তানভীর রাতুলের দর্শনগদ্য ‘মূল্যায়িত ভালোবাসা’

পর্ব ১

প্রকাশিত : জুন ১৯, ২০২২

প্রেমের এই তৃতীয় প্রকার দৃষ্টিভঙ্গিটা প্রেমকে একজন ব্যক্তির মূল্যায়নের একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যসূচক পদ্ধতি হিসাবে দেখে। পূর্বোক্ত অধ্যায়ে ইরোস ও অ্যাগাপের মধ্যে যেমন পার্থক্য নির্দেশ করা হয়েছে, তেমন এটি বোঝারও অন্তত দুটি উপায় রয়েছে: প্রেমিক তার প্রিয়তমাকে মূল্যায়িত করে। কারণ সেই অন্যজন নিজেই মূল্যবান বা মূল্যায়নযোগ্য, অথবা প্রেমিকের কাছে তার প্রেমিকা মূল্যবান হয়ে ওঠে সেই একজনকে ভালোবাসার পরিপ্রেক্ষিতে। এদুটো দৃষ্টিভঙ্গির প্রথমটিকে প্রেমে মূল্যবানের মূল্যায়ন আর পরবর্তী দৃষ্টিভঙ্গিটাকে মূল্যদানের মূল্যায়ন হিসাবে আলোচনা করা হবে।

মূল্যবান-মূল্যায়িত ভালোবাসা
প্রেমের মূল্যবানকে মূল্যায়নের দৃষ্টিভঙ্গি, প্রেমকে মৌলিকভাবে প্রিয়জনের বা অন্যজনের মূল্যকে স্বীকার করা এবং স্বাতন্ত্র্যসূচক উপায়ে প্রতিক্রিয়া জানানোর ব্যাপার হিসাবে ব্যাখ্যা করে। এটিকে আরও সম্পূর্ণরূপে বোঝার জন্য, প্রেমিকের কাছে প্রেমিকার মূল্যায়নযোগ্য গুণাবলির ধরন বা প্রকারভেদ এবং সেই মূল্যের মূল্যায়ন থেকে উদ্ভূত স্বতন্ত্র ধরনের প্রতিক্রিয়া, উভয়ই বোঝা প্রয়োজন। এটা স্পষ্ট হওয়া উচিত যে, লক্ষ্যবস্তুকে নিছক মূল্যায়ন করাই প্রেমের মূল্যবানকে মূল্যায়ন বিষয়ক মতবাদের উদাহরণ হয়ে ওঠার সবগুলো শর্তকে পূরণ করে না। অন্যান্য অনেক মতবাদই এটা করে। যেমন শক্তিশালী বা দৃঢ় উদ্বেগজনক মতবাদের জন্য মূল্যায়ন অতি সাধারণ ঘটনা। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, পূর্বোল্লিখিত ব্যক্তি ক ও খ এর মধ্যকার গুণাবলি মূল্যায়নের আনুমানিক নমুনা। বরঞ্চ মূল্যবান মূল্যায়ন দৃষ্টিভঙ্গি, মানুষের মূল্যায়নের মধ্যে বিদ্যমান ভালোবাসাকে আরো স্বতন্ত্র ও বিশদভাবে ব্যাখ্যা।

ভালোবাসার মূল্যবোধের ধরনকে প্রকাশ করার ক্ষেত্রে কান্টের অনুসরণে দাম ও মর্যাদার প্রভেদ নিরুপণ করা যায়। অর্থনৈতিক রূপক-শব্দটা যেমন প্রস্তাব করে, দাম থাকা মানে হলো এমন একটি মান থাকা যা সেই দামের বিপরীতে অন্যান্য জিনিসের সাথে একই দরে তুলনা করা যেতে পারে। যেমন ক্ষতিবৃদ্ধি ছাড়াই একই পরিমাণ অর্থে প্রাপ্ত সমানুপাতিক বিভিন্ন বিনিময়যোগ্য দ্রব্য বা পণ্য। অন্যদিকে, মর্যাদা থাকা মানে এমন একটি মান থাকা যাতে আপেক্ষিক মূল্যের বা দামের তুলনা অর্থহীন হয়ে যায়। বস্তুগত দ্রব্যের দাম সাধারণত বোঝা যায়, কিন্তু মানুষের নিজস্ব ব্যক্তিগত মর্যাদা আছে: একজনকে কখনোই অন্যজন দিয়ে প্রতিস্থাপন করা যায় না। একজনের মূল্যবোধ অ্ন্যজন ঠিক একই মানে সংরক্ষণ করতে পারে না। কারণ এই ধরনের প্রতিস্থাপণে অতুলনীয় মূল্যের কিছুটা হয়তো হারিয়ে যাবে অথবা যুক্ত হবে।

