কলকাতার কত রঙ্গ এবং বাবু সংস্কৃতি
পর্ব ৫
রাহমান চৌধুরীপ্রকাশিত : জুন ১৯, ২০২১
কালীপ্রসন্ন সিংহের লেখা থেকে জানা যায়, রাজারাজরারা রাত্রে নিজ বিবাহিত স্ত্রীর মুখ দেখতেন না। বাড়ির প্রধান আমলা, দারওয়ান, মুচ্ছুদ্দিরা যেমন হুজুরের বিষয়কর্ম দেখেন, স্ত্রীর রক্ষণাবেক্ষণের ভারও তাঁদের উপর বর্তায়। সুতরাং তাঁরা ছাড়বেন কেন? এই ভয়ে কোনো কোনো বুদ্ধিমান স্ত্রীকে বাড়ির ভিতর ঘরে পুরে চাবি বন্ধ করে সারারাত রাঁড় নিয়ে বা বাঈদের নিয়ে ফূর্তি করে সকালে বাড়ি ফেরেন। স্ত্রীও চাবি হতে পরিত্রাণ পান। ভোলানাথ মুখোপাধ্যায় দুঃখ করে লিখছেন, কতো বাবুরা অসহ্য বিরহ শয্যায় স্ত্রীকে শোয়াইয়া সমস্ত রাত্রের জন্য বাহির হয়ে যান, সুরা সেবন খানা ভক্ষণ করে ও অবিদ্যা নিয়ে কতোই আমোদ আহ্লাদ করেন। গৃহে পরাধীনা চিরদুঃখিনী বণিতাদের চোখের জলে বিছানা ভেসে যাচ্ছে। পুরাঙ্গনাদের এরূপ কষ্টের দিকে বাবুরা কৃপানেত্রে ভ্রমেও দৃষ্টিপাত করেন না। হরিশচন্দ্র মিত্র বাবুদের ব্যঙ্গ করে তাই লিখছেন, বাবুদের বাড়িতে মন টেঁকে না কারণ বাড়ির বৌদের কি অবিদ্যাদের মতো ছেনালী আছে? যাদের ঘর ছাড়বার মতো বুকের জোর ছিল না তারা বউকে খানকিদের মতো সাজিয়ে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতো। সাহসের অভাবে মুখে বলতো আমি বেশ্যালয়ে যাই না; যারা বাউত্রে তারা খান্কির বাড়ি গিয়ে টাকা নষ্ট করে।
বহুজন নিকটজনকে বলতো, রাস্তার ধারে খান্কী বেটিকে যেমন করে বসতে থাকতে দেখি রাত্রে ঘরে এসে বউকে সেভাবে সাজাই। শনিবারের কলকাতা ছিল শহর জুড়ে সারারাত মদ, গাঁজা আর মেয়ে মানুষ নিয়ে বেহদ্দ মজা করার দিন। বিশেষ করে রামবাগান, সোনাগাছি, মেছোবাজার, সিদ্ধেশ্বরীতলা, হাড়কাটা, চাঁপাতলা, ইমামবক্স, চিৎপুর; মদের গন্ধে মম করে একবারে নরক গুলজার। টেকচাঁদ ঠাকুরের একটি রচনায় দেখা যায়, বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা জমাতে ভবশঙ্কর চাকরকে হুকুম করছে ‘চার পাঁচ বোতল ব্রান্ডি ও বরফ শীঘ্র আন’। পরে প্রত্যেকে তিন চারি গ্লাস ব্রান্ডি পান করে মাংসাদি ভোজন করতে লাগলেন। বাসস্পতি বললেন, ‘ভাই সকল, যে শীতল দ্রব্য পান করিলাম ইহা ভুলিবার নয়। এ সামগ্রী পেটে গেলে পুত্রশোক নিবারণ হয়।’ কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায় যখন খ্রিস্টান হলো দ্বারকানাথ মন্তব্য করেছিলেন, এই ধর্মান্তরের কারণ ‘গরুর মাংস ও মদ্যপান’-এর সুযোগ লাভ। মধুসূদন দত্ত, রাজনারায়ণ বসু, ভুদেবচন্দ্র মুখোপাধ্যায় যখন হিন্দু কলেজে পড়তেন তখন প্রকাশ্য স্থানে বসে নিকটস্থ মুসলিম দোকান থেকে গরুর মাংসের কাবাব এনে খেতেন এবং মনে করতেন সেটাই পুরানোকে বর্জন করার একটা বাহাদুরী। সাথে মদ্যপানতো ছিলোই। বাবুরা তখন তিন ’ম’-তে বিশ্বাসী। মদ, মাংস ও মেয়েমানুষ। কিন্তু মধুসূদন, রাজনারায়ণ, ভুদেব-এর মতো ইয়ংবেঙ্গলরা মেয়েমানুষের ব্যাপারটাকে ঘৃণার চোখে দেখতেন। এই দোষটি তাঁদের ছিল না।
