কাজী জহিরুল ইসলাম

কাজী জহিরুল ইসলাম

কাজী জহিরুল ইসলামের দীর্ঘকবিতা ‘কবির জন্ম’

প্রকাশিত : জানুয়ারি ১১, ২০২৫

ঠিক করি পছন্দমতো একটি জন্মদিন তৈরি করব।

তক্ষুণি স্বপ্নের আনন্দ-শকট তুলে দিই গ্রেগরিয়ান সড়কে,
অ্যাক্সেলেটর দাবাতেই আতঙ্কের রেডলাইট
জ্বেলে দেয় জানুয়ারির দ্বাররক্ষক দেবতা জেনুস,
দিনের আকাশ থেকে ঝরে পড়ছিল শীতল কয়লা,
দ্রুত অন্ধকার হয়ে যাচ্ছিল চারপাশ।

পা কাঁপছিল ব্রেকপ্যাডেলে,
একটি নন্দিত শহরের প্রতীক্ষা-তোরণে পৌঁছবো বলে
প্রতীক্ষা করতে থাকি সুদীর্ঘ নক্ষত্রকাল,
তখনও বুঝিনি এই শীতল দেবতা, দ্বিমুখধারী,
জানুয়ারি,
আমাকে ওর নিজস্ব অন্ধকার গহ্বরে লুকিয়ে ফেলেছে।

যখন দ্বিতীয় মুখ থেকে উগড়ে দিল দেহখানি,
চন্দ্রনিনাদে ভীষণ স্নান করছিল উত্তর-গোলার্ধ।

পুনরায় অ্যাক্সেলেটরে পা রেখে শূন্যে ভাসতে থাকি,
লাল-বর্ণ ফেব্রুয়ারি-গ্রহে
সারি সারি রক্তচন্দন অভিবাদন জানাতে ঘাড় নোয়ালো,
ওদের সুগন্ধি গ্রীবা দু`পাশে ধাক্কা দিয়ে
সরাতে সরাতে এগুচ্ছিলাম ভাষাস্তম্ভের দিকে;

`ফেব্রুয়া` নামের যে চাবুক, তা বাতাসে শপাং শপাং
এলোপাতাড়ি ছুড়তে ছুড়তে
কেউ একজন কর্তৃত্বের কণ্ঠে নির্দেশ দিল,
‘এখান থেকেই বেছে নাও’
কিন্তু কে তিনি? কে চিৎকার করে উঠল?
সবগুলো অ্যাভেন্যুর মুখে প্রতিরোধের ব্যারিকেড,
আমাকে ঢুকতে দিচ্ছে না কেন ওরা?

দশ নম্বর সড়কের অতীত-অবতরণ প্রলুব্ধ করে ঠিকই,
কিন্তু আমি তো চাই নতুন গৃহ,
প্রয়োজনে পুরো এক গ্যালাক্টিক বর্ষ অপেক্ষা করবো।

একুশের প্রতিও আছে বিশেষ দুর্বলতা,
যদিও এখানে পা রাখার মতো মূর্খ নই আমি,

সেখানেও কয়েক স্তরের প্রতিবন্ধকতা-ব্যুহ।

কিছুটা অপমানে, তারও অধিক অভিমানে, ছুটতে থাকি;

বদ্ধভূমির ওপর ছড়িয়ে থাকা ছাই-ভস্মের একত্রিশটি বুলেভার্ড জড়ো করে শুয়ে আছেন দুখিনী মার্চ।

সপ্তম বুলেভার্ডে বজ্রহুংকার, বঞ্চিত মানুষের প্রতিবাদী মুষ্ঠি,
একটি তর্জনী খুব উঁচুতে, দুলে দুলে, বাতাসে শিস কেটে
শাসাচ্ছে পশ্চিমের তামাটে মেঘেদের।

এখানে-ওখানে রক্ত, ছিন্ন-মস্তক, ইট-কাঠ পোড়া কয়লা,
ধুলায় লুণ্ঠিত নারীর সম্ভ্রম,
ধর্মশালাগুলো মৃত্যুর ঠিক আগমুহূর্তে
পানশালাদের গলা জড়িয়ে ধরে গাইছে শোকের এলিজি।

আমি চিৎকার করতে করতে এগুতে থাকি,
‘মিথ্যুক, মিথ্যুক তুমি টিএস এলিয়ট,
এপ্রিল কী করে হয়?
মার্চ, মার্চ ইজ দ্য ক্রুয়েলেস্ট মান্থ,’

মাতৃজরায়ুর মতো একটি রক্তাক্ত পর্দা ছিঁড়ে বেরিয়ে আসি
প্রকাণ্ড এক খোলা মাঠের নাতিশীতোষ্ণ গ্রহে।