কান্টের এই দৃষ্টিভঙ্গিতে, ব্যক্তি হিসাবে মানুষের মর্যাদা নিজস্ব যৌক্তিক প্রকৃতির মধ্যে নিহিত। মানুষের স্বজ্ঞাত ক্ষমতা দ্বারা স্বায়ত্তশাসিতভাবে নিজেদের নিজস্ব উদ্দেশ্যসমূহ নির্ধারণ করা এবং মানুষ পৃথিবীতে অনজনদের ভেতরে যে অন্তর্নিহিত গুণাবলি বা মূল্যবোধগুলো খুঁজে পায় সেগুলোর প্রতি যথাযথভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো, উভয়ই মানুষের ব্যক্তিগত যৌক্তিক স্বভাবের পরিণাম। ফলস্বরূপ, যে গুরুত্বপূর্ণ উপায়ে একজন মানুষ নিজেদের যুক্তিযুক্ত স্বভাবগুলি অনুশীলন করে তা হলো, অন্যজনের মর্যাদার প্রতি সম্মানের সাথে প্রতিক্রিয়া জানানো; এটা এমন এক প্রকার মর্যাদা যা অন্যজনের নিজস্ব সম্মানের ধারকতা বা ক্ষমতারই অংশবিশেষ। সম্মান হলো অন্য ব্যক্তিদের মর্যাদা বা গৌরবের প্রতি প্রয়োজনীয় ন্যূনতম মৌলিক প্রতিক্রিয়া। যা একজন ব্যক্তির অন্যজনের প্রতি শ্রদ্ধার প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে তা হলো, এটি একজনের আত্মপ্রেমকে ধারণ করে এবং এর ফলে একজন অন্যজনকে উদ্দেশ্যে সাধনের উপায় বা মাধ্যম হিসাবে বিবেচনা করা থেকে বিরত থাকে।

এইমর্মে দাবি করা যায় যে, প্রেম একইভাবে ব্যক্তির নিজস্ব মর্যাদার প্রতিক্রিয়া। আর ঠিক তেমনি এটা মানুষের ভালোবাসার লক্ষ্যবস্তুর প্রতি শ্রদ্ধা যা ভালোবাসাকেই ন্যায্যতা দেয়। ভালবাসা ও শ্রদ্ধা একই মূল্যের প্রতি দুটি ভিন্ন প্রতিক্রিয়া। কিন্তু প্রেম বা ভালোবাসা মানুষের আত্মপ্রেমকে আটকায় না, বরং অন্যজনের কাছ থেকে নিজেদের মানসিক আত্মরক্ষার প্রবণতা, নিজেকে সঙ্কুচিত করে রাখার প্রবণতা এবং এসব প্রবণতা দ্বারা প্রভাবিত হওয়া থেকে প্রতিরোধ করে। ভালোবাসা মানুষের মানসিক প্রতিরক্ষাকে নিরস্ত্র করে দেয়: তখন একজন ভেদ্য ও জেয় হয়ে ওঠে অন্যজনের কাছে, এটা হয় একজন মানুষের অন্যজন মানুষের প্রতি দুর্বলতার কারণে।

এর মানে হলো, উদ্বেগ, আকর্ষণ, সহানুভূতি, ইত্যাদি আবেগ যা মানুষ সাধারণত ভালোবাসার সাথে যুক্ত করে তা ভালোবাসার উপাদান নয় বরং এর স্বাভাবিক প্রভাব বা ফলাফল। এবং ভালোবাসা এসব আবেগ ছাড়াই বিদ্যমান থাকতে পারে। যেমন: হয়তো কোনো অবাঞ্ছিত বা অনাকাঙ্ক্ষিত আত্মীয় বা পরিবারের সদস্যদের প্রতি একপ্রকার ভালোবাসা থাকলে সম্মুখ উপস্থিতি বা মুখোমুখি সাক্ষাৎ ও যোগাযোগ কাম্য নয়। অধিকন্তু, এখান থেকে ভালবাসার স্বজ্ঞাত গভীরতা সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা অনুধাবন করা যায়। প্রেম মূলত একজন মানুষের অন্যজন মানুষের প্রতি প্রতিক্রিয়া। তাই একজন মানুষের কুকুর বা কোনো জড়বস্তুকে ভালোবাসার সাথে এটাকে তুলনা করে বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না।

