কামরুল ইসলাম রাহাতের গল্প ‘মহাযাত্রা’
পর্ব ১
প্রকাশিত : ডিসেম্বর ১৮, ২০২০
১৯৭৫ সাল, জুলাই
আজ মানবজাতির জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। আজ সকাল দশটায় স্পেসপোর্ট আমেরিকা থেকে পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে দ্রুতগামী রকেটের মাধ্যমে মানুষ ২৫০০০ আলোকবর্ষ দিয়ে কানিস মেজর ডোয়ার্ফ গ্যালাক্সির রিকন নামক গ্রহে অবতরণ করবে। এটি নাসার গোপন মিশনের একটি, প্রেস বা দেশের জনগণ এই ব্যাপারে এখনি কিছু জানবে না। সফল হলেই তা জানানো হবে তবে সম্পূর্ণ তথ্য নির্ভর করছে মিশন শেষে কি হবে তার উপর, ভিন্ন ধরণের কোনো ব্যাপার হলে তা গোপনই থাকবে। কেউ জানবে না নাসার চিফ, মিশনের সায়েন্টিস্টরা এবং প্রেসিডেন্ট ছাড়া।
এখন দশটা বেজে কুড়ি মিনিট। আলোকবর্ষগামী রকেটটি সফলভাবে উড্ডয়ন করেছে। ডেভিড ভিনিসের মধ্যে প্রবল উত্তেজনা কাজ করছে। তার রক্ত চলাচল উত্তেজনায় দ্রুত হয়ে গিয়েছে। এক আলোকবর্ষ পার হয়েছে। সে দেখছে অনেকগুলো তারা এক সংগে অবস্থান করছে তাদের ম্লান আলো স্পেসক্রাফটের উপর পডছে। প্রতি ১০০ আলোকবর্ষ পার হওয়ার সময় যোগাযোগ করে পৃথিবীর স্পেস সেন্টারের সাথে। তারা জানতে চায় সব কিছু ঠিক আছে কিনা। তা ১০০০ পর্যন্ত সব কিছু ঠিক ছিল গন্ডগোল বাধলো ১৫০০ পার হওয়ার পর। স্পেসক্রাফটটি আর ঠিক ভাবে চলছে না। নিচের দিক থেকে একটা মৃদু আকর্ষণ টেনে ধরে রেখেছে। ডেভিড স্পেস সেন্টারের সাথে যোগাযোগ করছে তারা কিছু বুঝতে পারছে না।
২০০০ আলোকবর্ষ পাড়ি দেওয়ার পর স্পেসক্রাফটটি একটি নক্ষত্রের সাথে খানিকটা ঘষা খায়। এতে স্পেসক্রাফটের অবস্থা আরও খারাপ হয়। এরপর স্পেসক্রাফটটি ২০০০০ আলোকবর্ষ পাড়ি দেওয়ার পর সেটি অন্য দিকে যেতে থাকে। এসময় স্পেস সেন্টারের থেকে নির্দেশ আসে কাছের কোন নক্ষত্রে অবতরণ করার জন্য। ডেভিড এসময় যোগাযোগ করার চেস্টা করে। অনেক কষ্টে যোগাযোগ করে সে বলে, স্যার, অনেক চেস্টা করছি। কিন্তু আর নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব নয়। স্পেস সেন্টার থেকে বলছে, ঠিক আছে কোন চিন্তা কোরোনা। আমরা দেখছি কি করা যায়। তারপর আধঘণ্টা পর স্পেস সেন্টার থেকে বললো, তুমি তোমার কাছের কোন উপগ্রহে ল্যান্ড কর। এই মুহুর্তে এছাড়া আর কোন উপায় নেই। আমরা দুদিনের মধ্যে কিছু একটা ব্যবস্থা করবো।
২ দিন পর
মিশন চিফ প্রেসিডেন্টকে বলছেন, আজ আমাদের জন্য একটি ঐতিহাসিক মূহুর্ত। আজ মানুষ প্রথম অন্য গ্যালাক্সির বুকে পদার্পন করেছে। অনেক নতুন পদার্থ পাওয়া গেছে যা আমরা গবেষণা করছি।
এছাড়াও জানিয়েছে সেখানে ভিন্ন মৌল দিয়ে তৈরী কিছু জিনিস পাওয়া গিয়েছে।
এর একদিন পর ডেভিড তার স্পেসক্রাফটে করে পৃথিবীতে ফেরত আসছে, ওর চেহারায় কোনো উত্তেজনা নেই, বরং কিছুটা চিন্তার চাপ ফুটে আছে, মিশনের চিফ এই খবর পাওয়ার পর থেকেই এক ধরণের অস্বস্তিতে আছেন, স্পেসক্রাফট ঠিক হয়ে গেছে, যান্ত্রিক ত্রুটির লক্ষণ নেই, কিন্তু ওটাতো কাজ করছিলো না, তাহলে ডেভিড নিজেই কন্ট্রোল করতে পেরেছে সব কিছু? সাহায্য চাওয়ার পরদিন হঠাত তারা জানতে পারেন ডেভিড বার্তা দিয়েছে ও রেকনে নামছে। সাহায্য প্রয়োজন নেই আর। তার পর থেকে ব্যাপারটা একটু অদ্ভুত লাগছে চিফের।
স্পেসক্রাফট ফিরে আসছে।
