নীল বিদ্রোহ এবং নীলদর্পণ নাটক: ভিন্ন দৃষ্টিতে

পর্ব ২

রাহমান চৌধুরী

প্রকাশিত : মে ২৮, ২০২১

নীল-কমিশনের প্রতিবেদন প্রকাশিত হবার পর এই আইন বিধিবদ্ধ করা হলো যে, কোনো নীলকরই আর রায়তদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বলপূর্বক চাষীদের দ্বারা নীলের চাষ করাতে পারবে না। নীলের চাষ করা সম্পূর্ণ চাষীদের ইচ্ছাধীন। সরকারের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, সরকার নীলচাষের পক্ষে বা বিরুদ্ধে নহে। অন্য শষ্যের মতো নীলচাষ করা না করা সম্পূর্ণরূপে প্রজার ইচ্ছাধীন। আইন অমান্য করে অত্যাচার বা অশান্তির কারণ হলে নীলকর বা বিদ্রোহী প্রজা কেউই কঠোর শাস্তি থেকে নিস্কৃতি পাবে না।’

এই ঘোষণা দ্বারা ইংরেজ সরকার নীল-বিদ্রোহেরই জয় ঘোষণা করলেন। নীলের চাষ চাষীদের সম্পূর্ণ ইচ্ছাধীন ঘোষণা করা হলে নীলকররা নিজেদের কুঠি ও কারবার গুছিয়ে অন্য ব্যবসায় মনোনিবেশ করে। অন্যান্য কুঠিও আর কিছুকাল নীলচাষের চেষ্টা করে অবশেষে কুঠি বন্ধ করে দেয়। নীলবিদ্রোহের মধ্য দিয়েই বাংলায় নীলচাষ এভাবে বন্ধ হয়। মহাবিদ্রোহের পর শাসকরা চাইছিল না বড় ধরনের নতুন কোনো বিদ্রোহ বা ঝামেলার মুখোমুখী হতে। নীলচাষ বন্ধ হবার আর একটি কারণ হলো, তখন কৃত্রিম বা রাসায়নিকভাবে রং বানানো সম্ভব হলে, নীলের প্রয়োজন কমে যায়।

নীলবিদ্রোহের পরেই দীনবন্ধুর যুগান্তকারী নীলদর্পণ নাটকটি প্রকাশিত হয়। স্বভাবকই নীল-বিদ্রোহ সৃষ্টিতে কিংবা নীলচাষ বন্ধে নীলদর্পণ নাটকের কোনো ভূমিকা নেই। তাহলে নীলদর্পণ নাটক নিয়ে একশো ষাট বছর পর নতুন করে অলোচনা উত্থাপন করার কারণ কী বা যৌক্তিকতা কোথায়। সত্যিকার অর্থে বিবেচনা করলে নীল বিদ্রোহই দীনবন্ধু মিত্রকে নীলদর্পণ নাটক লিখতে উদ্বুদ্ধ করে। ব্যক্তি ইতিহাস চালায় না, ইতিহাসই ব্যক্তির ভূমিকা নিয়ন্ত্রণ করে। দীনবন্ধুও ইতিহাসের নিয়মে নিয়ন্ত্রিত হলেন। তিনি ইংরেজদের বিপক্ষে নীলবিদ্রোহীদের পক্ষে দাঁড়ালেন।

নাটকটির একটি উদ্দেশ্য ছিল, নীলকরদের অত্যাচারের খতিয়ান তুলে ধরা। ইংরেজী শিক্ষিত এবং ইংরেজের চাকরিরত বঙ্কিমচন্দ্র সে কারণে নাটকটিকে ভালো মনে গ্রহণ করতে পারেননি। নীলদর্পণ প্রকাশিত হবার পর বঙ্কিমচন্দ্র বঙ্গদর্শনে লিখলেন, নাটকে সামাজিক কুপ্রথা সংশোধনের চেষ্টা করলে আর সেটা নাটক থাকে না। তিনি বলেন, ‘কাব্যের উদ্দেশ্য সৌন্দর্য সৃষ্টি, সমাজ সংস্কার নহে। নাটক নাম কলঙ্কিত হইয়াছে।’ দীনবন্ধুর মৃত্যুর পর বঙ্কিমচন্দ্র এ কথাও লিখেছিলেন, ‘দীনবন্ধু পরের দুঃখে নিতান্ত কাতর হইতেন। নীলদর্পন এই গুণের ফল।’ সন্দেহ নেই নীলদর্পণ বাংলার প্রথম উদ্দেশ্যমূলক নাটকগুলির একটি।