ম্যাগনোলিয়ারা নিভে যেতে যেতে ছড়িয়ে দেয়
মখমলের স্নিগ্ধতা;
গোল্ডফিঞ্চ, শ্যামা গাইছিল মিলনের গান,
বিকশিত হবার প্রতীক্ষা নিয়ে উঁকি দিচ্ছিল সবুজ কুঁড়ি, অজস্র পুষ্পবীথি;
অনিন্দ্য ল্যাটিনো দেবী
প্রবল ওয়েস্ট উইন্ড ড্রিফটের মতো উত্তাল,
শচিকেতজাল,
পুষ্পিত ঠোঁটের দরোজা খুলে দিল;

‘এপ্রির’ শব্দে খুলে যায় ত্রিশটি সুজজ্জিত,
পুষ্পশোভিত গৃহের তোরণ;
তখনই এইজিয়ান সমুদ্রের ফেনা উগড়ে দেয় বেগুনি নন্দনপিণ্ড,
নগরীর প্রধান ফটকে এসে দাঁড়ালো অনিন্দ্য ফেনা,
প্রেমের দেবী আফ্রোদিতি;

বুকের ওপর ছড়িয়ে থাকা সোনালি চুলের নিচে
দুলে দুলে কেঁপে উঠছে গ্রিক পনিরের দুটি স্নিগ্ধ পাহাড়,
গলে গলে যার ধারা নেমে যাচ্ছে নিচে, ভূমধ্যসাগরে,
নাভির ঘূর্ণনে তৈরি হয় অনাবিস্কৃত এক ছায়াপথের মায়াচক্র,
এই অনিন্দ্য নারী, দেবী, এপ্রিল নগরীর চাবি উপহার দিয়ে বলে,
বেছে নাও অঙ্কুরোদগমের গৃহ।

কে না-জানে আফ্রোদিতির প্রেম কখনোই নিষ্কণ্টক ছিল না,
আজও তা জড়ানো সহস্র ষড়যন্ত্রের জালে,

প্রতিটি গৃহের দরোজায় দাঁড়িয়ে আছে হেরা,
এথেনা, হিলিয়াস, আর্তেমিস, নার্সিসাস, অর্ফিউস;

আমি ব্যর্থ, পরাজিত হই, পুনরায় শকটের ইঞ্জিনে জ্বালানি দিয়ে
ছুটতে থাকি গ্রহাণুপুঞ্জের ভিড়ে,

একুশ শতকের নির্জলা যন্ত্রযান, কঠিন ইস্পাতে নির্মিত গাড়িখানা,
ইলন মাস্কের স্বপ্ন,
কোনো এক মায়ার জগতে পড়ে ঝরাহত জাহাজের মতো দুলতে থাকে,
দুলতে দুলতে গলে যায় লৌহশাবক।

এই বস্তুজগৎ কখনোই একচ্ছত্র নয়,
ভেসে আছে এক সুবিশাল মায়াবক্ষে,
মায়া, আহা মায়া!

এখন আমার হাত আর স্টিয়ারিংয়ে নেই,
আমার পা আর অ্যাক্সেলারেটরে নেই,
আমার চোখ উইন্ডশিল্ডে নেই, ডেশবোর্ডে নেই,
আমার কানেরা মোটেই উৎকর্ণ নয় আর দুর্ঘটনা এড়াবার জন্যে।

আসলে আমার কোনো গাড়ি নেই,
স্টিয়ারিং নেই, ডেশবোর্ড নেই, রাস্তা নেই;
আমার কোনো পা নেই, হাত নেই, চোখ ও দৃষ্টি নেই,
অথচ আমি দেখতে পাচ্ছি সব,
আমি কি ঠিক দেখতে পাচ্ছি?
দৃষ্টিহীন, চোখহীন আমি কী করে দেখছি সবকিছু?
আমার কোনো নাসিকা নেই,
অথচ আমি খুব চেনা এক ঘ্রাণের গভীরে ডুবে আছি,
আমার কর্ণদ্বয় নেই কিন্তু ইন্দ্রের সভায় যে গান গেয়েছিল গন্ধর্বেরা
আমি খুব স্পষ্টতই শুনতে পাচ্ছি সেই অমিয় সঙ্গীত।

আমি কি এখন ভেসে বেড়াচ্ছি?
আসলে আমি কি আছি?
আমি কি সত্যিই এগজিস্ট করি?
মায়া দেবীর হাতে নক্ষত্রের মতো জ্বলজ্বল করছে একত্রিশটি তাস,
‘বেছে নাও তোমার জন্মদিনের উপহার,
এরই একটিতে রয়েছে সেই শুভদিন।’
আমি হাত বাড়াতেই প্রচণ্ড এক বাতাস এসে উড়িয়ে নেয় মায়ার মে-পুষ্প।

সঙ্গে সঙ্গে এই জাদুর জগৎ থেকে বের হয়ে আসি;

