‘তিন মাস পর নির্বাচনের সময়সীমা নির্ধারণ হবে’

তিন মাস পর ছয় সংস্কার কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে নির্বাচনের সময়সীমা নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম। শনিবার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

মাহফুজ বলেন, “তিন মাস পর ছয় সংস্কার কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে নির্বাচনের সময়সীমা নির্ধারণ করা হবে। প্রশাসনে যারা ফ্যাসিবাদের দোসর রয়েছেন, তাদের শাস্তির আওতায় আনতে সরকার বদ্ধপরিকর। জন-আকাঙ্ক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে রাষ্ট্র সংস্কার করা হবে।”

তিনি আরও বলেন, “ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ গণহত্যায় জড়িতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া গুম কমিশনেও অভিযোগ জমা পড়েছে, সেসব নিয়ে কাজ চলছে। সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে স্বস্তি ফিরবে। সরকার এ বিষয়ে খুবই আন্তরিক।”

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “সংস্কার কমিশনগুলো ৩ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে। সেগুলো নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ রাজনৈতিক দল, সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সঙ্গে কথা বলবে। এরপর রিফর্মের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একটা ন্যূনতম ঐকমত্যে আসবে।”

তিনি আরও বলেন, “ঐকমত্যের ওপর নির্ভর করবে নির্বাচনের টাইমলাইন। কারণ কতটুকু রিফর্ম লাগবে সেটা দেখার বিষয় আছে। নির্বাচনী রোডম্যাপের ব্যাপারে যে আলাপটা হচ্ছে, সেটা হচ্ছে ছয়টা কমিশন গঠন করা হয়েছে, তার পাঁচটি পূর্ণাঙ্গ করা হয়েছে। বাকিটা দু’একদিনের মধ্যে ঘোষণা হবে।”