নীলদর্পণ নাটকের সবচেয়ে বড় পরিচয় বাংলা নাটকে সচেতন প্রতিবাদী বা রাজনৈতিক নাট্যধারার সূচনা হয় এর দ্বারা। ভদ্রসমাজে নিম্নবর্গের মানুষের সুখ দুঃখের কথা এতদিন অপাংক্তেয় ছিল, দীনবন্ধুর কৃতিত্ব এই যে তিনিই সর্বপ্রথম নীলদর্পণে তাদের স্থান দিয়েছেন। কৃর্পা করে নয়, আন্তরিক শ্রদ্ধা ও দরদের সাথে তিনি তাদের চিত্র এঁকেছেন। নীলদর্পণ প্রকাশিত হবার আগে বাংলার কৃষকের দুর্দশার চিত্র ও সংগ্রাম নাটক তো দূরের কথা, সাহিত্যে মাত্র একবার তা স্থান পেয়েছে। পিয়ারিচাঁদ মিত্র যিনি প্যারীচাঁদ মিত্র নামে আলালের ঘরে দুলাল লিখেছেন, ‘তিনি সে গ্রন্থে নীলকরদের অত্যাচারের বর্ণনা দেন। তিনি আঠারশো ছাপান্ন সালে লিখছেন, ‘নীলকরের জুলুম অতিশয় বৃদ্ধি হইয়াছে। প্রজারা নীল বুনিতে ইচ্ছুক নহে, কারণ ধান্যাদি বোনাতে অধিক লাভ, আর যিনি নীলকরের কুঠিতে যাইয়া একবার দাদন লইয়াছিলেন তাঁহার দফা একেবারে রফা হয়।’

প্যারীচাঁদের উল্লিখিত গ্রন্থে এ ব্যাপারে বলা আছে, ‘নীলকর বেটাদের জুলুমে মুলুক খাক হইয়া গেল। প্রজারা ভয়ে ত্রাহি ত্রাহি করিতেছে। হাকিমরা স্বজাতির অনুরোধে তাহাদিগের বশ্য হইয়া পড়ে, আর আইনের যেরূপ গতিক তাহাতে নীলকরদিগের পলাইবার পথও বিলক্ষণ আছে।’ ‘নীলদর্পণ’ই দ্বিতীয় রচনা যেখানে নীলকরদের অত্যাচারের বিশদ বিবরণ রয়েছে। কৃষক জীবনের দৈনিন্দন খুঁটিনাটি এবং সীমাহীন লাঞ্ছনা-বঞ্চনা এই প্রথম বাংলা নাটকে দৃষ্ট হলো। নতুন এক শ্রেণীকে দেয়া হলো সম্মানিত স্থান। সত্যি কথাটা হচ্ছে এই যে, দীনবন্ধু যখন নাটকে গণচরিত্রের বিদ্রোহ আনলেন ইউরোপের নাট্য তখনও সে পথে পা বাড়ায়নি।

ফরাসি বিপ্লবের পর বারবার জনগণকে নায়ক করার চেষ্টা করা হয়েছে, তাতে গণবিদ্রোহ লক্ষ্য করা যায়নি। শাসকদের উপর তোরাপ যেভাবে চড়াও হয় তা পাওয়া যায়নি। গণনাট্য সম্পর্কে রঁম্যা রলাঁর লেখা প্রকাশিত হয় উনিশশো তিন সালে। নীলদর্পণ মঞ্চস্থ হবার বহু পরে। নীলদর্পণ নাটক প্রথম মুদ্রিত হয় ঢাকায় এবং প্রকাশিত হবার সঙ্গে সঙ্গে নাটকটি এত জনপ্রিয়তা অর্জন করে যে এক বছরের মধ্যেই পুনর্মুদ্রিত হয়। নীলকরদের অত্যাচারে জর্জরিত নীলচাষীদের দুরবস্থা অবলম্বনে রচিত নীলদর্পণ প্রকাশিত হবার পর তা তুমুল আলোড়ন তোলে। বাংলা ভাষায় রচিত নীলদর্পণ অত্যন্ত জনপ্রিয় হলেও ইংরেজ মহলে তা পৌঁছতে পারেনি। মধুসূদন দত্ত এর ইংরেজী অনুবাদ করেন যা কলকাতার কাশীটোলার প্রিন্টি এন্ড পাবলিশিং প্রেসের পক্ষে মুদ্রিত হয়। ইংরেজী অনুবাদ হাতে পেয়ে কলকাতার ব্রিটিশ প্রেস আর নীলকরদের সংগঠন ল্যান্ডহোল্ডার অ্যান্ড কমার্শিয়াল অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে উঠল। বইটির মুদ্রাকর সি, এইচ ম্যানুয়েলের নামে কলকাতা সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা দায়ের করা হলো। নীলদর্পন নিয়ে এটি প্রথম মামলা।