উনিশ শতকের বিখ্যাত বঙ্গসন্তানদের মধ্যে বঙ্কিমচন্দ্র, দক্ষিণারঞ্জন মুখোপাধ্যায়, রামগোপাল ঘোষ, গোবিন্দ্রচন্দ্র বসাক, রামতনু লাহিড়ী, অমৃতলাল মিত্র, প্যারীচাঁদ মিত্র, দ্বিজেন্দ্রলাল রায় প্রমুখ খুব ভালোভাবে মদ্যপানে আসক্ত ছিলেন। পরে এঁদের এক একজন বাংলার দিকপাল হয়েছিলেন। কবি ইশ্বরগুপ্ত শুধু মদ্যপানে আসক্তই ছিলেন না, তিনি মদ্যপানের পক্ষে মদ্যপানের গুনগান গেয়ে কবিতা লিখেছেন। কিন্তু মধুসূদন বল্গাহীনভাবে মদ্যপান করলেও মদপানের সমালোচনা করে নাটক লিখেছিলেন। হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর বন্ধুর পাল্লায় পরে সুরাপানে আসক্ত হন কিন্তু মদ্যপানের কুফল প্রসঙ্গে হিন্দু পেট্রিয়ট’ পত্রিকায় একটি চমৎকার প্রবন্ধ লেখেন। হরিশচন্দ্রের বল্গহীন মদ্যপান দেখাদেখি যুবক দলের অনেকেই মদ্যপানে আসক্ত হয়েছিলেন। রামতনু পরবর্তীতে একটি বিশেষ কারণে মদপান ত্যাগ করেছিলেন কিন্তু বন্ধুদের মদের আড্ডায় নিয়মিত উপস্থিত থাকতেন। রামতনু উপস্থিত থাকলে অন্যরা সংযত হয়ে চলতো। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিভিন্ন সভায় মাঝে মধ্যে যোগ দিতেন কিন্তু তিনি ছিলেন ঘোরতর মদ্যপান বিরোধী। মদ্যপান আসর শুরু হবার আগেই তিনি চলে আসতেন। বিদ্যাসাগর আবার আফিমে আসক্ত ছিলেন। বঙ্কিমচন্দ্র মদ্য পান করতেন বল্গাহীনভাবেই তার গুরু কবি ইশ্বরগুপ্তর মতো। বিদ্যাসাগর যেমন আফিম ছাড়তে পারেননি, বঙ্কিমচন্দ্রও তেমন মদ ছাড়তে পারেননি। কিন্তু গুরুর মদ খাওয়া নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন। কালীপ্রসন্ন সিংহ নিজে মদ্যপানের সমালোচনা করলেও নিজে ছিলেন মদ্যপান সভার একজন বড় পৃষ্ঠপোষক। ঠাকুর বাড়িতে মদ্যপানের রেওয়াজ ছিল। কিন্তু দ্বারকানাথের দেনার দায়ে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বহু খরচ কমাতে হয়। শোনা যায় সেকারণেই খরচ কমাবার অঙ্গ হিসেবেই তিনি মদপান বন্ধ করেন।
মদ্যপানে অমৃতলালের অরুচি ছিল না তবে তিনি সকলের সামনে মদ্যপান করতেন না। দ্বিজেন্দ্রলাল রায় সকলের সামনেই মদ্যপান করতেন। তিনি মদ্যপান করতেন কিন্তু মত্ত অবস্থায় কখনো কেউ তাঁকে দেখেনি। দ্বিজেন্দ্রলালের কাছে ‘ভবরূপ ঘোর অন্ধকারে ...সুরাই একটু আলো’ বলে মনে হতো। মদপানের প্রশংসা করে তিনি কবিতাও লিখেছেন। মদপান না করার ব্যাপারে বিদ্যাসাগর ছিলেন ভীষণ গোঁড়া। বিদ্যাসাগরের কাছে একবার এক মাতাল টাকা চাইলে তিনি স্রেফ জানিয়ে দিলেন, মদখাবার জন্য তিনি পয়সা দেন না। মাতাল তখন বললো, মধুসূদনকে তবে মদ খেতে আপনি পয়সা দেন কেন? উত্তরে বিদ্যাসাগর বলেছিলেন, মধুর মতো একটা ‘মেঘনাদ বধ কাব্য’ লেখ, তাহলে তোকেও মদ খাবার পয়সা দেবো। রাজা রামমোহন স্বয়ং সুরাপান শিক্ষা দেয়ার একজন গুরু ছিলেন। কিন্তু তিনি পরিমিত পানের কথা