সুসজ্জিত দেবী-সম্রাজ্ঞী জুনো তার সুডৌল বাহু দুটি বাড়িয়ে বলেন,
‘এত দেরি করলে কবি, কত সহস্র আলোকবর্ষ তোমার প্রতীক্ষায় বসে আছি;’

এ-কথা বলেই তিনি একটি প্রস্ফুটিত পুষ্প হয়ে যান,
শূন্যে মেলে ধরেন ত্রিশটি উজ্জ্বল পাপড়ি,
যেন বহুবর্ণের গুচ্ছ প্রজাপতি পেখম ছড়িয়ে
দেখাচ্ছে তার অপার্থিব সৌন্দর্য,
‘দেরি করছ কেন, বেছে নাও তোমার কাঙ্ক্ষিত পাপড়ি,
এখনও নিশ্চিত নও বুঝি কোন রঙ তোমার পছন্দ?’

আমি নিজের সংশয়ের কথা গোপন করে উজ্জ্বলতম নীল বর্ণের পাপড়ির দিকে হাত বাড়াই।

সে-কী!
কোথায় নীল? শূন্যতায় ভরা কেন আমার করতল?
সব রঙ গলে গলে পড়ছে কেন?
উজ্জ্বল রঙের ফোয়ারা গলে যাচ্ছে,
ঝরে যাচ্ছে,
মিশে যাচ্ছে জুনের প্রবল বৃষ্টিতে!

যন্ত্রশকট, একবিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ গাড়িখানি,
আমাকে পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু সড়কে এনে দাঁড় করায়,
দোর্দণ্ড প্রতাপশালী রাজা সিজার,
জুলিয়াস সিজারের কণ্ঠে তখন রাজ-নির্দেশ,
‘ভালো করে তাকাও, দেখো, পেলাটাইন পাহাড়ের চতুর্দিকে ছড়ানো আছে
একত্রিশটি প্রবেশপথ,
এরই একটি আজ বেছে নিতে হবে তোমাকে,
এই পর্বতের বুকে,
পৃথিবীর শীর্ষমঞ্চই হবে তোমার জন্মস্থান,
এক্ষুণি বেছে নাও নির্বাচিত প্রবেশপথ।’

তখনই কলোসিয়াম প্রকম্পিত করে জেগে ওঠেন
সম্রাট অগাস্টাস,
‘না, না, এ-কিছুতেই হতে পারে না।
শিল্পের কদর কবে দেখেছে কম এই পৃথিবী
অগাস্টাসের দরবারে?
কবির জন্ম হবে আগস্টে, জুলাইয়ে নয়’

কিন্তু আমি ওদের দুজনকেই হতাশ করে ডুকরে কেঁদে উঠি,

জুলাইয়ের সকল রাজপথে লেগে আছে তাজা রক্ত
শহিদের রক্তে গ্রাফিতি আঁকা পথের মাটি,
এই যে দেখো, ১৬ নম্বর,
পায়রার মতো দু`বাহু প্রসারিত শহিদ আবু সাঈদ,
১৮ নম্বরে চোখ রাখো,
হাস্যোজ্জ্বল একটি জীবন্ত তারকা হঠাৎ লুটিয়ে পড়লো,
নগরবাসী আজও মুগ্ধ সেই পবিত্র হাসির স্নিগ্ধতায়,
আমি কী করে এইসব সড়কে পা রাখি?

অগাস্টাস, হে প্রতাপশালী সম্রাট, যে মাস তোমার নামে উৎকীর্ণ
আমি সেখানেও দাঁড়াতে পারবো না,
এখানেও রক্ত,
যদিও অবরুদ্ধ গণতন্ত্র মুক্ত হবার কথা বড় বড় রক্তের হরফে
লেখা আছে এ-গ্রন্থেরই পঞ্চম পৃষ্ঠায়,
তবু আমি কী করে ভুলে যাই মধ্যগ্রন্থের নির্মম রক্তের দাগ?
শুধু কী তাই, তোমার বুকেই চিরনিদ্রায় শায়িত
অর্ধেকটা বাংলা ভাষা,
শান্তির অবতার রবীন্দ্রনাথ, দ্রোহের বাউল কাজী নজরুল,
অধিকারের তীব্র তীরন্দাজ শামসুর রাহমান,
নগর-প্রেমিক শহীদ কাদরী...

এত শোক, এত রক্ত, এত উত্তাপ, না-না, আমাকে ক্ষমা করো তোমরা...
জন্মোৎসবের আনন্দ এই ভূমিতে?
কিছুতে নয়, কিছুতেই নয়।

সেপ্টেম্বরের মাটিতে যদিও পোঁতা আছে আমারই পাজরের হাড়,
পৃথিবীর মানুষ বড় ভয় পায় এই মাসটিকে,
আমি তো শান্তির অবিমিশ্র দূত,
স্বপ্নের ফেরিঅলা, কী করে অমন নৃশংস ছবির ওপর হাস্যোজ্জ্বল দাঁড়াবো আমি?