নীলদর্পণ নাটকের ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশের টাকাটা দিয়েছিলেন পাদ্রী রেভারেন্ড জেমস লঙ। বিচারের সময়ে পাদ্রী লংয়ের পরামর্শে ম্যানুয়েল আদালতে প্রবেশ করে বলেন যে, গ্রন্থটির প্রকাশক রেভারেন্ড জেমস লঙ। যখন জানা গেল ইংরেজি অনুবাদের জন্য জেমসই দায়ী তখন ম্যানুয়েলকে দশ টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয়। ম্যানুয়েল রেহাই পেল এবং লঙের বিরুদ্ধে মামলা শুরু হলো। মামলার বাদী এবং বিবাদী হলো, ইংল্যান্ডের রানী বনাম রেভারেন্ড লঙ। এটি ভারতের প্রথম রাস্ট্রমামলা। প্রধান বিচারক ভারত বিদ্বেষী কুখ্যাত মরডান্ট ওয়েলস। লঙের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করা হলো নীলদর্পন প্রকাশ করে তিনি ইংরেজদের বিরুদ্ধে কুৎসা প্রচার করছেন। রেভারেন্ড লঙের বিরুদ্ধে আগে থেকেই ফরিয়াদীদের রাগ ছিল, কারণ লঙ নীল কমিশনের তদন্তকালে চাষীদের পক্ষে স্বাক্ষী দিয়েছিলেন। নীলদর্পন মামলার জেরা, স্বাক্ষ্য থেকে এই গ্রন্থটির প্রচারের ব্যাপারে সিটনকারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা জানা যায়। ইংরেজি নীলদর্পন ছাপা হবার পর সেগুলি সিটনকারের বাড়িতে পাঠানো হয়। সেখান থেকেই সরকারি খামে সরকারি ডাকব্যয়ে ভারতের ও লন্ডনের বিভিন্ন অঞ্চলে সংসদ সদস্য, অবসরপ্রাপ্ত বিচারক, সংবাদপত্রের কাছে দুশো দুইটি বই পাঠানো হয়। কিন্তু এর জন্য সিটনকারকে আসামীর কাঠগড়ায় তোলা যায়নি। লর্ড ক্যানিংয়ের দৃঢ়তায় তিনি রেহাই পান। স্মরণ রাখতে হবে, কয়েকজন ইংরেজ যখন নীলচাষের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে তখন বাঙালি শিক্ষিত মধ্যবিত্তরা কিন্তু বাংলার চাষীদের পক্ষে ছিলেন না। ব্যতিক্রম ছিলেন হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় এবং শিশির ঘোষ।

পাদ্রী লঙের সাথে দীনবন্ধুর সম্পর্ক বহুদিনের। পাদ্রী লঙের সাহায্যেই দরিদ্র দীনবন্ধু অবৈতনিক ইংরেজি পাঠশালায় ভর্তি হতে পেরেছিলেন। জেমস লঙের বিরুদ্ধে মামলা চলেছে মাত্র তিনদিন। বিচার নয়, বিচারের নামে প্রহসন। বিচারে লঙের হাজার টাকা জরিমানা ও একমাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড হয়। কালীপ্রসন্ন সিংহ সঙ্গে সঙ্গে এই জরিমানার টাকা পরিশোধ করেন। এই বিচার নিয়ে দারুণ ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। যতীন্দ্রমোহন ঠাকুর, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, রামগোপাল ঘোষ, দিগম্বর মিত্র, কালীপ্রসন্ন সিংহ প্রমুখের উদ্যোগে বিচারক ওয়েলসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা ডাকা হয়। রাধাকান্ত দেববাহাদুর সভায় সভাপতিত্ব করেন। বিচারকের পক্ষপাত দুষ্ট আচরণের জন্য এই সভার প্রস্তাবক্রমে বিশ হাজার লোকের স্বাক্ষর সম্বলিত এক অভিযোগপত্র ভারত সচিব স্যার লর্ড উডের কাছে পাঠানো হয়। বিচার চলাকালীর দীনবন্ধু মিত্রও আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তখন কেউ মূল নাট্যকারের নাম জানতেন না। বাংলা নীলদর্পণ ‘কস্যচিৎ পথিকস্য’ ছদ্মনামে ঢাকা থেকে প্রথম প্রকাশিত হয়। ইংরেজ চাকুরে দীনবন্ধু নিজের নামে নাটকটি প্রকাশ করতে সাহস পাননি।

