চিকলি বিলের সৌন্দর্য মুগ্ধ করছে ভ্রমণপিপাসুদের ................. ছবি: সংগৃহীত
ঘুরে আসা যাক চিকলি বিলে
নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রকাশিত : জানুয়ারি ৩১, ২০২৪
রংপুরে চিকলি বিলের সৌন্দর্য মুগ্ধ করছে ভ্রমণপিপাসুদের। এক সময় জায়গাটি ব্যবহৃত হতো সি প্লেনের ল্যান্ডিং স্টেশন হিসেবে। শীতে অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠতো এই বিল।
রংপুরের হনুমানতলা এলাকার শত বছরের প্রাচীন চিকলি বিলের পাশেই গড়ে উঠেছে চিকলি ওয়াটার ও গার্ডেন পার্ক। বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠা এই পার্ক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
ভারতের জলপাইগুঁড়ির ভোটপাট্টি থেকে সপরিবারে বেড়াতে এসে তানিয়া রায় নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘এবার পুজোতে পরিবারের সবাই মিলে বাংলাদেশে আত্মীয়স্বজনের কাছে এসেছি। এক ছোট ভাইয়ের কথায় চিকলি ওয়াটার পার্কে ঘুরতে এসে খুব আনন্দ উপভোগ করলাম। ঝরনা স্পিড বোটসহ সব রাইডই উপভোগ্য। বিশেষ করে এখানকার গাম্য প্রকৃতি আমাদের ভালো লেগেছে।’
বিলপাড়ে মনোরম পরিবেশে বসে থাকারও ব্যবস্থা রয়েছে। আছে চিত্ত বিনোদনের জন্য মিনি রেলগাড়ি, স্পিড বোট, চরকিসহ অনন্ত ২০টি রাইড। পার্কটির সৌন্দর্য বৃদ্ধির কাজ করছেন শিল্পী আশরাফ আলী। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে পার্কটি এই অঞ্চলে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আমরা আমাদের কাজ করে যাচ্ছি। সামনে আরো অনেকগুলো পরিবর্তন দেখতে পাবেন দর্শক।
বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠা এই পার্কের পাশেই আছে রিসোর্ট। আছে আলাদা ৫টি রেস্টুরেন্ট। আছে জেট স্কি’সহ নানা ওয়াটার রাইড, আর্টিফিশিয়াল ওয়াটার ফলস, টয় ট্রেন ও বিশালাকার চরকি। চরকিতে উঠলে রংপুর শহরের বার্ডস আই ভিউ পাবেন। পড়ন্ত বিকেল কাটানোর জন্য অসাধারণ এক স্থান চিকলির বিল।
বিল ঘুরে দেখার জন্য রয়েছে স্পীড বোট। এখানে অনেক দূর থেকেও দল বেঁধে বনভোজন করতে আসেন অনেকে। পার্কের ভেতরে বেশ কয়েকটি খাল আছে। সেখানকার স্বচ্ছ পানিতে খেলা করে রঙিন মাছ।
সিটি কর্পোরেশন থেকে একশ একরের এই বিল লিজ নিয়ে ওয়াটার পার্কে রূপান্তরিত পার্কটি আরও জনপ্রিয় করার স্বপ্নের কথা জানালেন পার্কের পরিচালক মাসুদ নবী মুন্না। তিনি জানান, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ আনসার ও বিজেপি সদস্য দ্বারা নিরাপত্তা বেষ্টনীর এই পার্কটিতে ইতোমধ্যেই হয়েছে দুই শতাধিক বেকার যুবকের কর্মসংস্থান।
বর্তমানে চিকলির বিল দু’ভাগে বিভক্ত। বিলের দক্ষিণে গড়ে উঠেছে ওয়াটার পার্ক। সেখানে প্রবেশ মূল্য ২০ টাকা। আর বিলের উত্তর পাশে চিকলি ওয়াটার গার্ডেন। প্রবেশ মূল্য ৩০ টাকা। প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত খোলা থাকে পার্কটি।