দীর্ঘ বছর পর সিনেমায় শাওন, সঙ্গে পাওলি দাম

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : জুলাই ০৫, ২০২৪

১৭ বছর পর বড়পর্দায় ফিরছেন টেলিভিশন ও সিনেমার পরিচিত মুখ মেহের আফরোজ শাওন। মোশতাক আহমেদের প্যারাসাইকোলজি বিষয়ক উপন্যাস ‘নীল জোছনার জীবন’ অবলম্বনে ফাখরুল আরেফীন খান নির্মিত সিনেমায় অভিনয় করছেন তিনি।

১৯৮৯ সালে ইবনে মিজান পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘আলাল দুলাল’ এ শিশু শিল্পী হিসেবে শাওনের অভিনয় শুরু। সেখানে তিনি অভিনয় করেন তৎকালীন খ্যাতিমান নায়িকা সুচরিতার ছোটবেলার চরিত্রে। তবে তিনি আলোচনায় আসেন শিশু শিল্পীদের জাতীয় সাংস্কৃতিক প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা ‘নতুন কুঁড়ি’তে বিজয়ী হওয়ার পর। তার নামের সঙ্গে একাধারে জুড়ে ছিল নৃত্যশিল্পী, সংগীতশিল্পী ও অভিনয়শিল্পী।

গুণী নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের বেশিরভাগ নাটক ও সিনেমায় শাওন অভিনয় করেন। একসময় ভালোবেসে ঘর বাঁধেন হুমায়ূন আহমেদ ও শাওন। বিয়ের পর সংসার ও সন্তান সামলে অভিনয় চালিয়ে গিয়েছিলেন শাওন। তবে ২০১২ সালে হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর পর আর অভিনয়ে দেখা যায়নি তাকে। ১৭ বছরের বিরতি ভেঙে ফের বড় পর্দায় ফিরছেন তিনি।

শাওন বলেন, “১৭ বছর পর সিনেমায় অভিনয় করছি। শেষ ২০০৭ সালে হুমায়ূন আহমেদের ‘আমার আছে জল’ সিনেমার শুটিং করেছিলাম। সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিল ২০০৮ সালে।”

তিনি আরও বলেন, “প্যারাসাইকোলজি বিষয় নিয়ে নির্মিত হচ্ছে নীল জোছনা। এতে আমাকে শহুরে এক নারীর চরিত্রে দেখা যাবে। গল্প ও চরিত্র পছন্দ হওয়ায় কাজটির সঙ্গে যুক্ত হওয়া। দীর্ঘদিন পর সিনেমার শুটিং করব। তবে প্রযোজক ও পরিচালকের পলিসিগত কারণে এখনই সিনেমা কিংবা আমার অভিনীত চরিত্রটি নিয়ে বিস্তারিত বলতে চাই না।”

সিনেমায় ১৭ বছর পর ফিরলেও ১৩ বছর পর অভিনয় করছেন শাওন। তিনি ২০১১ সালে শেষ অভিনয় করেন ‘স্বর্ণকলস’ নাটকে। নাটকটি রচনা ও পরিচালনা করেছিলেন হুমায়ূন আহমেদ। আজ শুক্রবার ঢাকায় নীল জোছনা সিনেমায় নিজের অংশের শুটিংয়ে অংশ নেবেন শাওন। এতে আরও অভিনয় করছেন: পাওলি দাম. তারিক আনাম খান, ইন্তেখাব দিনার, পার্থ বড়ুয়া, এসএম নাঈম প্রমুখ।

নীল জোছনা নির্মাতা ফাখরুল আরেফীনের চতুর্থ সিনেমা। এর আগে তিনি বানিয়েছেন ‘ভুবন মাঝি’, ‘গণ্ডি’ ও ‘জেকে ১৯৭১’। নতুন সিনেমা নিয়ে ফাখরুল আরেফীন খান বলেন, “নীল জোছনা সিনেমার কাজ শুরু করেছিলাম প্রায় ছয় বছর আগে। আমার জানামতে, প্যারাসাইকোলজি নিয়ে এর আগে বাংলাদেশে কোনো কাজ হয়নি। আর সে কারণেই মোশতাক আহমেদের উপন্যাসটি পড়ার পর সিদ্ধান্ত নিই সিনেমা বানানোর।”