স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলা নাটকের দুঃসাহসিক এবং অদম্য অভিযান শুরু হলো এখান থেকে। নীলদর্পণ এই ধারার পথিকৃত। নীলদর্পণ প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এর পূর্বে রচিত ও মঞ্চায়িত সকল নাটকের গোত্রান্তর ঘটলো। নীলদর্পণের পূর্বে কিছু সামাজিক নাটক হচ্ছিল। নাটকগুলো ছিল ব্যঙ্গ বিদ্রুপ-প্রধান নক্সা জাতীয়। এই সময় রামনারায়ণ তর্করত্নের কুলীনকূলসর্বস্ব এবং বিদ্যাসাগর প্রবর্তিত বিধবাবিবাহের স্বপক্ষে ও বিপক্ষে রচিত নাটকগুলিই প্রাধান্য লাভ করেছিল। কিন্তু কোনোটিই একত্রে জাতির সামাজিক-রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক অবদমনের বিরুদ্ধে দৃপ্ত ছিল না। নীলদর্পণ নাটকে তিনটি দিকেই অঙ্গুলি নির্দেশ ছিল। সেই সঙ্গে বিদেশী শাসকের অত্যাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রামের আহ্বান ছিল। নীলদর্পণ নাটক রচনার ভিতর দিয়ে জাতির এক চরম সঙ্কটে বাংলা নাটকের নতুন ঐতিহ্য শুরু হলো। ইংরেজদের অত্যাচার যে কতো নির্মম রূপ নিয়েছিল সেই বর্বরতার জ্বলন্ত কাহিনী রূপায়িত হলো নীলদর্পণ নাটকে। নীলবিদ্রোহ ঘটে গেছে তখন। সরকার কৃষকদের দাবী মেনে নিয়েছে। কিন্তু নীলকরদের বর্বরতার ইতিহাস তখনও সকলের জানা ছিল না। বিশেষ করে শহুরে শিক্ষিতদের কাছে নীলকরদের মূল চরিত্র ছিল অজানা। পত্রিকায় নীলকরদের সম্পর্কে যে-সব খবর ছাপা হতো তা হয়তো তাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য ছিল না। নীলদর্পণ নাটকের মধ্য দিয়েই তা সকলের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠে।

নীলদর্পন নাটক প্রকাশে সবচেয়ে বেশি বিব্রত বোধ করেছিল নীলকররা এবং সেই সাথে ইংরেজ শাসকরা। কারণ নীলবিদ্রোহের ফলে নীলচাষ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নীলকররা লোকসানের মুখোমুখি হলো অর্থাৎ তাদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেল। নীলচাষ রদ হওয়ায় তাদের রমরমা মুনাফা বন্ধ হয়েছে এখন যদি আবার তাদের অতীত কর্মকাণ্ড নিয়ে টানাহেঁচড়া চলে তাহলে নিজেদের মান বজায় রাখা দায়। পরাজয়ের গঞ্জনাতো আছেই, নীলদর্পণ নাটকে তায় আবার তাদেরকে নারী উৎপীড়ক হিসেবে দেখানো হয়েছে। ফলে স্বভাবতই ইংরেজরা নীলদর্পণ প্রকাশে ভীষণ ক্ষুব্ধ হলো। কারণ গত প্রায় নব্বই বছরের নীলচাষের গোপন অধ্যায়গুলো জানাজানি হয়ে যাচ্ছে। গ্রন্থ প্রকাশের ফলে শুধু ভারতবর্ষেই নয়, এর ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশে বিদেশেও তাদের কুকীর্তি ফাঁস হবে। ইংল্যান্ডের সংসদ খুব সহজভাবে নেবে না এই ঘটনা। সেখানে নীলকরদের বিরুদ্ধ পক্ষ রয়েছে, তারা সংসদে যথেষ্ট শক্তিশালী। সবমিলিয়ে নীলদর্পণ নাটকের প্রকাশ ইংরেজদের জন্য ভয়ের কারণ হয়ে উঠল। নীলদর্পণ নাটক রচনার মধ্য দিয়ে দীনবন্ধু ইংরেজদের মনে ভয় ধরিয়ে দেবার এই কাজটিই করেছিলেন। সেটাই হচ্ছে তাঁর নাটক রচনার একটি সাফল্য। যে-কারণে দেড়শো বছর পরেও তাঁর নাটক নিয়ে আলোচনা করতে হয়। নাটকের যে কী ভয়াবহ শক্তি রয়েছে তা নতুন করে প্রমাণ করার জন্য। চলবে

নীলদর্পন নাটকের পঞ্চাশ বছর উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গের কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ অতিথি হিসেবে দেয়া লেখকের বক্তব্য