অবশ্যই মানুষ দেখা হওয়া প্রতিটি অন্য ব্যক্তির নিজস্ব গৌরবের প্রতি ভালোবাসা দিয়ে সাড়া দেয় না। অথবা সবসময় প্রতিক্রিয়ার প্রয়োজনও হয় না। প্রেম হলো একজনের অন্যজনের মর্যাদা বা সম্মানের প্রতি সর্বাধিক ঐচ্ছিক বা স্বেচ্ছামূলক প্রতিক্রিয়া যা মানুষের মানসিক প্রতিরক্ষাকে এমনভাবে নিরস্ত্র করে যে, একজন মানুষকে বিশেষভাবে নির্দিষ্ট অন্যজনের প্রতি দুর্বল করে তোলে। তাহলে প্রেমের নির্বাচনশীলতা বা নির্দিষ্ট অন্যজন বাছাই করার প্রক্রিয়াটা কীভাবে ব্যাখ্যা করা যায়? একজন সুনিশ্চিতভাবে অন্যজনকেই ভালোবাসে, বাকিদেরকে না? কিছু মানুষ আচরণগতভাবে ব্যক্তি হিসাবে নিজেদের আত্মমর্যাদা যেসব উপায়ে প্রকাশ করে এবং একজন আমি যেভাবে সেসব সম্মান বা গৌরবান্বিত গুণাবলির প্রতি আবেগগতভাবে দুর্বল হয়ে অভিব্যক্তির প্রতিক্রিয়া জানাতে ইচ্ছুক হয়, এই দুটো শর্তের সামঞ্জস্যপূর্ণ সংযোগবিন্দুতে উক্ত প্রশ্নের উত্তরটির সন্ধান পাওয়া যায়।

উপযুক্ত মানা্নসই কোন ব্যক্তি একজন আমির কাছে প্রেমময় বা প্রীতিজনক হয়ে ওঠে, এবং এই ক্ষেত্রে ভালবাসার সাথে একজনের প্রতিক্রিয়া তার অন্যজনকে এমনভাবে প্রকৃত দর্শন করে বা এমন নজরে দেখে যেটা একজন বাকিদের সাথে করতে ব্যর্থ হয়, এজন্যই বাকিরা সেই একজনের সাথে মানায় না। প্রেমময় শব্দটি দ্বারা এখানে ভালোবাসার যোগ্য কাউকে বোঝানো হয়, ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্য কাউকে নয়। কারণ এখানে অন্যজনকে একজনের ভালোবাসা প্রদানের ন্যায্যতা সম্পর্কে কোনো প্রশ্নের উত্তর নেই। বরং যা আছে তা হলো, একজনের ভালোবাসার নির্বাচনশীলতা বা বাছাই প্রক্রিয়ার ব্যাখ্যা। আর সেটা এমন একটি ব্যাখ্যা যা প্রকৃতপক্ষে একজনের নিছক সম্মানের প্রতিক্রিয়াকেই ভালোবাসা হিসেবে প্রতীয়মান করে।

প্রেমের নির্বাচনশীতলাকে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে কিন্তু ভালোবাসার ন্যায্যতাকে ব্যাখ্যা করা যায় না। এই উপলব্ধিটা সম্ভাব্যভাবে সমস্যাজনক। কারণ একজন মানুষ সাধারণত মনে করে যে সে বাকিদের চেয়ে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট অন্যজকে ভালবাসার ন্যায্যতা বা কারণ প্রমাণ এবং আরও গুরুত্বপূর্ণভাবে সেই ভালোবাসার নিত্যতা বা স্থায়িত্বকে সমর্থন করতে পারে: অন্যজন মৌলিক উপায়ে বা কালচক্রে কিছু মূল্যবোধ পরিবর্তন করলেও একজন সেই অন্যজনকে ভালবাসতে থাকে, যতক্ষণ না অন্যান্য গুণাবলীগুলো অটুট। তেমনি স্থিরতা-স্থায়িত্বের স্ববিরোধ বা অসঙ্গতি সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করে বলা যায় যে, একই সাথে একজন চায় সে ঠগবাজে পরিণত হলেও অন্যজন ভালোবাসা বজায় রাখবে…আবার সেই একজনের সেই প্রিয় অন্যজনই কখনোই একটি ঠগবাজকে ভালোবাসবে না।

এখানে সমস্যাটি কেবলমাত্র এই নয় যে, মানুষ ভালবাসায় সঙ্গী নির্বাচনের ব্যাখ্যা। যেমন: কেন একজন ঠগবাজ বা ভেল্কিবাজ বা ধান্দাবাজকে ভালোবাসে না। সমস্যাটি হলো, ভালোবাসার বিচক্ষণতা। ভালো কারণে প্রেম করা এবং ভালোবাসা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ভালো বা উপযুক্ত কারণে ভালোবাসা বন্ধ করা দেয়া, এসবের সুষম বিবরণ দেয়াটা। এই ভালো কারণগুলির সাথে পূর্বে একজনের নিজের বা এখনকার অন্যকারোর পরিবর্তে এখনকার একজনের মূল্যবোধ, গুণাবলীর ও বৈশিষ্ট্যতার তারতম্য জড়িত বলে মনে হয়। আর এই আনুষাঙ্গিক যুক্তিটিই অস্বীকার করা হয় ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধার মধ্যে পার্থক্য তৈরি করার ক্ষেত্রে।

