
কম সংস্কার চাইলে নির্বাচন ডিসেম্বরে: প্রধান উপদেষ্টা
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : মার্চ ০৬, ২০২৫
কম সংস্কার চাইলে নির্বাচন ডিসেম্বরে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক মানবাধিকার সংস্থা রাইট টু ফ্রিডমের সভাপতি রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম বি মাইলাম ও নির্বাহী পরিচালক, সাবেক মার্কিন কূটনীতিক জন দানিলোভিচ আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সৌজন্য সাক্ষাতে এলে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলো যদি নির্বাচনের আগে কম সংস্কারে সম্মত হয়, তাহলে জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে পারে। অন্যথায় নির্বাচন আগামী বছরের জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।”
সাক্ষাৎকালে সাবেক ২ কূটনীতিক প্রধান উপদেষ্টাকে রাইট টু ফ্রিডমের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন এবং বাংলাদেশে সংস্থাটির কার্যক্রম সম্প্রসারণের পরিকল্পনার কথা জানান, যা দেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তর প্রক্রিয়াকে সহায়তা করার প্রচেষ্টার অংশ।
অধ্যাপক ইউনূস সংস্থাটির কাজের প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশে মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষায় ২ কূটনীতিকের প্রচেষ্টারও প্রশংসা করেন।
১৯৯০-এর দশকের গোড়ার দিকে বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মাইলাম বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জুলাই গণঅভ্যুত্থান ব্যাপক সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়ন এবং বাংলাদেশে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বড় সুযোগ তৈরি করেছে।”
সাবেক মার্কিন উপ-রাষ্ট্রদূত জন দানিলোভিচ বলেন, “বাংলাদেশেকে নিয়ে ভুয়া খবর ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।”
ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস কূটনীতিকদের বলেন, “৬টি কমিশনের প্রস্তাবিত সংস্কার নিয়ে চলমান সংলাপ শেষ হওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে। জুলাই সনদ আমাদের পথ দেখাবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই সনদের কিছু সুপারিশ বাস্তবায়ন করবে, আর বাকি অংশ রাজনৈতিক সরকার বাস্তবায়ন করবে।”
বৈঠকে বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্ক, রোহিঙ্গা সংকট, মিয়ানমার শরণার্থীদের জন্য ক্রমহ্রাসমান সহায়তার প্রভাব, আগের স্বৈরাচারী সরকারের আমলে চুরি হওয়া কয়েক বিলিয়ন মার্কিন ডলার উদ্ধার, প্রধান উপদেষ্টার সার্ক পুনর্জীবিত করার প্রচেষ্টা এবং আসন্ন নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ নিয়ে আলোচনা হয়।