পাঁচ জাতের গাছের চারা রোপণ করবেন না

প্রিয়তী

প্রকাশিত : মে ০৩, ২০১৮

ত্রিশ লক্ষ শহিদ স্মরণে বন বিভাগ ৩০ লক্ষ গাছের চারা রোপণের উদ্যোগ নিয়েছে, এটি প্রশংসনীয়। তবে আরও প্রশংসনীয় হয় যদি এই ত্রিশ লক্ষ গাছের চারা ফলের গাছ হয়। এতে দেশবাসীর পুষ্টি, কাঠ, অক্সিজেন- সব কিছুরই যোগান ঠিক থাকবে ও পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকবে। এছাড়া ফলের গাছ থেকে পাখিরাও যেমন খাদ্য পাবে, পাশাপাখি কিছু হলেও এদেশে বিদেশি ফলের ওপর নির্ভরতা কমবে। এছাড়া কাঠ তো পাওয়া যাবেই।

অন্যদিকে মেহগনি, ইউক্যালিপটাস, শিশুকাঠ, রেইন্ট্রি, আকাশিয়া- এ পাঁচটি গাছ দেশের মাটি নষ্ট করে ফেলছে। পাখিরা খাদ্য পাচ্ছে না। পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। ইউক্যালিপ্টাস অতিমাত্রায় পানি শোষণকারী। এছাড়া এর কাঠও নিম্নমানের। এটি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। রেইনট্রি আগ্রাসী গাছ। অন্য গাছকে এটি বাড়তে দেয় না। ঝরাপাতা ফসল ও মাছের জন্য ক্ষতিকর, কাঠও নিম্নমানের।

মেহগনির কাঠ ছাড়া আর কোনও ব্যবহার নেই। এর ফল বিষাক্ত। এ ফল পুকুরের পানিতে পড়লে বিষক্রিয়ায় মাছ মরে যাবার মতো ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। শিশুগাছের কাঠ মাঝারি মানের। প্রকৃতি ও মানুষের সাথে অন্য কোনও সম্পর্ক নেই। একাশিয়ার মাইক্রোস্কপিক রেণু এলার্জি ও এজমার অণুঘটক। কাঠ মাঝারি মানের, গঠন আকাবাঁকা। এরপরও এ জাতের গাছ  বাংলাদেশে অতিরিক্ত রোপিণ করা হয়।

কথায় আছে ছাগলে কীনা খায়! কিন্তু এই পাঁচ গাছের পাতা ছাগলেও খায় না। এসব গাছে প্রকৃতির সবচে সাড়াজাগানো প্রাণী পাখিও বাসা বাঁধে না।

বন বিভাগের কাছে আমার আবেদন রইলো, তাদের নিজস্ব নার্সারিতে ক্ষতিকর গাছের চারা উৎপাদন যেন বন্ধ করা হয়। পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর গাছের চারা বন বিভাগ রোপণ না করে যেন ফলের গাছ রোপণ করে। আমাদের মনে রাখতে হবে, দেশ ও দেশের পরিবেশ সবকিছুর ঊর্ধ্বে।

লেখক: আয়ারল্যান্ড প্রবাসী