অন্যজনের অভিব্যক্তি এবং একজনের সংবেদনশীলতার মধ্যে মানানসই উপযুক্ততার পরিপ্রেক্ষিতে প্রেমের নির্বাচনীয়তা ব্যাখ্যা করতে পারা যায় কিনা সেটাও একটা প্রশ্নবিদ্ধ বিতর্ক। একজনের পক্ষ থেকে প্রাসঙ্গিক সংবেদনশীলতা হলো মানসিক সংবেদনশীলতা: একজনের সংবেদনশীল প্রতিরক্ষার হ্রাস করা এবং তাই অন্যজনের জন্য মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়া। এইভাবে একজন অন্যজনের স্বার্থ বা লাভক্ষতির প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে এবং তাই সহানুভূতিশীলভাবে অন্যজনের বেদনা ও আনন্দ অনুভব করে। এই ধরনের আবেগগুলির উদ্রেক পরোায়ানা বা ডেকে আনাটাও নির্ণয়যোগ্য, এবং তাই এখন এই জিজ্ঞাসা করা যেতে পারে যে, অন্যজন প্রতিযোগিতায় হেরে গেলে বা পরীক্ষায় বিফল হলে একজন-এর হতাশাটা কেন নিশ্চিত, কিন্তু বাকি নিছক অপরিচিত লোকজনদের পরাজয় বা বিফলতায় হতাশা বা দুঃখবোধের কোনই সমন জারি করবে না সেই একজন-্এর মানসিক অবস্থা। স্বজ্ঞালব্ধ জ্ঞান বা অন্তর্দৃষ্টিমূলক উত্তর হলো, একজন অন্যজনকে ভালোবাসে কিন্তু বাকি কাউকে নয়।

এই উত্তরটি অনুপলব্ধই থেকে যায় যদি মনে করা হয় যে, শ্রদ্ধা বা সম্মানের পরিবর্তে অন্যজনের গুণাবলী তথা আত্ম-মর্যাদার প্রতি একজনের প্রতিক্রিয়া ভালোবাসার মতো হয়ে ওঠার কারণই তা হলো একজন এই ধরনের আবেগ অনুভব করে, এবং আবেগগুলি ব্যাখ্যা করার জন্য একজনের ভালোবাসার উত্তরবিচার করা তাই বলে মনে হয় এক পঙ্কিল চক্র। যদিও এসব সমস্যা উপরোক্ত নির্দিষ্ট যুক্তিগুলির ক্ষেত্রেই শুধু প্রযোজ্য, তবে ঝামেলাটা প্রেমের যেকোনো মূল্যবান-মূল্যায়ন তত্ত্বের সাপেক্ষেও সাধারণীকরণ করা যেতে পারে। কারণ যদি প্রেম একপ্রকার মূল্যবান কোন কিছু্র মূল্যায়নই হয়, তবে এটিকে মানুষ যেসব বিচার-বিশ্লেষণমূলক মনোভাবসহ মূল্যায়নের অন্যান্য রূপ বা প্রকারগুলো থেকে আলাদা করা দরকার। একদিকে, আমাদের আবেগগত এবং প্রেরণামূলক জীবনে প্রেমের কিছু প্রভাবের পরিপ্রেক্ষিতে অন্যান্য ধরনের গুণগ্রাহিতা বা বিশ্লেষণধর্মী মূল্যায়িত শ্রদ্ধা থেকে ভালোবাসাকে মূল্যায়ন হিসাবে আলাদা করার চেষ্টা করা অসন্তুষ্টিজনক কারণ এটি ব্যাখ্যার প্রয়োজনীয় অংশ: যেমন, কেন প্রেমের ক্ষেত্রে মূল্যায়নে এমনসব মানসিক প্রভাব রয়েছে যা কিনা অন্যান্য মূল্যায়নমূলক বিষয়বস্তুর অপ্রযোজ্য, এই প্রশ্নটাকে উপেক্ষা করে।

প্রকৃতপক্ষে, এই প্রশ্নটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যদি প্রেমের স্বজ্ঞাত গভীরতা বুঝতে চাওয়া হয়। কারণ এই প্রশ্নের উত্তর ছাড়া বুঝতেই পারা যায় না, কেন প্রেম মনুষ্য জীবনে বিষয়ের স্পষ্টত কেন্দ্রীয়তা বা মূলবস্তু হবে। অন্যদিকে, এই মানসিক উপাদানটিকে মূল্যায়নের মধ্যে একত্রে জড়ো করতে তা শক্তিশালী উদ্বেগ তত্ত্ব বা আবেগ তত্ত্বেরই এক পাঠান্তরে রূপান্তরিত হয়। চলবে