বলতেন। মদ্যপানে কেউ তাঁকে সীমা লঙ্ঘন করতে দেখেনি। কিন্তু সেই সীমা তাঁর শিষ্যরা কেউ রক্ষা করতে পারেনি। পরবর্তীতে দেখা গেল, ভদ্রলোক হতে হলে মদ্যপান করা উচিৎ এ ধারণা তখন অনেকটা মজ্জাগত। হরিশ মুখোপাধ্যায়, দ্বারকানাথ মিত্র, দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায় অকালে প্রাণ হারান অতিরিক্ত মদ্যপানে। মদ্যপানের বাড়াবাড়ির কারণেই পরে সারা বাংলাদেশ জুড়ে মদ্যপান নিবরণী আন্দোলনের সূত্রপাত হয়েছিল।
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত ইংরেজী শিক্ষায় শিক্ষিত বাবুদের দুচোখে দেখতে পারতেন না। তিনি এঁদের ব্যঙ্গ করে বহু কবিতা লেখেন। তিনি ইংরেজী শিক্ষিতদের হিন্দুয়ানী বিরুদ্ধ স্বভাব বরদাস্ত করতেন না। ইংরেজী শিক্ষিত বাবুদের মধ্যে ইংরেজী নববর্ষ পালন করা শুরু হয়। ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত তার বিরুদ্ধে কবিতা লেখেন। সে কবিতার একটি লাইন ছিল, ‘দিশি চাল ছেড়ে দিয়ে বিলাতের চা’ল লইয়া বাঙালী বাবু ঘটালে জঞ্জাল।’ তবে তাঁদের সুরাপানের বিরুদ্ধে কিছু বলতেন না। কারণ তিনি নিজেই ছিলেন কারণবারিতে আসক্ত। পূর্বেই বলা হয়েছে, কলেজের ছাত্ররা সুরাদেবীর আরাধনা করতেন তবে বেশ্যাসক্ত ছিলেন না। তাঁদের একপূরুষ পূর্বে যুবকেরা বেশ্যাসক্ত ছিলেন কিন্তু মদ্যপান করতেন না। গাঁজা, চরস বা আফিম খেতেন। ইংরেজী শিক্ষার ফলে পুরান নেশা চণ্ডু গুলি, আফিম বা কালাচাঁদ, তড়িতানন্দ বা গাঁজা বিদায় নিল নতুন জাতে ওঠা অভিজাতদের কাছ থেকে। আগে নেশাখোর বোঝাতে ‘গুলিখোর’, ‘গাঁজাখোর’, ‘চণ্ডুখোর’, আফিমখোর’, প্রভৃতি শব্দ ব্যবহৃত হতো। ইংরেজী শিক্ষিতদের কল্যাণে জন্ম হলো নতুন শব্দ ‘মদখোর’। ক্রমে এঁদের হাত ধরে মদের নেশা শুরু হলো বাংলার ঘরে ঘরে। একদিন এমন হলো যখন মদই নেশার জগতে একনম্বর স্থান পেল। তবে সবাই তো আর ভদ্রলোক হয়ে উঠতে পারেননি। নিম্নবর্গের যে মানুষ এঁরাই ছিলেন সংখ্যায় বেশি।
শুড়ির দোকানে বা চিকিৎসকের ডিসপেনসারিতে মদ বিক্রি হতো এঁদের জন্য। অনেকেই সেখানে ‘দাঁড়ভোগ’ খেয়ে টলতে বাড়ি ফিরতেন। এ দৃশ্য তখন কলকাতায় গা সওয়া। মোদ্দা কথা তখন হয় বেশ্যাবাড়ি নয় রাস্তায় গড়াগড়ি। অথবা গড়াগড়িটা বেশ্যাবাড়িতে। হুতোম প্যাঁচার মতে, ‘সহরে কান পাতা ভার। রাস্তায় লোকারণ্য, চারদিকে ঢাকের বাদ্যি, ধুনোর ধোঁ, আর মদের দুর্গন্ধ।’ কলকাতা শহর প্রতিষ্ঠা ও এর রমরমার যুগে বাবু ও ইতরদের শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতির ফারাক ও প্রতিনিধিত্ব দুয়েরই যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। কেউ কারো চেয়ে কম যায়নি, যদিও বাবু সংস্কৃতির কাছে শেষ পর্বে মার খেয়েছে ইতরজনদের শিল্প-সংস্কৃতি। বাবুরা ঘরের অন্দরে, বাগান বাড়িতে এক ধরনের শিল্প-সংস্কৃতি লালন করেছে, অপরদিকে নিম্নশ্রেণীর মানুষরা জনতার হট্টগোলের মধ্যে তাদের