
‘গুমের সব ঘটনা তথ্য প্রমাণ সহকারে উপস্থাপন করা হবে’
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : মার্চ ০৪, ২০২৫
গুমের সব ঘটনা তথ্য-প্রমাণ সহকারে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন গুম কমিশন সভাপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে গুমসংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির কার্যক্রম নিয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “গুমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত ফৌজদারি দায় পুরো বাহিনীর ওপর বর্তায় না। গুমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হলে সংশ্লিষ্ট বাহিনীর কালিমা মোচন হবে এবং বাহিনীর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।”
তিনি আরও বলেন, “গুমের কমিশনে জমা পড়া অভিযোগের মধ্য থেকে প্রায় ১ হাজারটি অভিযোগ ও তার সঙ্গে সংযুক্ত কাগজপত্রের যাচাই-বাছাই প্রাথমিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কমিশনে আসা ২৮০ অভিযোগকারীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে।”
গুম কমিশন সভাপতি বলেন, “এছাড়া প্রায় ৪৫ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে। আবার গুমের শিকার হয়ে ফিরে না আসা ৩৩০ ব্যক্তির বর্তমান অবস্থা নিয়ে অনুসন্ধান চলমান আছে।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলার পুলিশ সুপার ও বিজিবির সেক্টর কমান্ডারদের কাছ থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর ভারত থেকে বাংলাদেশে পুশইন করা ব্যক্তিদের তথ্য চাওয়া হলে বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে ১৪০ জনের তথ্য পাওয়া গেছে।”
মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “এই তথ্যের প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে কোনো গুমের শিকার ব্যক্তির নাম এখনও পাওয়া যায়নি। পুলিশ ও বিজিবির পক্ষ থেকে পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রাপ্তি সাপেক্ষে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “তবে গত বছরের ২২ ডিসেম্বর ঢাকার ধামরাইয়ের মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ্ নামক গুমের শিকার ব্যক্তিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর বর্ডার দিয়ে পুশইন করা হয়েছে মর্মে আমরা অবগত আছি। এ বিষয়ে কমিশনের অনুসন্ধান চলমান আছে।”
গুম কমিশন সভাপতি বলেন, “এছাড়া ভারতের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি থাকা বাংলাদেশি নাগরিকদের তালিকা চাওয়া হয়েছিল। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতের বিভিন্ন কারাগারে দুই-আড়াই বছরে আটক ১০৬৭ বাংলাদেশির নাম-ঠিকানাসহ তালিকা পাওয়া গেছে।”
তিনি আরও বলেন, “আরও তথ্য পাওয়া গেলে কমিশনে পাঠানো হবে মর্মে লিখিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রাপ্ত তালিকায় গুমের শিকার কোনো ব্যক্তির নাম আছে কিনা, তার অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন গুমসংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত বিচারক মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকার কর্মী নুর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কমিশনের সদস্য মিজ নাবিলা ইদ্রিস এবং মানবাধিকার কর্মী ও কমিশনের সদস্য সাজ্জাদ হোসেন।