ফরিদ সুমনের খুদে কবিতা
প্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২০
সেফটিপিনের ফাঁদে
শাড়ির সেফটিপিনের ফাঁদে
তোমার ওই রোদরঙা কাঁধে
ডুবে গেছে অথৈ বর্ষামাস।
বোশেখের মেঘভাঙা জলে
নীল শাড়িটার আঁচল গেল খুলে
এই অবেলায় কী যে সর্বনাশ!
একলা ঘাসের দেশে
এই রঙচটা পথে রঙ মেখে দিয়ে
ঝলমলে দিনে হেঁটে গেছ তুমি
আজ একলা একা সেই চেনা ঘাস
উষ্ণতা নেই, আমারই মতন
কাঁপছে শীতে ওই বনভূমি…
দুপুরবেলায় রোদের ছায়া
দুপুরবেলায় কী জানি কী হলো
নদীর জলে পড়লো রোদের ছায়া
তুমি এসে ফাগুনবাঁশির মতো
সুরের ছোঁয়ায় ছড়িয়ে গেলে মায়া।
অমরাবতী
আরাধনায় পেয়েছি বলেই তুমি দেবী।
তোমার অধরের নির্যাস পানে
অমরত্ব অর্জন করা যায় বলেই
তুমি অমরাবতী।
১২
থেমে যাওয়া সময়ের হাত ধরে
আমরা চলে গেছি দূরে-বহুদূরে
ব্যস্ত নগরীর বিকেলের রোদ্দুরে
শুধু তুমি ছিলে সবটুকু জুড়ে।
তোমার সারা বেলা
এই মেঘ এই বৃষ্টি
এই রৌদ্রছায়ার খেলা
তোমার জন্যেই রাত্রি আমার
তোমার সারাবেলা।
মেঘের মিছিল
জলে ভরা মেঘের মিছিল
আকাশ হয়ে করবো ধারণ
পাহাড় চূড়ায় পড়বো নুয়ে
তখন কি খুব করবে বারণ?
জলের ভেতর হাওয়া
রিমঝিম বৃষ্টি নেমেছে
জলের ভেতর হাওয়া
হাওয়ার ভেতর জল
আমার ভেতর তুমি
কথা বলছো অনর্গল।
এসো হেঁটে যাই পুরনো পথে
এসো হেঁটে যাই সেই পুরনো পথে আবার
ফেলে আসা সেই জোছনার নিচে হোক পুরনো অভিসার
বিরহী পাখিরা যাক উড়ে যাক দূরে
মিলনের মূর্ছনা হোক তোমার— আর আমার