বঙ্গভবন থেকে মুজিবের ছবি নামানো উচিত হয়নি: রিজভী
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : নভেম্বর ১২, ২০২৪
বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নামানো উচিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও রক্তদান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, “বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নামানো উচিত হয়নি। খন্দকার মোশতাকও তার ছবি নামিয়েছিলেন আর জিয়াউর রহমান আবার টাঙিয়েছিলেন সেই ছবি।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয় শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকার। এরপর দেশের দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। সরকার পতনের ৩ মাস পেরিয়ে গেলেও বঙ্গভবন থেকে সরানো হয়নি শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে।
এবার শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়ে ফেলেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সদ্য নিয়োগ পাওয়া উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। সোমবার তিনিসহ ৩ নতুন উপদেষ্টা শপথ নিয়েছেন। এর আগে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথগ্রহণের পরদিনই শেখ মুজিবের ছবি বঙ্গভবন থেকে সরিয়ে ফেলেছেন তিনি। কেন এই ছবি সরিয়েছেন, তার ব্যাখ্যাও তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্টে তুলে ধরেছেন।
মাহফুজ লিখেছেন, “দরবার হল থেকে শেখ মুজিবুর রহমান-পোস্ট ‘৭১’ ফ্যাসিস্টের ছবি সরানো হয়েছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জার যে, আমরা ৫ আগস্টের পর বঙ্গভবন থেকে তার ছবি সরাতে পারিনি। যার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। কিন্তু, মানুষের মধ্যে জুলাইয়ের চেতনা বেঁচে থাকা পর্যন্ত তাকে কোথাও দেখা যাবে না।”
তিনি আরও লেখেন, “ক্ষমা ও ফ্যাসিস্টদের বিচার ছাড়া আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না। শেখ মুজিব ও তার কন্যা বাংলাদেশের জনগণের সাথে যা করেছেন তা আওয়ামী লীগকে অবশ্যই স্বীকার করতে হবে এবং ক্ষমা চাইতে হবে।”
মাহফুজ লিখেছেন, “অগণতান্ত্রিক ৭২-এর সংবিধান থেকে শুরু করে দুর্ভিক্ষ, কোটি টাকা পাচার এবং হাজার হাজার ভিন্নমতাবলম্বী ও বিরোধীদের বিচারবহির্ভূত হত্যা (৭২-৭৫, ২০০৯-২০২৪)। তাহলে, আমরা ‘৭১-এর আগের শেখ মুজিবের কথা বলতে পারি। ক্ষমা ও ফ্যাসিস্টদের বিচার ছাড়া কোনো ধরনের সংলাপ হবে না।”