জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সকল আসামি খালাস
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : নভেম্বর ২৭, ২০২৪
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা আপিল মঞ্জুর করে আজ বুধবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
রায়ের পর সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। ২০ নভেম্বর এ মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা আপিলের ওপর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের বেঞ্চে শুনানি হয়।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও কায়সার কামাল। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আসিফ হাসান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার।
শুনানিতে আদালত জানতে চান, অন্য আসামিরা আপিল করেছেন কিনা। তখন দুদক আইনজীবী জানান, অন্য আসামিরা আপিল করেছেন। এ সময় একসঙ্গে আপিলগুলো শুনানির কথা জানিয়ে আদালত আজ বুধবার পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন।
এর আগে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার আপিল শুনানির জন্য নিজ খরচে পেপারবুক তৈরির আবেদন করেন খালেদা জিয়া, যা ৩ নভেম্বর মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় ওই মামলা করে দুদক। ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান (বর্তমানে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি) এই মামলায় খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেন। পরে হাইকোর্টে আপিল করেন তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। আর ৬ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দণ্ড মওকুফ করে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়।