইরা বমি— তারেক, আমি আগে যা বলছি সব মিছা কথা।
পরে সব শুনতেছি, তুমি জামাটা পালটায়া আসো। আর আমারে কিছু দেও পরতে।
না, আগে তোমার শুনতে হইবো। আমি একজনের উপপত্নী। সে লিগ্যালী আমার স্বামীও না। আমারে সে এইখানে রাখছে। সপ্তাহে একদিন আমার কাছে আসে। মদ খায়। বন্ধুগো নিয়া জুয়া খেলে। তারপর আমারে মাতাল অবস্থায় পশুর মতো পিটায়।
সেই লোকটা, মানে তোমার স্বামী কি বন্ধুদের সাথেও তোমারে বাধ্য করে?
না, তা করে নাই। কিন্তু করতে কতক্ষণ!
সেইদিন দোলা আমারে জড়ায়া ধইরা অনেক কানছিলো। বমি টমি ধুয়া ফ্রেশ হয়া আইসা সে আবারও জড়ায়া ধরে আমারে । আমিও নিরুপায় হয়া ধরা দেই তার কাছে। সন্ধ্যা লাগে লাগে এমন অবস্থা। দাঁড়ায়ে আছি একটা গেইটের সামনে, কালো মার্বেল পাথরে সাদা অক্ষরে লেখা... ৮২, গ্রীনরোড। একটা সময় ছিলো গেইট টা ঝাপড়ায়ে ফুইটা থাকতো লাল জবা ফুল।আর বাড়ির ভিতরে, সিঁড়িতে, কার্নিশে বেলী আর শিউলী ফুলের চারা। এগুলা লাগাইতো শাহীন আপা। এই গাছ লাগানে নিয়া শাহীন আপা আর তার শাশুড়ির সাথে প্রতিদিন ঝগড়া। মৌ এর দাদী মানে শাহীন আপার শাশুড়ি কেতলি ভইরা ভইরা গরম পানি গাছের গোড়ায় ঢাইলা দিতো। তার বক্তব্য হইলো, এমনেই তার রক্ত মিষ্টি তার উপরে ঝোপঝাড়ের কারণে মশার উপদ্রব। মৌরে পড়াইতে যাওয়ার সময় প্যাসেজে বইসা থাকতো ওর দাদী, প্রতিবারই তিনি ডাইকা বসায়া গল্প শুরু করতেন। প্রতিটা গল্পই মজার, কিন্তু উনার উপরের পাটীর সামনের দুইটা দাঁত না থাকার কারণে উচ্চারণের গোলমালে পুরা গল্পের অর্থই চেইঞ্জ হইয়া একটা সাইন্স ফিকশনের আকার নিতো। অবশ্য বেশীরভাগ সময়ই গল্পের মাঝখানে শাহীন আপা ডাক দিয়া নিয়া যাইতো। একবার কী হইলো, মৌর দাদী ইশারায় ডাইকা ভিতরে তার রুমে নিয়া বসাইলো। সেই দিন ছিলো মনে হয় শব ই বরাতের পরের দিন...
তারেক, তোমার আম্মা কি হালুয়া রুটি করেছে?
জ্বী।
এ বাড়িতে তো আজকাল কোনো ধর্মীয় রীতি পালনই করা হয় না। তো কি কি হালুয়া রান্না করেছেন তোমার আম্মা।
জ্বী, সুজি আর গাজরের হালুয়া। ও হ্যাঁ ডিমের হালুয়াও।
উটের হালুয়া খেয়েছো কখনও?
জ্বী.. না!
এটা বানানো খুব কঠিন তো, তাই আজকাল কেউ বানায় না। আমার মা বানাতেন উটের হালুয়া। একেবারে পাতে ঘুম। শোনো প্রথমে কি করতো জানো? ক্ষেত থেকে উট নিয়ে এসে এর উপরের চামড়া খসায়ে বড় হাড়িতে সেদ্ধ বসানো হতো। এরপর বেটে মিশ্ করে...
অনেকক্ষণ ধইরা ভিজুয়্যালাইজ করতেছিলাম বিষয়টা, বিষয়টা কল্পনার অতীত। আমি ভাইবাই পাইতেছিলাম না... এতো কিছু থাকতে উটের হালুয়া ক্যান! পরে শাহীন আপার কাছে বিষয়টা বলার পর সে হাসতে হাসতে মাটিতে গড়াগড়ি খাইতে লাগলো। আপা বিষম খাইতে খাইতে বললো... আরে পাগল, উট না -- বুট। ভ্যাবাচ্যাকা খাইয়া আবার গল্পটা নতুন কইরা ভিজুয়্যালাইজ করতে করতে দেখলাম, শাহীন আপার খোঁপা খুইলা চুলের ভিতর থিকা ঝুর ঝুর কইরা বকুল ফুল মেঝেতে গড়ায়া পড়তেছে। এমন একটা সুন্দর দৃশ্য যে কোনোদিন আমি দেখবো তা ভাবতেও পারি নাই। আমার ধারণা ছিলো মহিলারা খোপার বাইরে ফুল গুঁজে। মৌ ছিলো খুবই ট্যালেন্টেড মাইয়া, সে আমার চোখের বিস্ময় ধইরা ফেললো--
স্যার, আম্মু আসলে একটা বাচ্চা। সে কোথাও ফুল গাছ দেখলে, ফুল চুরি করবেই। একবার ফুল চুরির জন্য এক বাড়ির দেয়াল টপকায়া বাগানে ঢুকছিলো। তারপর কুকুরের ধাওয়া। কী বিশাল কুকুর!আল্লাহ্!
