‘ফ্যাসিস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বঙ্গভবন থেকে সরানো হয়েছে’
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : নভেম্বর ১১, ২০২৪
রাষ্ট্রপতির বাসভবন বঙ্গভবনের দরবার হল থেকে সরানো হলো শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি। আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্টে এ তথ্য জানান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
মাহফুজ আলম উপদেষ্টা হিসেবে রোববার সন্ধ্যায় শপথ নিয়েছেন। তবে এখনও কোনো দপ্তরের দায়িত্ব তাকে দেওয়া হয়নি।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, “৭১ পরবর্তী ফ্যাসিস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি দরবার হল থেকে সরানো হয়েছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জার যে, আমরা ৫ আগস্টের পর বঙ্গভবন থেকে তার ছবি সরাতে পারিনি। তবে মানুষের ভেতরে জুলাই স্পিরিট যতদিন থাকবে তাকে আর কোথাও দেখা যাবে না।”
তিনি আরও লেখেন, “শেখ মুজিব ও তার কন্যা অগণতান্ত্রিক ’৭২ এর সংবিধান থেকে শুরু করে দুর্ভিক্ষ, কোটি কোটি টাকা পাচার এবং হাজার হাজার ভিন্নমতাবলম্বী ও বিরোধীদের বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ (৭২-৭৫, ২০০৯-২০২৪) বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে যা করেছে তা আওয়ামী লীগকে অবশ্যই স্বীকার করতে হবে এবং ক্ষমা চাইতে হবে।”
মাহফুজ আলম লেখেন, “তাহলেই কেবল আমরা ’৭১-এর আগের শেখ মুজিবের কথা বলতে পারি। ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত এবং ফ্যাসিস্টদের বিচার না করা পর্যন্ত কোনো ধরনের সমঝোতা হবে না।”
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া একই ছবি নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে লিখেছেন, রিমুভড।
রোববার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নতুন তিন উপদেষ্টা দরবার হলে শপথ পাঠ করেন। এ সময় তাদের পেছনে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ছিল। যা দেখে প্রতিবাদ করে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেন।
এরও আগে প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা যখন শপথ নেন তখনও শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি দরবার হলে ছিল। যা দেখে সে সময় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী রাষ্ট্রপতির প্রশংসা করেন।
তবে এর প্রতিবাদ করে এক বক্তব্যে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম প্রশ্ন রেখে বলেছিলেন, “জনগণ অবৈধ রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ চায়। আর রাষ্ট্রপতির বাসভবন বঙ্গভবনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি টাঙানো থাকবে কেন?”