আগের দিন এই প্রকল্পের চিফ প্রেসিডেন্ট এর সাথে গোপন সাক্ষাতে বলেন, নিশ্চয়ই এটি আমাদের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। এই প্রকল্পের জন্য নভোচারী হিসেবে আমরা ডেভিড ভিনিসকে নির্বাচিত করেছি। আশা করছি সব কিছু ঠিক থাকলে আমরা ইতিহাসের আরেকটি মাইল্ফলক ছুতে পারবো ।
ডেভিড ভিনিস একজন অভিজ্ঞ নভোচারী। সে ২০ বছর আগে নভোচারী হিসেবে সফলভাবে প্রথম ১০০ আলোকবর্ষ পাড়ি দেয়। তার অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতার জন্য এই মহা প্রকল্পে তাকে নভোচারী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
ডেভিড ভিনিস একজন অভিজ্ঞ নভোচারী। সে ২০ বছর আগে নভোচারী হিসেবে সফলভাবে প্রথম ১০০ আলোকবর্ষ পাড়ি দেয়। তার অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতার জন্য এই মহা প্রকল্পে তাকে নভোচারী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
এখন দশটা বেজে কুড়ি মিনিট। আলোকবর্ষগামী রকেটটি সফলভাবে উড্ডয়ন করেছে। ডেভিড ভিনিসের মধ্যে প্রবল উত্তেজনা কাজ করছে। তার রক্ত চলাচল উত্তেজনায় দ্রুত হয়ে গিয়েছে। এক আলোকবর্ষ পার হয়েছে। সে দেখছে অনেকগুলো তারা এক সংগে অবস্থান করছে তাদের ম্লান আলো স্পেসক্রাফটের উপর পডছে। প্রতি ১০০ আলোকবর্ষ পার হওয়ার সময় যোগাযোগ করে পৃথিবীর স্পেস সেন্টারের সাথে। তারা জানতে চায় সব কিছু ঠিক আছে কিনা। তা ১০০০ পর্যন্ত সব কিছু ঠিক ছিল গন্ডগোল বাধলো ১৫০০ পার হওয়ার পর। স্পেসক্রাফটটি আর ঠিক ভাবে চলছে না। নিচের দিক থেকে একটা মৃদু আকর্ষণ টেনে ধরে রেখেছে। ডেভিড স্পেস সেন্টারের সাথে যোগাযোগ করছে তারা কিছু বুঝতে পারছে না।
২০০০ আলোকবর্ষ পাড়ি দেওয়ার পর স্পেসক্রাফটটি একটি নক্ষত্রের সাথে খানিকটা ঘষা খায়। এতে স্পেসক্রাফটের অবস্থা আরও খারাপ হয়। এরপর স্পেসক্রাফটটি ২০০০০ আলোকবর্ষ পাড়ি দেওয়ার পর সেটি অন্য দিকে যেতে থাকে। এসময় স্পেস সেন্টারের থেকে নির্দেশ আসে কাছের কোন নক্ষত্রে অবতরণ করার জন্য। ডেভিড এসময় যোগাযোগ করার চেস্টা করে। অনেক কষ্টে যোগাযোগ করে সে বলে, স্যার, অনেক চেস্টা করছি। কিন্তু আর নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব নয়। স্পেস সেন্টার থেকে বলছে, ঠিক আছে কোন চিন্তা কোরোনা। আমরা দেখছি কি করা যায়। তারপর আধঘণ্টা পর স্পেস সেন্টার থেকে বললো, তুমি তোমার কাছের কোন উপগ্রহে ল্যান্ড কর। এই মুহুর্তে এছাড়া আর কোন উপায় নেই। আমরা দুদিনের মধ্যে কিছু একটা ব্যবস্থা করবো।
২ দিন পর
মিশন চিফ প্রেসিডেন্টকে বলছেন, আজ আমাদের জন্য একটি ঐতিহাসিক মূহুর্ত। আজ মানুষ প্রথম অন্য গ্যালাক্সির বুকে পদার্পন করেছে। অনেক নতুন পদার্থ পাওয়া গেছে যা আমরা গবেষণা করছি।
এছাড়াও জানিয়েছে সেখানে ভিন্ন মৌল দিয়ে তৈরী কিছু জিনিস পাওয়া গিয়েছে।
এর একদিন পর ডেভিড তার স্পেসক্রাফটে করে পৃথিবীতে ফেরত আসছে, ওর চেহারায় কোনো উত্তেজনা নেই, বরং কিছুটা চিন্তার চাপ ফুটে আছে, মিশনের চিফ এই খবর পাওয়ার পর থেকেই এক ধরণের অস্বস্তিতে আছেন, স্পেসক্রাফট ঠিক হয়ে গেছে, যান্ত্রিক ত্রুটির লক্ষণ নেই, কিন্তু ওটাতো কাজ করছিলো না, তাহলে ডেভিড নিজেই কন্ট্রোল করতে পেরেছে সব কিছু? সাহায্য চাওয়ার পরদিন হঠাত তারা জানতে পারেন ডেভিড বার্তা দিয়েছে ও রেকনে নামছে। সাহায্য প্রয়োজন নেই আর। তার পর থেকে ব্যাপারটা একটু অদ্ভুত লাগছে চিফের।
স্পেসক্রাফট ফিরে আসছে।
পৃথিবীর বুকে ঘটতে চলেছে এক ভয়ংকর পরিবর্তন, কি সেটা? এই মূহুর্তে সেটা ডেভিড ছাড়া কেউ জানে না, এই মিশনের চিফ ও না। চলবে