সত্যি!
হুম। সবাই চুলে ফুল গুঁজে, আর আম্মু খোপার ভিতরে চুল লুকায়ে চুল বাঁধে।
গেইটের সামনে দাঁড়ায়ে পুরানা দিনের সেইসব কথা মনে আসতেছে। মৌরা অবশ্য এখন এই বাড়ি বিক্রি কইরা অন্য কোথাও চলে গেছে। বাড়ির ভেতরে এখন আর ফুলগাছ নাই। ৮২, গ্রীণরোড এখন একটা প্রাণহীন প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি। ঝাপসা চোখ নিয়া ডান পাশের গলি দিয়া ঢুকতে একটু অসুবিধা, কেমন অন্ধকার হয়া আসতেছে! দোলার বিল্ডিং এর নীচে ওর কথিত স্বামীর গাড়ি। আরো নিশ্চিত হইতে দোতলায় উইঠা দেখা যাইতে পারে। দোলার দরজার সামনে তিন জোড়া স্যান্ডেল দেইখা সিঁড়ি দিয়া দ্রুত নামতে গিয়া বুড়া আঙুলের নোখটা গেল আরকি। নীচে নাইমাই মনে হইলো, পায়ে ব্যথা নিয়াই একটা লম্বা হাঁটা দেওয়া উচিত। আনন্দ সিনেমা হলের সামনে দিয়া হাঁইটা ওভার ব্রীজে উইঠা ঐ পারে যাবো। তারপর হাঁইটা কারওয়ান বাজার। অনেকবার ভাবছি... দোলার কাছে আর আসবে না। কিন্তু বার বার একই ভুল কেন করি? একটা সময় ছিলো, শুধু মিলিরেই ভালোবাসতাম। কিন্তু মিলি জানতো, আমাদের মইধ্যে আর যাই হোক... বিয়া সম্ভব না। তারপরও আমি আর মিলি বারবার মিলিত হইছি এমনকি ওর বিয়ার পরেও। শাহেদের অজান্তে এইসব কখনও পাপ মনে হয় নাই মিলির। মিলিরে কখনই বুঝতে পারিনা আমি। শাহেদের সাথে বিয়ার আগেও যখন তার আমার লগে ভালোবাসা... তখনও সে অন্য পোলাগো লগে প্রেম করতো। মজার বিষয় হইলো তার প্রতিটা প্রেমিক ছিলো লুচ্চা, না হয় বাটপার। এইসব তথ্য আমি খুঁইজা খুঁইজা বাইর করছি, তারপর মিলিরে দেখাইছি। তারপর প্রতিটা ব্রেকআপের পর আমাদের মধুর মিলন... কিন্তু দুইদিন না যাইতেই নয়া প্রেম। যাকগা, ওর বিয়ার পর একটা দিক দিয়া অন্তত শান্তি— মার আর কারো পিছে লোক লাগাইতে হয় না।
হাঁটতে হাঁটতে আইসা পড়ছি কারওয়ান বাজার, ছুনু মিয়ার ফলের দোকানে। আরে ভাই, আপনার বেত্থুন আনতে চাইরডা লোক পাডাইছি সিলটে। হারামজাদারা কয়... ওস্তাদ বাঘের দুধ আনবার পারবো, মাগার বেত্থুন ইনপুছিবল।
ছুনুভাই, আপনে তো জানেন, আপনার ভাবীজান পোয়াতী। মুখ দিয়া যা বাইর করে তাই আইনা খওয়াইতে হয়।
অ ভাই। জানি তো। আপনার কুনো কতাই তো ভুলি নাই। সামাইন্য ছাতা মাতা বেত্থুনের লিগা দুই হাজার টেকা এডভাস্ দিছেন। আমি আনায়া রাখছি ভাই। এই লন। তা আঙ্গোর ভাবীছাবের কয় মাস চলে?
সাত মাস। দোয়া কইরেন।
হাঁটতেছি, হাতে বেত্থুনের পোটলা। লজ্জায় কেমন গরম হয়া যাইতেছে কানের লতি। অবাকও লাগতেছে... লজ্জারই বা কী আছে। ঘটনা তো সত্য। মিলির পেটে যে বাচ্চা... এইটা তো আমারই। এর আগে আমাদের আরো একটা বাচ্চা নষ্ট হইছে। সিঁড়ি দিয়া নামতে গিয়া পিছল খাইয়া মিসক্যরেজ। সিঁড়ির মইধ্যে কেউ তেল ঢাইলা রাখছিলো। আমি নিশ্চিত, এইডা শাহেদের কাজ। যাই হোক, এইবারের বাচ্চাটারে যে কোনো উপায়ে বাঁচাইতে হইবো। হাঁটতে হাঁটতে আকাশের দিকে তাকায়া দেখি, মেঘ জমতেছে আকাশে, বৃষ্টি আসে আসে ভাব। হা কইরা আকাশের দিকে তাকায়া থাকতে মন চাইতেছে। আশ্চর্য! এক ঝাঁক চাতক পাখি আকাশে ছটফট করতেছে। ঢাকার আকাশে চাতক! কেমনে কী! ছিটা ছিটা বৃষ্টির ফোঁটা চোখে আর হা-করা মুখের ভিতর পড়তেছে এখন। আমারে কি দেইখা মনে হইতেছে, আমিও একটা চাতক, যে কীনা বৃষ্টির জল ছাড়া অন্য জল খায় না!