স্বাভাবিক স্বতঃস্ফূর্ত শিল্প-সাহিত্যের চর্চা করে গেছে। কিন্তু খুব শীঘ্রই অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিয়মেই কেউই স্থানীয় সংস্কৃতির নিজস্বতা রক্ষা করতে পারেনি। কলকাতা শহর তখন নতুন জীবনের প্রবাহে ভরপুর। কবিগান, পাঁচালী, আখড়াই, হাফ আখড়াই, গোপাল উড়ের বিদ্যাসুন্দর, নিধুর টপ্পা, ঢপ, তরজা, খেঁড়বা খেউর গান, বাঈ নাচ, মদ, পাড়ায় পাড়ায় নেশার আড্ডা, মাতাল হয়ে পুলিশের হাতে পড়া, নিষিদ্ধ মাংস আর মেয়েমানুষ নিয়ে, রাঁড় নিয়ে রাতভোর বেহদ্দ আমোদ, জেলেপাড়া-কাসারিপাড়ার সঙ, বুলবুলির লড়াই, মুক্তাভস্ম দিয়ে পান খাওয়া, দুর্গাপূজায় বল্গাহীন খরচ, রক্ষিতার বাড়িতে ইয়ার বন্ধুদের নিয়ে ফূর্তি, ইংরেজদের খানাপিনায় আমন্ত্রণ জানানো, দান ধ্যান, দেবালয় প্রতিষ্ঠা, বাপ-মার শ্রাদ্ধে অঢেল টাকা ব্যয়, লাখ টাকা খরচ করে পোষা বিড়াল-বাঁদরে বিয়ে দেওয়া; এইসব নানা রঙ্গে কলকাতা শহর ভরপুর।
টেকচাঁদ ঠাকুর লিখেছিলেন, ‘বলরাম ও রামেশ্বর ঠাকুরের সন্তানেরা শূদ্রের বাটীতে জলস্পর্শ করেন না কিন্তু বেশ্যার ভবনে এমন করিয়া আহার ঠাসিতেছেন যে পাত দেখে বিড়াল লাফ কাঁদিয়া মারে। কোনখানে তিলক নামাবলী সন্ধ্যা আহ্নিকের ঘটা হইতেছে অথচ পরস্ত্রীগমন ও অপহরণে ক্ষান্ত নাই।’ ইংরেজরা যখন তাদের নতুন শাসনব্যবস্থা ও ভূমিব্যবস্থা প্রবর্তন করে বাংলার গ্রাম্য সমাজের পুরানো কাঠামোকে ভেঙে ফেললো এবং বংশানুক্রমিক পেশা ও বৃত্তি থেকে সাধারণ মানুষকে উৎখাত করে তাদের অনেককে ভ্রাম্যমাণ চোর-ডাকাতে পরিণত করলো, তখন কলকাতা শহর এই নামগোত্রহীন মানুষদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠলো। কলকাতা শহরই হলো তাঁদের প্রধান ঘাঁটি। প্রধানত শহরে বাস করেই তারা গ্রামে চুরি ডাকাতি করে বেড়াতো এবং আবার শহরে ফিরে এসে আত্মপরিচয়হীনভাবে বসবাস করতো। ফলে এই জীবনসংগ্রামী দুষ্টলোকরা নির্ভয়ে শহরে বাস করতো, দিনের আলোয় মুক্ত বিহঙ্গের মতো ঘুরে বেড়াতো আর রাত হলে চুরি-ডাকাতি ও রাহাজানিতে জড়িয়ে পড়তো। এইসব লোকরা পরে শহরকেও আর নিরাপদ থাকতে দেয় না। তারা ইংরেজ শাসনে তাঁদের দীর্ঘদিনের নিরাপদ আশ্রয় হারিয়ে অন্যদেরকেও আর নিরাপদ থাকতে দিতে পারলো না। জীবীকার প্রয়োজনেই তারা ইতিহাসের অমোঘ নিয়মে অন্যের বিপদের কারণ হয়ে উঠলো। কলকাতা শহর হয়ে উঠলো এই সব অপরাধীদের আশ্রয়স্থল। এই অপরাধ জগতের স্রষ্টা ইংরেজ শাসকরা। ইংরেজদের সৃষ্টি এইসব নিম্নবর্গের অপরাধীরা এবং উচ্চবর্গের শোষকরা একসাথে কলকাতা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাস করতে থাকলো। সবাই মিলে নানাভাবে কলকাতা শহরে নানারঙ্গ তৈরি করলো। কলকাতায় তখন নতুন সব রঙ্গের আমদানী হচ্ছে যার বহু কিছুর সাথে মানুষের পূর্ব পরিচয় ছিল না। যেমন ঘড়ি, ফিটন গাড়ি, কলকারখানা, প্রেস, বরফকল, থিয়েটার, মুদ্রিত গ্রন্থ ইত্যাদি। চলবে