
বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ, আদমজী ইপিজেড রণক্ষেত্র
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : মার্চ ০৭, ২০২৫
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী ইপিজেডে বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্যবসা নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে সাংবাদিকসহ ১০-১৫ জন আহত হয়েছে। এ সময় বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে আগুন দেওয়া হয়।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন: নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোহন, সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মানিক, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফ, মাহবুব, সবুজ ও শহীদের নাম পাওয়া গেলেও বাকিদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর ও নাসিক ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন গ্রুপের মধ্যে কয়েকদিন ধরে আদমজী ইপিজেডের ইউনিভার্সেল পোশাক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মনির গ্রুপের সোহাগকে মারধর করে সাগর গ্রুপের লোকজন। এর সূত্র ধরে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় সড়কে চলাচলরত সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
মনির হোসেন গ্রুপের সদস্য বিএনপি কর্মী রুহল আমিন বলেন, “সাগর ও তার লোকজন আদমজী ইপিজেডে একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। তাকে ছাড়া অন্য কেউ ইপিজেডে ব্যবসা করতে গেলে গ্রুপের লোকজন বিকেল ৪টায় অতর্কিত হামলা চালায়।”
তিনি আরও বলেন, “এসময় সাগরের নেতৃত্বে শতাধিক লোকজন দেশি-বিদেশি অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি করে। এছাড়া আমার মার্কেটের দোকানের সাটারগুলো কুপিয়ে নষ্ট করে। এসময় ৮টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয় এবং আরও ৬টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।”
সংঘর্ষের খবর পেয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে স্থানীয় একটি অনলাইন পোর্টালের সাংবাদিক তোফাজ্জলকে পিটিয়ে আহত করা হয়। তবে কোন গ্রুপের লোকজন তাকে মারধর করেছে এবং সাংবাদিক জাকিরের মোটরসাইকেল পুড়িয়েছে, সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
হামলার বিষয়ে জানতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগরের সঙ্গে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শাহিনুর আলম বলেন, “আদমজী ইপিজেডের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়েছিল। উভয় পক্ষের কেউই এখনো থানায় অভিযোগ দেয়নি।”