বঙ্গভবন এলাকা থমথমে, সতর্ক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : অক্টোবর ২৩, ২০২৪

রাষ্ট্রপতি মো. শাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে মঙ্গলবার রাতে আন্দোলনের পর থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে বঙ্গভবনে সামনে। আজ বুধবার সকাল থেকে ছাত্র-জনতার উপস্থিতি দেখা না গেলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি দেখা যায়।

সতর্ক অবস্থানে রয়েছে সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যরা। বঙ্গভবনের সামনের বেষ্টনি ভেঙে যাতে কেউ ভিতরে ঢুকতে না পারে, সেজন্য বসানো হয়েছে তারকাঁটার বেড়া। সকাল থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা হলেও এখন পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের জমায়েত দেখা যায়নি।

এর আগে, রাত সাড়ে ১১টার দিকে বঙ্গভবন এলাকা ছেড়ে যায় আন্দোলনকারীরা। এ সময় বৃহস্পতিবারের মধ্যে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ নিশ্চিতের আশ্বাস দেন হাসনাত-সারজিসসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। এদিন বিকেল থেকেই রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে আন্দোলনকারীরা।

একপর্যায়ে ব্যারিকেড ভেঙে বঙ্গভবনে ঢোকার চেষ্টা করে তারা। এ সময় সেনাবাহিনী ও পুলিশ তাদেরকে বাধা দেয়। একপর্যায়ে গুলিস্তান আউটার স্টেডিয়ামের পাশ দিয়ে পুলিশের একটি বড় দল বঙ্গভবনের সামনে আসার চেষ্টা করলে বিক্ষোভকারীরা তাদের পথ আটকায়। তাদের তোপের মুখে পুলিশ পিছু হটলে পুলিশের গাড়িতে হামলা চালানো হয়।

এতে গাড়িতে থাকা পুলিশ সদস্যরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে পাঁচজন আহত হয়েছে। এসময় হামলার মুখে কয়েকজন পুলিশ সদস্য অস্ত্র ফেলে চলে যায়। পরে আন্দোলনকারীরা অস্ত্রগুলো সেনাবাহিনীর কাছে জমা দেয়।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি মানবজমিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের দালিলিক প্রমাণ আমার কাছে নেই।”

রাষ্ট্রপতির এ মন্তব্য দেশের রাজনীতিতে বেশ উত্তাপ-আলোচনার সৃষ্টি করে। এ মন্তব্যের জেরে শিক্ষার্থীসহ অনেকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ দাবি করে। একপর্যায়ে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলসহ বিভিন্ন ব্যানারে একাধিক প্লাটফর্ম আন্দোলন শুরু করে। আন্দোলনকারীরা রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের আল্টিমেটামও ঘোষণা করে।

সোমবার রাতে রাষ্ট্রপতির প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শেখ হাসিনার পদত্যাগের বিষয়টি মীমাংসিত। এ বিষয়ে নতুন করে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি করে অন্তর্বর্তী সরকারকে অস্থিতিশীল কিংবা বিব্রত করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান মো. সাহাবুদ্দিন।