দেবাশীষ তেওয়ারী
দেবাশীষ তেওয়ারীর দুটি কবিতা
প্রকাশিত : নভেম্বর ১৫, ২০২২
প্রথম আলো
সকাল হতেই নির্বাচিত মেষটাকে জল খেতে দিয়ে, গাঁ-ধুইয়ে টেনে আনা হয় পবিত্র বেদীতে, বাকী মেষগুলোকে চড়াতে রাখাল চলে পাহাড়ে। রোদ ভালোবাসে পাহাড়ের হ্রদ। বাতাসে ঘাসের গান। হেঁটে
যাওয়া হাটুঁরে দল - যাতে পর্যটক ও লোকাল মিলেমিশে
জেড প্লেনের ধোঁয়ার মতো কারু-বিমোহিত মেঘ, মেঘে
দলাকারে দলছুট মেষের আকৃতি। ও প্রকৃতি
পরশী তো, তবু চিৎকার কানে যায় না নিরঞ্জনের। সামনে এগোতে না-চাওয়া মেষ, তার চোখে সংকেত
হয়ে ঝুলে থাকে শূন্যে ফাঁসি নেয়া ঈশ্বরের দেহ।
সন্ধের শুরুতে তাঁবুতে উল্লাস। হাওয়ায় ঘাস। থাক এই সুখ বারোমাস। জিভে জলের কোরাস। সমবেত, তবু
প্রার্থনা কী ভীষণ একাকী, মনোটোনাস!
রাত আশীর্বাদ করে মেষেদের লোমে আদর বুলিয়ে, বিলিকাটা অনুভবে ঘুম আসে মেষ-পালকেরও।
ভোর হলে পবিত্র বেদীতে আরো একটি মেষের চোখে নামবেন সমবেত প্রার্থনার সন্ধ্যা, দিনের শুরুতে। দোকানে সারাদিন বিক্রি হবে নিবেদিত মাংস।
ত্যামন আরোহী কই
যাকে দেখেই ঘোড়া সত্য যেনে যাবে, এই
জন্ম-প্রচণ্ড ক্ষিপ্রতা নিয়ে ছুটে চলার জন্যেই
আরোহী তান্ত্রিক হবে, স্বপ্নঘোরে ঘোড়া দাঁড়িয়ে ঘুমাবে
ত্যামন আরোহী কে, তাকে বশীভূত করে পোষ মানাবে!
একজন্ম নতজানু, ভাঁজ করে পা মাটিতে বসে আছে
কানে ভনভন মাছি তবু ঘুমমতো চোখ বুজেই তো কাছে
যাকে দেখলেই ঘোড়া মানবে চাবুকের রক্ত জলো আঁচড়ের সুখ।
শীৎকার মানে কেশর ওড়ানো তীব্র হ্রেষা, মৃত্যু হলো চুমু খাওয়া প্রমিকার মায়াভরা মুখ।