সিকাডার সঙ্গীত বড় প্রিয়, লাল-হলুদ পত্রবৃষ্টিও,
বিষণ্ণতার এক করুণ বেহালা নিয়ে অরণ্যবিভায় সুর তোলেন বৃদ্ধ অক্টোবর,
তবু এই মাসটি আমার ভীষণ ভালো লাগে,
ফরাসি কফির কাপে চুমুক দিয়ে
আমাকে বলেন আলবেয়ার কাম্যু,
‘পাতারাই তো ফুল হয়ে ওঠে, বিষণ্ণতা কেন খোঁজো?’

আমি ধীরে ধীরে এগিয়ে যাই,
হাঁটতে থাকি অক্টোবরের নিভে যাওয়া অরণ্যের নির্জনতায়,
হয়তো এটিই আমার জন্মের জন্য উপযুক্ত লোকালয়।

এ-কী!
কোত্থেকে এলো এই ঝড়ো হাওয়া?
অক্টোবর উড়ছে কী ভীষণ দৃষ্টিসীমার বাইরে।

কক্ষপথের একাদশ পর্বে এখন পৃথিবী,
বিভাজিত পদ্মের ভগ্নাংশ থেকে বেরিয়ে আসেন দেবী ইসিস,
সুবিশাল পাখনা দুটি গুটিয়ে বসেন কমলারঙ মেঘের ডালে,
‘দেখো কবি, ত্রিখণ্ডিত মাতৃপদ্ম,
যা থেকে তৈরি হয়েছে পৃথিবী, আকাশ এবং স্বর্গ,
তার নির্যাস নিঙড়ে এনেছি ত্রিশটি উজ্জ্বল রেণু, শুধু তোমার জন্য,
আর দেরি নয়, এখান থেকেই বেছে নাও জন্মের দিন,
তোমার শুভাগমনে পূর্ণতা পাক আমার ঊর্বরা উদর,
ধন্য হোক নভেম্বর।’

আমি প্রলুব্ধ হই,
‘হ্যাঁ, হ্যাঁ, প্রাচীন মিশরের দেবী ইসিস,
সৌভাগ্যের, নিরাপত্তার, ঊর্বরতার, মাতৃত্বের
দেবী,
তবে তাই হোক,
তোমার গর্ভেই রোপিত হোক আমার জন্মবীজ’

এ-কী! এই অসময়ে বজ্রপাত!
তুমি স্থির অনড় প্রস্তরখণ্ডে পরিণত হলে কেন?
ত্রিশটি উজ্জ্বল পরাগরেণু,
ত্রিশটি অতিকায় ধুলোর পিণ্ড হয়ে ঝরে পড়ছে পৃথিবীতে,
হারমাটানের অন্ধকারে ঢেকে যাচ্ছে পৃথিবী,
হাবুবের দোর্দণ্ড দাপটে লণ্ডভণ্ড হয়ে যাচ্ছে লোকালয়!

ভয়ে আমি ছুটতে থাকি,
আমি কি গিলগামেশ? কেন আমাকে ধাওয়া করছে দেবী ইস্তার?
কেন দেবপিতা আনু মুক্ত করে দিলেন স্বর্গের ষাঁড়?
বহু পুরুষের হৃদয় ছাই করেছ জেনেও
আমি তো তোমার প্রেম উপেক্ষা করিনি ইস্তার,
কেন তবে আমার বিরুদ্ধে তোমার এই শত্রুতা?
ইনকিদু আমার বন্ধু নয়,
অরণ্যরাজ হুম্বাবাকেও আমি হত্যা করিনি,
অমরত্বের জন্য যাইনি উতনাপিশতিমের গৃহে,

কেন তবে আমার পিছু নিয়েছ তুমি স্বর্গের দেবী ইস্তার?

তোমার একত্রিশ বর্শা ব্যর্থ লক্ষ্যে পৌঁছুবে,
হে স্বর্গের দেবী, তোমার তো অজানা থাকার কথা নয়,
সত্য আমার সমস্ত শরীর চুম্বন করেছে,
এই দেহে প্রতিহিংসার তীর কিছুতেই ঢুকবে না,

তুমি ফিরে যাও ঝড় ও জলোচ্ছাস গুটিয়ে।

ডিসেম্বর?
না, আমাকে ধারণ করার জন্যে উপযুক্ত নয় এই লোকালয়।

কোথাও হলো না স্থান,
সৌরবৃত্তের কোথাও নেই কবির জন্য উপযুক্ত একটি জন্মতারিখ,

আজও তাই আমার জন্মগ্রহণই হলো না।

হলিসউড, নিউইয়র্ক। ১০ জানুয়ারি ২০২৫